অনলাইন ডেস্ক
দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বহুজাতিক জনসংখ্যার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিদেশি অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা ও লালন-পালনের চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে জাপান। বিশেষ করে তাইওয়ানিজ, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে দেশটির এ ধরনের উদ্যোগ লক্ষণীয়।
সোমবার নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের কুমামোটোতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ (টিএসএমসি)। ফলে ওই শহরে বিদেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় কুমামোটোর কিয়ুশু লুথেরান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাথমিক স্তরে শিশুদের জন্য একটি বিশেষ ক্লাস চালু করা হয়েছে।
একই অঞ্চলে টিএসএমসি এবার দ্বিতীয় আরেকটি কারখানা চালু করার পরিকল্পনা করছে। এতে কিয়ুশু লুথেরান স্কুলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় ১০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
এদিকে কুমামোটো বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে তাদের অধিভুক্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে আন্তর্জাতিক ক্লাস সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এসব ক্লাস জাপান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইংরেজিতে পরিচালিত হবে।
জাপানের উত্তরের প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর উরাকাওয়া শহরে ভারতীয় অভিভাবকদের জন্য বিশেষ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ অর্থবছর থেকে এখানে মাসিক ইভেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে এমন একটি ইভেন্টে ২০ জনের বেশি অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তানেরা অংশ নেন। সেখানে জাপানি শিক্ষার্থীরা হিন্দি ভাষায় শিশুদের জন্য বই পড়ে শোনায়।
উরাকাওয়া শহরে অনেক ভারতীয় নাগরিক এখন স্থায়ী হয়েছেন। ২০১৪ সালে এই শহরে কোনো ভারতীয়ের অস্তিত্ব ছিল না, কিন্তু এখন সেখানে ভারতীয়ের সংখ্যা ৩৫০-এ পৌঁছেছে।
মুসলিম পরিবারগুলোর কথা বিবেচনা করে জাপানের রাজধানী টোকিওর কিটা ওয়ার্ডের একটি নার্সারি স্কুলে মুসলিম শিশুদের জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হালাল এবং সাধারণ খাবারের উপকরণ আলাদা ফ্রিজে রাখা হয়। রান্নার সরঞ্জামও আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়।
একজন মুসলিম অভিভাবক বলেছেন, স্কুলে হালাল খাবার সরবরাহের ফলে প্রতিদিন খাবার প্রস্তুত করার প্রয়োজন এখন আর হয় না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাপানে ১৪ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সী প্রায় বিদেশি শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৮২ হাজার। এক দশকের ব্যবধানে সংখ্যাটি প্রায় ১ লাখের মতো বেড়েছিল তখন।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে বিদেশি অভিভাবকদের জন্ম দেওয়া শিশুদের সংখ্যা ১০ বছর আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৭১৪ হয়েছিল। আর যদি এমন পরিবারগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় যেখানে বাবা কিংবা মায়ের একজন জাপানি অন্যজন বিদেশি, তবে শিশু জন্মের সংখ্যাটি হবে ৩৪ হাজারের বেশি। ২০২৩ সালে দেশটিতে জন্ম নেওয়া মোট শিশুর প্রায় ৫ ভাগ এই সংখ্যাটি।
নিক্কেই বলছে, এই উদ্যোগগুলো জাপানের ক্রমবর্ধমান বহুজাতিক সমাজের প্রতিফলন এবং বিদেশি বাসিন্দাদের সঙ্গে আরও সম্প্রীতিমূলক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা। দেশটি শিশুদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি এবং অভিভাবকদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বহুজাতিক জনসংখ্যার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিদেশি অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা ও লালন-পালনের চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে জাপান। বিশেষ করে তাইওয়ানিজ, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে দেশটির এ ধরনের উদ্যোগ লক্ষণীয়।
সোমবার নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের কুমামোটোতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ (টিএসএমসি)। ফলে ওই শহরে বিদেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় কুমামোটোর কিয়ুশু লুথেরান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাথমিক স্তরে শিশুদের জন্য একটি বিশেষ ক্লাস চালু করা হয়েছে।
একই অঞ্চলে টিএসএমসি এবার দ্বিতীয় আরেকটি কারখানা চালু করার পরিকল্পনা করছে। এতে কিয়ুশু লুথেরান স্কুলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় ১০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
এদিকে কুমামোটো বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে তাদের অধিভুক্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে আন্তর্জাতিক ক্লাস সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এসব ক্লাস জাপান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইংরেজিতে পরিচালিত হবে।
জাপানের উত্তরের প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর উরাকাওয়া শহরে ভারতীয় অভিভাবকদের জন্য বিশেষ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ অর্থবছর থেকে এখানে মাসিক ইভেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে এমন একটি ইভেন্টে ২০ জনের বেশি অভিভাবক এবং তাঁদের সন্তানেরা অংশ নেন। সেখানে জাপানি শিক্ষার্থীরা হিন্দি ভাষায় শিশুদের জন্য বই পড়ে শোনায়।
উরাকাওয়া শহরে অনেক ভারতীয় নাগরিক এখন স্থায়ী হয়েছেন। ২০১৪ সালে এই শহরে কোনো ভারতীয়ের অস্তিত্ব ছিল না, কিন্তু এখন সেখানে ভারতীয়ের সংখ্যা ৩৫০-এ পৌঁছেছে।
মুসলিম পরিবারগুলোর কথা বিবেচনা করে জাপানের রাজধানী টোকিওর কিটা ওয়ার্ডের একটি নার্সারি স্কুলে মুসলিম শিশুদের জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হালাল এবং সাধারণ খাবারের উপকরণ আলাদা ফ্রিজে রাখা হয়। রান্নার সরঞ্জামও আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়।
একজন মুসলিম অভিভাবক বলেছেন, স্কুলে হালাল খাবার সরবরাহের ফলে প্রতিদিন খাবার প্রস্তুত করার প্রয়োজন এখন আর হয় না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাপানে ১৪ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সী প্রায় বিদেশি শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৮২ হাজার। এক দশকের ব্যবধানে সংখ্যাটি প্রায় ১ লাখের মতো বেড়েছিল তখন।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে বিদেশি অভিভাবকদের জন্ম দেওয়া শিশুদের সংখ্যা ১০ বছর আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৭১৪ হয়েছিল। আর যদি এমন পরিবারগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় যেখানে বাবা কিংবা মায়ের একজন জাপানি অন্যজন বিদেশি, তবে শিশু জন্মের সংখ্যাটি হবে ৩৪ হাজারের বেশি। ২০২৩ সালে দেশটিতে জন্ম নেওয়া মোট শিশুর প্রায় ৫ ভাগ এই সংখ্যাটি।
নিক্কেই বলছে, এই উদ্যোগগুলো জাপানের ক্রমবর্ধমান বহুজাতিক সমাজের প্রতিফলন এবং বিদেশি বাসিন্দাদের সঙ্গে আরও সম্প্রীতিমূলক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা। দেশটি শিশুদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি এবং অভিভাবকদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা নতুন ই-ভিসা সিস্টেমে যাচ্ছে। ৯৪টি রয়্যাল থাই দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল অফিস একসঙ্গে এই সেবা দেবে।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন কংগ্রেস শুক্রবার মধ্যরাতে শাটডাউন ঠেকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর পাস হওয়া এই বিলটি ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। মধ্যরাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিনেটররা প্রথাগত নিয়ম এড়িয়ে দ্রুত ভোট দেন।
১২ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশালা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মুম্বাইয়ে ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় পুলিশের হাতে আটক আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশের আট সন্দেহভাজন সদস্য ‘চিকেন নেক’ বা সিলিগুরি করিডরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের সংযোগকারী একমাত্র অংশ এই সিলিগুড়ি করিডর।
১৩ ঘণ্টা আগে