অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার স্বৈরশাসক মিত্রদের সরাসরি অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’ আজ রোববার ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার ইউপি-১০০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জালুঝনি এই মন্তব্য করেন। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক জেনারেল জালুঝনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ২০২৪ সালে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’ তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যার মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁর দেশ রাশিয়ায় মার্কিন ও ব্রিটিশ দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে।
জবাবে রাশিয়াও বিশ্বের যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি হুমকি দিয়েছে, রাশিয়া নিয়মিতই ইউক্রেন বিভিন্ন ধরনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জেনারেল জালুঝনি বলেন, ‘২০২৪ সালে ইউক্রেন আর শুধু রাশিয়ার মোকাবিলা করছে না। ইউক্রেনের সামনে এখন উত্তর কোরিয়ার সেনারা দাঁড়িয়ে আছে। বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিত। ইরানি শাহেদ ড্রোন উন্মুক্তভাবে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ হত্যা করছে, কোনো লজ্জা ছাড়াই। উত্তর কোরিয়া ও চীনের অস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত হানছে।’
জালুঝনি ইউক্রেনের মিত্রদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এখনো এই যুদ্ধে ইতি টানা সম্ভব, ইউক্রেনের মাটিতেই। কিন্তু আমাদের মিত্ররা যেন তা বুঝতেই চাইছেন না। এটা স্পষ্ট যে, ইউক্রেনের শত্রুর সংখ্যা এখন অনেক। ইউক্রেন প্রযুক্তি দিয়ে টিকে থাকবে, কিন্তু একা এই যুদ্ধে জয় পাওয়া কঠিন।’
জালুঝনির এই বক্তব্য তাঁর যুদ্ধসংক্রান্ত আগের সতর্কবার্তারই প্রতিফলন। গত বছর দ্য ইকোনমিস্টে লেখা একটি নিবন্ধেও তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো অচলাবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন, যা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ক্ষুব্ধ করে।
জেলেনস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জালুঝনিকে বরখাস্ত করেন। যুদ্ধ নিয়ে দুজনের ভিন্নমত এবং জালুঝনির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা—যা তাঁকে জেলেনস্কির রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল—এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখে।
জালুঝনি ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ ও পাল্টা আঘাতের পরিকল্পনার জন্য প্রশংসিত হন। তবে গত বছরের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণ এই সাফল্য ম্লান করে দেয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেকসান্দর সিরস্কি, যিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার স্বৈরশাসক মিত্রদের সরাসরি অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’ আজ রোববার ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদার ইউপি-১০০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জালুঝনি এই মন্তব্য করেন। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক জেনারেল জালুঝনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ২০২৪ সালে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’ তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যার মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁর দেশ রাশিয়ায় মার্কিন ও ব্রিটিশ দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে।
জবাবে রাশিয়াও বিশ্বের যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি হুমকি দিয়েছে, রাশিয়া নিয়মিতই ইউক্রেন বিভিন্ন ধরনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জেনারেল জালুঝনি বলেন, ‘২০২৪ সালে ইউক্রেন আর শুধু রাশিয়ার মোকাবিলা করছে না। ইউক্রেনের সামনে এখন উত্তর কোরিয়ার সেনারা দাঁড়িয়ে আছে। বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিত। ইরানি শাহেদ ড্রোন উন্মুক্তভাবে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ হত্যা করছে, কোনো লজ্জা ছাড়াই। উত্তর কোরিয়া ও চীনের অস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত হানছে।’
জালুঝনি ইউক্রেনের মিত্রদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এখনো এই যুদ্ধে ইতি টানা সম্ভব, ইউক্রেনের মাটিতেই। কিন্তু আমাদের মিত্ররা যেন তা বুঝতেই চাইছেন না। এটা স্পষ্ট যে, ইউক্রেনের শত্রুর সংখ্যা এখন অনেক। ইউক্রেন প্রযুক্তি দিয়ে টিকে থাকবে, কিন্তু একা এই যুদ্ধে জয় পাওয়া কঠিন।’
জালুঝনির এই বক্তব্য তাঁর যুদ্ধসংক্রান্ত আগের সতর্কবার্তারই প্রতিফলন। গত বছর দ্য ইকোনমিস্টে লেখা একটি নিবন্ধেও তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো অচলাবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন, যা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ক্ষুব্ধ করে।
জেলেনস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জালুঝনিকে বরখাস্ত করেন। যুদ্ধ নিয়ে দুজনের ভিন্নমত এবং জালুঝনির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা—যা তাঁকে জেলেনস্কির রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল—এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখে।
জালুঝনি ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ ও পাল্টা আঘাতের পরিকল্পনার জন্য প্রশংসিত হন। তবে গত বছরের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণ এই সাফল্য ম্লান করে দেয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেকসান্দর সিরস্কি, যিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোচনা শুরুর পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানালেন লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম। আজ শনিবার ফিলিস্তিনিদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অটল প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রমাণ। টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা গ্রেপ্তার স্থানীয় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবী সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন আদালত। আগামী সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
২ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি আগামীকাল রোববার গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। আজ শনিবার সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি আসতে চলেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ
৩ ঘণ্টা আগেব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি হয়। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে তাঁর নীতি সমালোচনার মুখে পড়লে দুজন সাংবাদিককে টেনে বের করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে