আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তালেবানকে শায়েস্তা করতে দুই দশক আগে আফগানিস্তানে ঢুকেছিল কাতারে–কাতারে মার্কিন সেনা। এরপর গত ২০ বছরে তারা কম চেষ্টা করেনি তালেবান যোদ্ধাদের পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গুঁড়িয়ে দিতে। পাশাপাশি মার্কিন মুলুক থেকে চেষ্টা করা হয়েছে কাবুলে একটা শক্ত সরকার গড়ে তুলতে। কিন্তু বুশ–ওবামা–ট্রাম্পদের সেই চেষ্টা তো মনে হচ্ছে পুরোটাই বিফলে গেছে। মার্কিন সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই পুরো আফগান ভূখণ্ড যেন নিজেদের তালুতে পুরে নিয়েছে আফগান যোদ্ধারা।
বোমা আর বোমারু বিমানের মুখে ২০ বছর ধরে মার খাওয়ার পরও এমন প্রবল পরাক্রমে তালেবানের প্রত্যাবর্তন কীভাবে সম্ভব হলো? গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তা জানিয়েছে বিবিসি।
গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতায় এসে এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন পর্যন্ত হাজার তিনেকের মতো মার্কিন সেনা ছিল দেশটিতে। ঘোষণা অনুযায়ী তারা ছোট ছোট দলে আফগান ভূমি ছাড়তে শুরু করে গত ১ মে থেকে। শেষ সেনাদলটির কাবুল ছাড়ার কথা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত জুলাইয়ে কাবুলের অদূরে নিজেদের প্রধান সেনাঘাঁটি ছেড়ে যায় অধিকাংশ মার্কিন ও সব ন্যাটো সৈন্য। এরপর থেকে মূলত গ্রামাঞ্চল ও সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিতে শুরু করে তালেবান।
এক সপ্তাহ ধরে তালেবান যেভাবে প্রাদেশিক শহর দখলে নিচ্ছে, কাবুলে হামলা চালাচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, তাতে অনেকের বিস্ময় জাগতে পারে। মনে হতে পারে, ২০ বছর ধরে হাজার হাজার ন্যাটো ও মার্কিন সৈন্য, গোয়েন্দা ও নীতিনির্ধারকেরা কী করল আফগানিস্তানে? সবকিছু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে যে!
অথচ মার্কিন ও ব্রিটিশ জেনারেলরা বারবার দাবি করে আসছেন, ‘গত ২০ বছরের অধিকাংশ সময় আমরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের জোগান দিয়ে এসেছি। আমরা এমন এক আফগান সেনাবাহিনী তৈরি করেছি, যেটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং চৌকস।’
সাম্প্রতিক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন, দু–এক সপ্তাহের মধ্যে কাবুলে হামলা চালাতে পারে তালেবান। আর ৯০ দিনের মধ্যে এর পতন হতে পারে।
কাগজে কলমে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এখনো তালেবানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কারণ ধারণা করা হয়, আফগান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশের সদস্যসংখ্যা ৩ লাখের বেশি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এসব সদস্যের অনেকে চাকরি ছেড়ে পালাচ্ছেন। অনেকে বিনা যুদ্ধে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন। অন্যদিকে নতুন সদস্য জোগাড় করতে রীতিমতো ঘাম ঝরছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে যেসব সৈন্য চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের নামে অন্য কেউ বেতন তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার্কিন কংগ্রেসের কাছে পাঠানো এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অব আফগানিস্তান (এসআইজিএআর) লিখেছেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলো দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে আছে। তাই তাদের তথ্যের যথার্থতা ও মূল শক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া কঠিন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চাকরি ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জ্যাক ওয়েটলিং বলেন, কোনো কোনো সৈনিককে এমন সব জায়গায় পাঠানো হচ্ছে, যার সঙ্গে তাঁর জাতিগত সংস্কৃতির কোনো মিল নেই। এটি তাঁদের মনোবল কমিয়ে দেয়। তাই অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন।
অন্যদিকে তালেবানের শক্তি–সামর্থ্য নিয়ে ধারণা পাওয়া আরও কঠিন। তবে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, তালেবানের মূল সদস্যসংখ্যা ৬০ হাজারের মতো। এর বাইরে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী ও সমর্থক মিলিয়ে বাহিনীটির মোট সদস্য ২ লাখের কিছু বেশি হতে পারে।
আফগানিস্তান যেহেতু অনেক জাতিগোষ্ঠীর দেশ, যাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা। এ কারণে সরকারের মধ্যেও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য বা সমস্যা রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা মাইক মার্টিন। তাই বিভিন্ন জাতীয় সংকটকালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত পক্ষ বদলাতে দেখা যায়।
অবশ্যই বিবিসি প্রতিরক্ষা প্রতিবেদক জোনাথন বিয়েল মনে করেন, আসন্ন শীত মৌসুমের পরে আগামী বছর থেকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তালেবানের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে পারে আফগান সরকার।
তালেবানকে শায়েস্তা করতে দুই দশক আগে আফগানিস্তানে ঢুকেছিল কাতারে–কাতারে মার্কিন সেনা। এরপর গত ২০ বছরে তারা কম চেষ্টা করেনি তালেবান যোদ্ধাদের পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গুঁড়িয়ে দিতে। পাশাপাশি মার্কিন মুলুক থেকে চেষ্টা করা হয়েছে কাবুলে একটা শক্ত সরকার গড়ে তুলতে। কিন্তু বুশ–ওবামা–ট্রাম্পদের সেই চেষ্টা তো মনে হচ্ছে পুরোটাই বিফলে গেছে। মার্কিন সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই পুরো আফগান ভূখণ্ড যেন নিজেদের তালুতে পুরে নিয়েছে আফগান যোদ্ধারা।
বোমা আর বোমারু বিমানের মুখে ২০ বছর ধরে মার খাওয়ার পরও এমন প্রবল পরাক্রমে তালেবানের প্রত্যাবর্তন কীভাবে সম্ভব হলো? গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তা জানিয়েছে বিবিসি।
গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতায় এসে এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন পর্যন্ত হাজার তিনেকের মতো মার্কিন সেনা ছিল দেশটিতে। ঘোষণা অনুযায়ী তারা ছোট ছোট দলে আফগান ভূমি ছাড়তে শুরু করে গত ১ মে থেকে। শেষ সেনাদলটির কাবুল ছাড়ার কথা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত জুলাইয়ে কাবুলের অদূরে নিজেদের প্রধান সেনাঘাঁটি ছেড়ে যায় অধিকাংশ মার্কিন ও সব ন্যাটো সৈন্য। এরপর থেকে মূলত গ্রামাঞ্চল ও সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিতে শুরু করে তালেবান।
এক সপ্তাহ ধরে তালেবান যেভাবে প্রাদেশিক শহর দখলে নিচ্ছে, কাবুলে হামলা চালাচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, তাতে অনেকের বিস্ময় জাগতে পারে। মনে হতে পারে, ২০ বছর ধরে হাজার হাজার ন্যাটো ও মার্কিন সৈন্য, গোয়েন্দা ও নীতিনির্ধারকেরা কী করল আফগানিস্তানে? সবকিছু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে যে!
অথচ মার্কিন ও ব্রিটিশ জেনারেলরা বারবার দাবি করে আসছেন, ‘গত ২০ বছরের অধিকাংশ সময় আমরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের জোগান দিয়ে এসেছি। আমরা এমন এক আফগান সেনাবাহিনী তৈরি করেছি, যেটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং চৌকস।’
সাম্প্রতিক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন, দু–এক সপ্তাহের মধ্যে কাবুলে হামলা চালাতে পারে তালেবান। আর ৯০ দিনের মধ্যে এর পতন হতে পারে।
কাগজে কলমে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এখনো তালেবানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কারণ ধারণা করা হয়, আফগান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশের সদস্যসংখ্যা ৩ লাখের বেশি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এসব সদস্যের অনেকে চাকরি ছেড়ে পালাচ্ছেন। অনেকে বিনা যুদ্ধে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন। অন্যদিকে নতুন সদস্য জোগাড় করতে রীতিমতো ঘাম ঝরছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে যেসব সৈন্য চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের নামে অন্য কেউ বেতন তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার্কিন কংগ্রেসের কাছে পাঠানো এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অব আফগানিস্তান (এসআইজিএআর) লিখেছেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীগুলো দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে আছে। তাই তাদের তথ্যের যথার্থতা ও মূল শক্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া কঠিন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চাকরি ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জ্যাক ওয়েটলিং বলেন, কোনো কোনো সৈনিককে এমন সব জায়গায় পাঠানো হচ্ছে, যার সঙ্গে তাঁর জাতিগত সংস্কৃতির কোনো মিল নেই। এটি তাঁদের মনোবল কমিয়ে দেয়। তাই অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন।
অন্যদিকে তালেবানের শক্তি–সামর্থ্য নিয়ে ধারণা পাওয়া আরও কঠিন। তবে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, তালেবানের মূল সদস্যসংখ্যা ৬০ হাজারের মতো। এর বাইরে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী ও সমর্থক মিলিয়ে বাহিনীটির মোট সদস্য ২ লাখের কিছু বেশি হতে পারে।
আফগানিস্তান যেহেতু অনেক জাতিগোষ্ঠীর দেশ, যাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা। এ কারণে সরকারের মধ্যেও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য বা সমস্যা রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা মাইক মার্টিন। তাই বিভিন্ন জাতীয় সংকটকালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত পক্ষ বদলাতে দেখা যায়।
অবশ্যই বিবিসি প্রতিরক্ষা প্রতিবেদক জোনাথন বিয়েল মনে করেন, আসন্ন শীত মৌসুমের পরে আগামী বছর থেকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তালেবানের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে পারে আফগান সরকার।
ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে তিন শ ছুঁই ছুঁই। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৩৪২ ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরা।
১ ঘণ্টা আগেমানসিক স্বাস্থ্যসমস্যার কারণে গত ১২ মাসে যুক্তরাজ্যের এক-চতুর্থাংশ তরুণ কর্মী তাঁদের কাজ ছাড়ার কথা চিন্তা করছেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির নতুন জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই জরিপে আরও বলা হয়ে, ১০ শতাংশ কর্মী দীর্ঘ সময় ধরে কাজ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার নথি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল সোমবার কেনেডি সেন্টারে এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৩ ঘণ্টা আগেতসলিমা নাসরিন তাঁর উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশের পর বাংলাদেশে রক্ষণশীলদের আক্রমণের শিকার হন। ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের ক্রমাগত হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেন এবং পরে ভারতে আশ্রয় নেন।
৩ ঘণ্টা আগে