
এক সন্তান বা দুই সন্তান নীতি বহু আগেই বাদ দিয়েছে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চীন। এশিয়ার এই পরাশক্তি অর্থনীতিকে সচল রাখতে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দেশটি এখন সন্তান নেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ফোন করছে। শুধু তাই নয়, সন্তান নিলে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪০ কোটির দেশ চীনে বয়স্ক জনসংখ্যার তুলনায় তরুণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। এ কারণে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে তরুণদের সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। তরুণ প্রজন্মকে প্রেম, বিয়ে ও সন্তান ধারণে উৎসাহী করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিবাহিত নারীদের ফোন করে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। একাধিক সন্তান নেওয়ার জন্য বাবা-মাকে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে স্থানীয় সরকার।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বিবাহিত নারীদের ফোন করে তাঁদের পরিবার পরিকল্পনা জানতে চাইছেন। বিবাহিত নারীদের বিনা মূল্যে প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কেউ কেউ জানান, একাধিক সন্তান থাকলে তাঁদের প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
ঝেজিয়াংয়ের বাসিন্দা এক নারী জানান, স্থানীয় কর্মকর্তারা দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ১৪ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রায়) প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর্থিক অবস্থা অনুসারে শিশুদের জন্য ভর্তুকি নির্ধারণ করেছে স্থানীয় সরকার।
এ ছাড়া বিয়ের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রেম, সন্তান ধারণ ও পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘প্রেম শেখানোর কোর্স’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত শিশু ধারণের উপকারিতা সম্পর্কে নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে।
একটি জরিপে দেখা গেছে, চীনের ৫৭ শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থী প্রেম করতে চায় না। কারণ হিসেবে তারা বলছে, পড়াশোনা ও প্রেম একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম চায়না পপুলেশন নিউজের বরাতে জিয়াংসু সিনহুয়া সংবাদপত্র জানায়, কলেজ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে প্রজননের মূল চালিকাশক্তি হবে। কিন্তু তাঁদের প্রেম ও বিয়ের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন। তাঁদের ভালোবাসা ও বিয়েবিষয়ক শিক্ষাগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই কোর্স বিয়ের স্বাস্থ্যগত, ইতিবাচকতা ও সন্তান ধারণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে বলে আশা করছে সরকার। চীন সরকার স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা যেন ‘সঠিক বয়সে’ বিয়ে এবং সন্তান ধারণের বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালায়, যাতে মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোতে সন্তান জন্মদানের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিপলস ডেইলি ও লাইফ টাইমস সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তান ধারণ মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং কিছু রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে।
তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীন সরকারের পদক্ষেপের ফলপ্রসূতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটিতে উচ্চ বেকারত্ব ও মন্দ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার খরচ কমানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
গত মাসে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ রেন জিপিং জানান, চীনের তিনটি প্রধান জনসংখ্যা সমস্যা রয়েছে। এগুলো হলো— পৌঢ়ত্ব, জন্মহার হ্রাস ও বিবাহের হার কমে যাওয়া। একদিকে সন্তানের সংখ্যা কমছে অন্যদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
বেইজিংয়ের পরিকল্পনার মধ্যে আরও রয়েছে, শিশু লালন–পালনের জন্য বাবা–মাকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়া হবে। করছাড় দেওয়া হবে। গত অক্টোবরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার স্টেট কাউন্সিল জানায়, তাঁরা একটি সন্তানবান্ধব দেশ গড়ার পরিকল্পনা তৈরি করছেন। দেশের অর্থনীতি সচল করার উদ্দেশ্যে একটি বৃহত্তর প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।
দীর্ঘ সময় ধরে ‘এক পরিবার, এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে। এর পরও জনসংখ্যা আশানুরূপ না বাড়ায় ২০২১ সালে তিন সন্তান নীতিতে যায় চীন।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ওয়াং ফেং বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ১৯৮০ সালে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল চীন। ৩৫ বছর ধরে দেশটিতে এই নীতি প্রচলিত থাকায় এর একটি সামাজিক প্রভাব রয়েছে। ফলে এখন এসে যখন একই রাষ্ট্রযন্ত্র বা ক্ষমতা ব্যবহার করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করলে তা আলোর মুখ দেখবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি নতুন বোতলে পুরোনো মদ, যা কার্যকর হবে না। দেরিতে বিবাহ এবং কম জন্মহারের পেছনের কারণগুলো সম্পূর্ণ আলাদা।’
নারীবাদী লেখিকা হিসেবে পরিচিত শেন ইয়াং বলেন, ‘চীন সরকার জন্মহার বাড়াতে চাইলে বাবা–মায়ের জন্য, বিশেষ করে একক মায়েদের জন্য, আরও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
চীনা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ওয়াং মনে করেন, আজকের উচ্চশিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে সন্তান নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা কঠিন হবে, বিশেষ করে তরুণীদের ক্ষেত্রে। কারণ, সন্তান ধারণের ফলে কর্মক্ষেত্র এবং জীবনযাপনের ব্যয় বাড়ার কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের।

এক সন্তান বা দুই সন্তান নীতি বহু আগেই বাদ দিয়েছে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চীন। এশিয়ার এই পরাশক্তি অর্থনীতিকে সচল রাখতে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দেশটি এখন সন্তান নেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ফোন করছে। শুধু তাই নয়, সন্তান নিলে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪০ কোটির দেশ চীনে বয়স্ক জনসংখ্যার তুলনায় তরুণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। এ কারণে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে তরুণদের সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। তরুণ প্রজন্মকে প্রেম, বিয়ে ও সন্তান ধারণে উৎসাহী করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিবাহিত নারীদের ফোন করে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। একাধিক সন্তান নেওয়ার জন্য বাবা-মাকে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে স্থানীয় সরকার।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বিবাহিত নারীদের ফোন করে তাঁদের পরিবার পরিকল্পনা জানতে চাইছেন। বিবাহিত নারীদের বিনা মূল্যে প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কেউ কেউ জানান, একাধিক সন্তান থাকলে তাঁদের প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
ঝেজিয়াংয়ের বাসিন্দা এক নারী জানান, স্থানীয় কর্মকর্তারা দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ১৪ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রায়) প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর্থিক অবস্থা অনুসারে শিশুদের জন্য ভর্তুকি নির্ধারণ করেছে স্থানীয় সরকার।
এ ছাড়া বিয়ের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রেম, সন্তান ধারণ ও পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘প্রেম শেখানোর কোর্স’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত শিশু ধারণের উপকারিতা সম্পর্কে নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে।
একটি জরিপে দেখা গেছে, চীনের ৫৭ শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থী প্রেম করতে চায় না। কারণ হিসেবে তারা বলছে, পড়াশোনা ও প্রেম একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম চায়না পপুলেশন নিউজের বরাতে জিয়াংসু সিনহুয়া সংবাদপত্র জানায়, কলেজ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে প্রজননের মূল চালিকাশক্তি হবে। কিন্তু তাঁদের প্রেম ও বিয়ের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন। তাঁদের ভালোবাসা ও বিয়েবিষয়ক শিক্ষাগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই কোর্স বিয়ের স্বাস্থ্যগত, ইতিবাচকতা ও সন্তান ধারণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে বলে আশা করছে সরকার। চীন সরকার স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা যেন ‘সঠিক বয়সে’ বিয়ে এবং সন্তান ধারণের বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালায়, যাতে মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এ ছাড়া গণমাধ্যমগুলোতে সন্তান জন্মদানের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিপলস ডেইলি ও লাইফ টাইমস সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তান ধারণ মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং কিছু রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে।
তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীন সরকারের পদক্ষেপের ফলপ্রসূতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশটিতে উচ্চ বেকারত্ব ও মন্দ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার খরচ কমানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
গত মাসে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ রেন জিপিং জানান, চীনের তিনটি প্রধান জনসংখ্যা সমস্যা রয়েছে। এগুলো হলো— পৌঢ়ত্ব, জন্মহার হ্রাস ও বিবাহের হার কমে যাওয়া। একদিকে সন্তানের সংখ্যা কমছে অন্যদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
বেইজিংয়ের পরিকল্পনার মধ্যে আরও রয়েছে, শিশু লালন–পালনের জন্য বাবা–মাকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়া হবে। করছাড় দেওয়া হবে। গত অক্টোবরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার স্টেট কাউন্সিল জানায়, তাঁরা একটি সন্তানবান্ধব দেশ গড়ার পরিকল্পনা তৈরি করছেন। দেশের অর্থনীতি সচল করার উদ্দেশ্যে একটি বৃহত্তর প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।
দীর্ঘ সময় ধরে ‘এক পরিবার, এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে। এর পরও জনসংখ্যা আশানুরূপ না বাড়ায় ২০২১ সালে তিন সন্তান নীতিতে যায় চীন।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ওয়াং ফেং বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ১৯৮০ সালে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল চীন। ৩৫ বছর ধরে দেশটিতে এই নীতি প্রচলিত থাকায় এর একটি সামাজিক প্রভাব রয়েছে। ফলে এখন এসে যখন একই রাষ্ট্রযন্ত্র বা ক্ষমতা ব্যবহার করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করলে তা আলোর মুখ দেখবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি নতুন বোতলে পুরোনো মদ, যা কার্যকর হবে না। দেরিতে বিবাহ এবং কম জন্মহারের পেছনের কারণগুলো সম্পূর্ণ আলাদা।’
নারীবাদী লেখিকা হিসেবে পরিচিত শেন ইয়াং বলেন, ‘চীন সরকার জন্মহার বাড়াতে চাইলে বাবা–মায়ের জন্য, বিশেষ করে একক মায়েদের জন্য, আরও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
চীনা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ওয়াং মনে করেন, আজকের উচ্চশিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে সন্তান নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা কঠিন হবে, বিশেষ করে তরুণীদের ক্ষেত্রে। কারণ, সন্তান ধারণের ফলে কর্মক্ষেত্র এবং জীবনযাপনের ব্যয় বাড়ার কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

দীর্ঘসময় ধরে ‘এক পরিবার এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

দীর্ঘসময় ধরে ‘এক পরিবার এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

দীর্ঘসময় ধরে ‘এক পরিবার এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

দীর্ঘসময় ধরে ‘এক পরিবার এক সন্তান নীতি’ কঠোরভাবে মেনে চলেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এক সন্তান নীতি চালু করে দেশটি। ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকলে ২০১৫ সালে দুই সন্তান নীতি চালু করে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১২ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১৫ ঘণ্টা আগে