Ajker Patrika

দ. কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত রাস্তা উড়িয়ে দিল উ. কোরিয়া

দ. কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত রাস্তা উড়িয়ে দিল উ. কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত অব্যবহৃত দুটি রাস্তা ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমানা রেখার উত্তরে অবস্থিত রাস্তার কিছু অংশ মঙ্গলবার দুপুর তিনটার নাগাদ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বার্তায় দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান। এর আগে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া এক সতর্ক বার্তায় জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

বিগত দিনগুলোতে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছিল। উত্তর কোরিয়া অভিযোগ, তার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ড্রোনের সাহায্যে লিফলেট বিতরণ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ছাড়া বেলুনের সাহায্যে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় ময়লা আবর্জনা পাঠিয়েছিল বলে বিশ্ব গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সর্বশেষ রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটল। 

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অংশ থেকে এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল বিস্ফোরণের আগে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের সামরিক ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি বিস্ফোরণ স্থলের কাছাকাছি একটি ট্রাইপডে ক্যামেরা স্থাপন করছেন। ওই বিস্ফোরণে জিওংগুই রাস্তার কিছু অংশ উড়িয়ে দেওয়া হয়। 

আল-জাজিরা জানিয়েছে, উড়িয়ে দেওয়া হলেও দুটি রাস্তা দীর্ঘদিন বন্ধই ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাস্তা ধ্বংস করার মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নন। 

সাম্প্রতিক ড্রোন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য গত সোমবার কিম তার শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। এই বৈঠকের একদিন পরই রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ে ড্রোনের সাহায্যে লিফলেট ফেলে যাওয়ার ঘটনাটিকে ‘শত্রুর গুরুতর উসকানি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কিম জং উন। এ সময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দ্রুত সামরিক পদক্ষেপ এবং প্রতিরোধ যুদ্ধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন তিনি। 

পিয়ংইয়ংয়ে ড্রোন পাঠানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে উত্তর কোরিয়াকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত