অনলাইন ডেস্ক
চীনা গুপ্তচর নন জানিয়ে নিজেকে ‘লাভ চাইল্ড’ হিসেবে দাবি করেছেন ফিলিপাইনের এক শহরের মেয়র অ্যালিস গুও। সম্প্রতি তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কারণ একটি শহরের মেয়র হয়ে গেলেও স্থানীয় মানুষ সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও তাঁর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি অপরাধ মামলার সূত্র ধরে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন অ্যালিস গুও। পরে একটি সিনেট শুনানিতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে তিনি তাঁর পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় দেশটির এক সিনেটর তাঁকে চীনা গুপ্তচর ইঙ্গিত করে ‘বেইজিংয়ের লোক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এমন অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশটির এবিএস-সিবিএন নিউজ চ্যানেলে অ্যালিস বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষকে বলতে চাই, আমি কোনো গুপ্তচর নই। আমি ফিলিপিনো এবং আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।’
এ সময় নিজেকে একটি প্রেমের সম্পর্কের গোপন শিশু হিসেবে দাবি করেন অ্যালিস। তিনি জানান—চীনা নাগরিকের সঙ্গে প্রেমের সূত্রে একজন ফিলিপিনো কুমারীর গর্ভে এসেছিলেন তিনি। বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত বলেও দাবি করেন তিনি। তাই এই বিষয়টি সবার কাছেই গোপন রেখেছিলেন।
সিনেট শুনানির সময় বাবা-মার পরিচয় পুরোপুরিভাবে দিতে না ব্যর্থতার জন্য তিনি সিনেটরদের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বলেন, ‘পরিচয় দেওয়ার সময় আমার মন পুরোপুরি শূন্য হয়ে গিয়েছিল।’
বিগত সপ্তাহগুলোতে অ্যালিস গুওর পরিচয় নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে ফিলিপাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বিষয়টি পুরো ফিলিপাইন জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসও অ্যালিসের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছিলেন।
জানা যায়, রাজধানী ম্যানিলা থেকে উত্তরে অবস্থিত ফিলিপাইনের ছিমছাম একটি শহর বামবান। এই শহরেরই মেয়র অ্যালিস গুও। অল্প বয়সে জন প্রতিনিধিত্ব অর্জন করে একজন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। দিঘল কালো চুলের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস স্থানীয় ট্যাগালগ ভাষায় কোনো বিদেশি প্রভাব ছাড়াই অনর্গল কথা বলেন। জনসমাগমে তিনি সাধারণত গোলাপি রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই নারী কোথা থেকে এলেন, পারিবারিক পরিচয় কী—সেই বিষয়গুলো নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষেরাও।
এ বিষয়ে বিবিসি জানিয়েছিল—অ্যালিস যে শহরের মেয়র সেই বামবানে গত মার্চে পোগো (POGO) নামে পরিচিত একটি অনলাইন ক্যাসিনোর আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। সেখান থেকে পরে ৭০০ কর্মীকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে দুই শতাধিক চীনা নাগরিকও ছিলেন। তাঁদেরকে জোর করে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করাতে বাধ্য করা হয়েছিল। বেআইনি এই জুয়া খেলাটি ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে বিকাশ লাভ করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যে জমির ওপর ওই ক্যাসিনোর কার্যক্রম পরিচালিত হতো সেই জমিটির একটি বড় অংশই অ্যালিসের মালিকানাধীন। এর সূত্র ধরেই তদন্তের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে গত ৪ মে এই মামলার সিনেট শুনানির সময় অ্যালিস দাবি করেছিলেন, কথিত ওই জমিটি তিনি অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
সিনেট শুনানিতে পারিবারিক পরিচয় নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে না পারায় অনেকেই দাবি করেন, তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গুও’ উপাধিটি চীনা। ফিলিপিনো পারিবারিক নামগুলোতে এই উপাধির কোনো অস্তিত্ব নেই।
অ্যালিস সেই সময় দাবি করেছিলেন, ১৭ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁর জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছিল। কারণ তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেননি। ফলে জন্মের পরপরই জন্মনিবন্ধনও করা হয়নি।
আরও দাবি করেন—পারিবারিক আবহের মধ্যেই তিনি বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর হোম-স্কুল সংস্থার নাম, এমনকি শিক্ষকদের নামও বলতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনের নাগরিক হিসেবে নিজের দাবির পক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছেন অ্যালিস। বেআইনি জুয়া খেলায় জড়িত থাকার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন। এ অবস্থায় যদি প্রমাণিত হয়, তিনি ফিলিপাইনের নাগরিক নন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হতে পারে।
চীনা গুপ্তচর নন জানিয়ে নিজেকে ‘লাভ চাইল্ড’ হিসেবে দাবি করেছেন ফিলিপাইনের এক শহরের মেয়র অ্যালিস গুও। সম্প্রতি তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কারণ একটি শহরের মেয়র হয়ে গেলেও স্থানীয় মানুষ সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও তাঁর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি অপরাধ মামলার সূত্র ধরে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন অ্যালিস গুও। পরে একটি সিনেট শুনানিতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে তিনি তাঁর পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় দেশটির এক সিনেটর তাঁকে চীনা গুপ্তচর ইঙ্গিত করে ‘বেইজিংয়ের লোক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এমন অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশটির এবিএস-সিবিএন নিউজ চ্যানেলে অ্যালিস বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষকে বলতে চাই, আমি কোনো গুপ্তচর নই। আমি ফিলিপিনো এবং আমি আমার দেশকে ভালোবাসি।’
এ সময় নিজেকে একটি প্রেমের সম্পর্কের গোপন শিশু হিসেবে দাবি করেন অ্যালিস। তিনি জানান—চীনা নাগরিকের সঙ্গে প্রেমের সূত্রে একজন ফিলিপিনো কুমারীর গর্ভে এসেছিলেন তিনি। বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত বলেও দাবি করেন তিনি। তাই এই বিষয়টি সবার কাছেই গোপন রেখেছিলেন।
সিনেট শুনানির সময় বাবা-মার পরিচয় পুরোপুরিভাবে দিতে না ব্যর্থতার জন্য তিনি সিনেটরদের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বলেন, ‘পরিচয় দেওয়ার সময় আমার মন পুরোপুরি শূন্য হয়ে গিয়েছিল।’
বিগত সপ্তাহগুলোতে অ্যালিস গুওর পরিচয় নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে ফিলিপাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বিষয়টি পুরো ফিলিপাইন জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসও অ্যালিসের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছিলেন।
জানা যায়, রাজধানী ম্যানিলা থেকে উত্তরে অবস্থিত ফিলিপাইনের ছিমছাম একটি শহর বামবান। এই শহরেরই মেয়র অ্যালিস গুও। অল্প বয়সে জন প্রতিনিধিত্ব অর্জন করে একজন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। দিঘল কালো চুলের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস স্থানীয় ট্যাগালগ ভাষায় কোনো বিদেশি প্রভাব ছাড়াই অনর্গল কথা বলেন। জনসমাগমে তিনি সাধারণত গোলাপি রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই নারী কোথা থেকে এলেন, পারিবারিক পরিচয় কী—সেই বিষয়গুলো নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় মানুষেরাও।
এ বিষয়ে বিবিসি জানিয়েছিল—অ্যালিস যে শহরের মেয়র সেই বামবানে গত মার্চে পোগো (POGO) নামে পরিচিত একটি অনলাইন ক্যাসিনোর আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। সেখান থেকে পরে ৭০০ কর্মীকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে দুই শতাধিক চীনা নাগরিকও ছিলেন। তাঁদেরকে জোর করে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করাতে বাধ্য করা হয়েছিল। বেআইনি এই জুয়া খেলাটি ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে বিকাশ লাভ করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যে জমির ওপর ওই ক্যাসিনোর কার্যক্রম পরিচালিত হতো সেই জমিটির একটি বড় অংশই অ্যালিসের মালিকানাধীন। এর সূত্র ধরেই তদন্তের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে গত ৪ মে এই মামলার সিনেট শুনানির সময় অ্যালিস দাবি করেছিলেন, কথিত ওই জমিটি তিনি অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
সিনেট শুনানিতে পারিবারিক পরিচয় নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে না পারায় অনেকেই দাবি করেন, তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গুও’ উপাধিটি চীনা। ফিলিপিনো পারিবারিক নামগুলোতে এই উপাধির কোনো অস্তিত্ব নেই।
অ্যালিস সেই সময় দাবি করেছিলেন, ১৭ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁর জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছিল। কারণ তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেননি। ফলে জন্মের পরপরই জন্মনিবন্ধনও করা হয়নি।
আরও দাবি করেন—পারিবারিক আবহের মধ্যেই তিনি বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর হোম-স্কুল সংস্থার নাম, এমনকি শিক্ষকদের নামও বলতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনের নাগরিক হিসেবে নিজের দাবির পক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছেন অ্যালিস। বেআইনি জুয়া খেলায় জড়িত থাকার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন। এ অবস্থায় যদি প্রমাণিত হয়, তিনি ফিলিপাইনের নাগরিক নন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হতে পারে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোচনা শুরুর পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানালেন লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। আজ শনিবার ফিলিস্তিনিদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অটল প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রমাণ। টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা গ্রেপ্তার স্থানীয় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবী সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন আদালত। আগামী সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি আগামীকাল রোববার গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। আজ শনিবার সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি আসতে চলেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ
৩ ঘণ্টা আগেব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি হয়। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে তাঁর নীতি সমালোচনার মুখে পড়লে দুজন সাংবাদিককে টেনে বের করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে