শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পর এবার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করল পোল্যান্ড 

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

স্থানীয় কৃষকদের সুবিধা দিতে ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পোল্যান্ড। এবার দেশটি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে আর অস্ত্র সহায়তা পাঠাবে না। শস্য আমদানি বন্ধের বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘোষণা এল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করে ইউরোপের তিন দেশ—পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। দেশগুলোতে ইউক্রেনে শস্যের অবাধ আমদানির কারণে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের দাম কমে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এ কারণেই দেশ তিনটি ইউক্রেন থেকে শস্য ক্রয় নিষিদ্ধ করেছে।

এর আগে গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন থেকে কিছু শস্য রপ্তানি বৈধ ছিল। সেই শর্ত হলো—যে দেশ ইউক্রেনের শস্য কিনবে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও সেই শস্য বিক্রি করবে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি নিজ উদ্যোগে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

পরে উল্লিখিত দেশ তিনটি আমদানি নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন করেছে এমন অভিযোগ তুলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা করেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনে পোল্যান্ডের তরফ থেকে আর অস্ত্র সহায়তা পাঠানো হবে উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েস্কি বলেছেন, ‘আমরা আর ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছি না। কারণ, আমরা এখন পোল্যান্ডকে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র করার চেষ্টা করছি।’ রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই পোল্যান্ড কিয়েভের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সমর্থক এবং অস্ত্রের অন্যতম জোগানদাতা ছিল। এমনকি দেশটি কয়েক লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয়ও দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত