অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে পার্লামেন্ট তথা বুন্দেসট্যাগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার। বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, ফ্রেডরিখ মের্ৎসের নেতৃত্বে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন ইন ব্যাভারিয়ার (সিএসইউ) জোটের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। তবে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক সমর্থিত কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) দ্রুত উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্বাচন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা অবস্থানকে নড়বড়ে করে তুলেছেন। ট্রাম্পের সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের হুমকি জার্মান অর্থনীতির সংকট আরও গভীর করেছে, যা গত দুই বছর ধরে মন্দায় রয়েছে।
মিউনিখে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফ্রেডরিখ মের্ৎস রক্ষণশীলদের বিজয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ রোববার) আমরা নির্বাচন জিতব, আর তারপর এই সরকারের দুঃস্বপ্নের অবসান হবে।’ এ সময় তিনি আশ্বাস দেন, সংকটময় সময়ে তিনি ইউরোপে ‘এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর’ হয়ে থাকবেন।
নির্বাচনী প্রচারে নিরাপত্তা উদ্বেগ ও সামাজিক বিভাজন বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক একাধিক সহিংস হামলার পর এই বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে শুক্রবার বার্লিনের হলোকাস্ট স্মৃতিসৌধে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ইহুদি বিদ্বেষ থেকে এই হামলার সূত্রপাত।
এসব ঘটনায় অভিবাসন ও নিরাপত্তা নীতির প্রতি জনগণের ক্ষোভ বেড়েছে, যার ফলে এএফডির জনপ্রিয়তা ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। সমর্থনের হার বিচারে দলটির অবস্থান রক্ষণশীলদের পরেই। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এএফডি সমর্থন পেয়েছে। যার মধ্যে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স অন্যতম।
বার্লিনে এএফডির এক সমাবেশে দলের সমর্থক জুলিয়ান আদরাট আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী, আর ফলাফল যেমনই হোক না কেন, আমাদের সামনে আরও উন্নতির সুযোগ আছে।’
গত নভেম্বরে জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি জোট ভেঙে যাওয়ায় এই নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির মাত্র ১৫ শতাংশ সমর্থনে আছে।
এদিকে, মের্ৎস এএফডির সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বা গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘বামপন্থার অবসান হয়েছে...জার্মানিতে আর কোনো বামপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, আর বামপন্থী রাজনীতিও আর নেই।’
তিনি অভিবাসন কঠোর করার, কল্যাণ ভাতা কমানোর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির প্রভাব পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ইউরোপকে আবার শক্তিশালী হতে হবে এবং জার্মানিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে পার্লামেন্ট তথা বুন্দেসট্যাগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার। বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, ফ্রেডরিখ মের্ৎসের নেতৃত্বে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন ইন ব্যাভারিয়ার (সিএসইউ) জোটের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। তবে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক সমর্থিত কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) দ্রুত উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্বাচন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা অবস্থানকে নড়বড়ে করে তুলেছেন। ট্রাম্পের সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের হুমকি জার্মান অর্থনীতির সংকট আরও গভীর করেছে, যা গত দুই বছর ধরে মন্দায় রয়েছে।
মিউনিখে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফ্রেডরিখ মের্ৎস রক্ষণশীলদের বিজয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ রোববার) আমরা নির্বাচন জিতব, আর তারপর এই সরকারের দুঃস্বপ্নের অবসান হবে।’ এ সময় তিনি আশ্বাস দেন, সংকটময় সময়ে তিনি ইউরোপে ‘এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর’ হয়ে থাকবেন।
নির্বাচনী প্রচারে নিরাপত্তা উদ্বেগ ও সামাজিক বিভাজন বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক একাধিক সহিংস হামলার পর এই বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে শুক্রবার বার্লিনের হলোকাস্ট স্মৃতিসৌধে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ইহুদি বিদ্বেষ থেকে এই হামলার সূত্রপাত।
এসব ঘটনায় অভিবাসন ও নিরাপত্তা নীতির প্রতি জনগণের ক্ষোভ বেড়েছে, যার ফলে এএফডির জনপ্রিয়তা ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। সমর্থনের হার বিচারে দলটির অবস্থান রক্ষণশীলদের পরেই। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এএফডি সমর্থন পেয়েছে। যার মধ্যে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স অন্যতম।
বার্লিনে এএফডির এক সমাবেশে দলের সমর্থক জুলিয়ান আদরাট আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী, আর ফলাফল যেমনই হোক না কেন, আমাদের সামনে আরও উন্নতির সুযোগ আছে।’
গত নভেম্বরে জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি জোট ভেঙে যাওয়ায় এই নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির মাত্র ১৫ শতাংশ সমর্থনে আছে।
এদিকে, মের্ৎস এএফডির সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বা গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘বামপন্থার অবসান হয়েছে...জার্মানিতে আর কোনো বামপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, আর বামপন্থী রাজনীতিও আর নেই।’
তিনি অভিবাসন কঠোর করার, কল্যাণ ভাতা কমানোর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির প্রভাব পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ইউরোপকে আবার শক্তিশালী হতে হবে এবং জার্মানিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’
প্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচীনের এক তরুণী আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে অফিসের টয়লেটে বসবাস করছেন। মাসে মাত্র ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৭ মার্কিন ডলার) ভাড়ায় তিনি এই ৬ বর্গমিটারের অস্বাস্থ্যকর স্থানটিতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই মর্মস্পর্শী এক গল্প উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান। গতকাল রোববার এই তিন এশীয় রপ্তানিনির্ভর দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তাঁরা আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে
২ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই কূটনৈতিক ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে