অনলাইন ডেস্ক
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রুশ বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে রাশিয়ার ৬ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। নাভালনি রাশিয়ার যে কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন সেই আর্কটিক পেনাল কলোনির শীর্ষ ৬ কারা কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য। এমনকি তাঁদের যুক্তরাজ্য ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্য এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বলা হয়েছে, কারাগারে পুতিনের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনাকারীর মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। দায়ী করা হচ্ছে পুতিন প্রশাসনকে। তবে ক্রেমলিন এবং পুতিনের কাছ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আর্কটিক পেনাল কলোনি কারাগারের প্রধান এবং পাঁচজন উপপ্রধানসহ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, রুশ কর্তৃপক্ষ নাভালনিকে হুমকি হিসেবে দেখেছে এবং তারা তাকে চুপ করানোর জন্যই বারবার চেষ্টা করেছে।’
ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, ‘রুশ ব্যবস্থার নিপীড়নমূলক প্রকৃতি নিয়ে কারও মনে সন্দেহ থাকা উচিত নয়। যারা নাভালনির নৃশংস পরিণতির জন্য দায়ী, আমরা তাদের জবাবদিহি করব। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রথম কোনো দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। তবে লন্ডনে রুশ দূতাবাস যুক্তরাজ্যের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে, যুক্তরাজ্য রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং নাভালনির মৃত্যুর তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রায় দিচ্ছে।
লন্ডনে রুশ দূতাবাসের বিবৃতিটি উদ্ধৃত করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো বলেছে, ‘আমরা লন্ডনের সিদ্ধান্তকে নিরর্থক এবং আইনগতভাবে বাতিল ও অকার্যকর বলে মনে করি। রুশবিরোধী আগের সব উসকানির মতো এটিও উত্তর দেওয়া হবে না।’
যাদের ওপর যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা হলেন—পেনাল কলোনির প্রধান কর্নেল ভাদিম কনস্টান্টিনোভিচ কালিনিন এবং উপপ্রধান লে. কর্নেল সের্গেই নিকোলাভিচ করজভ, ভ্যাসিলি আলেকজান্দ্রোভিচ ভিড্রিন, ভ্লাদিমির ইভানোভিচ পিলিপচিক, আলেকজান্ডার ভ্লাদিমিরোভিচ গোলিয়াকভ ও কর্নেল আলেকজান্ডার ভ্যালেরিভিচ ওব্রাজতসভ।
গত শুক্রবার সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এরপরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী বলে পরিচিত নোভায়া গেজেটা নামক গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যারামেডিক বলেছেন যে, নাভালনির লাশ সালেখার্ড অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে আনা হয়। লাশের মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টরবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রুশ বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে রাশিয়ার ৬ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। নাভালনি রাশিয়ার যে কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন সেই আর্কটিক পেনাল কলোনির শীর্ষ ৬ কারা কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য। এমনকি তাঁদের যুক্তরাজ্য ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্য এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বলা হয়েছে, কারাগারে পুতিনের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনাকারীর মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। দায়ী করা হচ্ছে পুতিন প্রশাসনকে। তবে ক্রেমলিন এবং পুতিনের কাছ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আর্কটিক পেনাল কলোনি কারাগারের প্রধান এবং পাঁচজন উপপ্রধানসহ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, রুশ কর্তৃপক্ষ নাভালনিকে হুমকি হিসেবে দেখেছে এবং তারা তাকে চুপ করানোর জন্যই বারবার চেষ্টা করেছে।’
ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, ‘রুশ ব্যবস্থার নিপীড়নমূলক প্রকৃতি নিয়ে কারও মনে সন্দেহ থাকা উচিত নয়। যারা নাভালনির নৃশংস পরিণতির জন্য দায়ী, আমরা তাদের জবাবদিহি করব। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রথম কোনো দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। তবে লন্ডনে রুশ দূতাবাস যুক্তরাজ্যের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে, যুক্তরাজ্য রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং নাভালনির মৃত্যুর তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রায় দিচ্ছে।
লন্ডনে রুশ দূতাবাসের বিবৃতিটি উদ্ধৃত করে রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো বলেছে, ‘আমরা লন্ডনের সিদ্ধান্তকে নিরর্থক এবং আইনগতভাবে বাতিল ও অকার্যকর বলে মনে করি। রুশবিরোধী আগের সব উসকানির মতো এটিও উত্তর দেওয়া হবে না।’
যাদের ওপর যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা হলেন—পেনাল কলোনির প্রধান কর্নেল ভাদিম কনস্টান্টিনোভিচ কালিনিন এবং উপপ্রধান লে. কর্নেল সের্গেই নিকোলাভিচ করজভ, ভ্যাসিলি আলেকজান্দ্রোভিচ ভিড্রিন, ভ্লাদিমির ইভানোভিচ পিলিপচিক, আলেকজান্ডার ভ্লাদিমিরোভিচ গোলিয়াকভ ও কর্নেল আলেকজান্ডার ভ্যালেরিভিচ ওব্রাজতসভ।
গত শুক্রবার সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এরপরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী বলে পরিচিত নোভায়া গেজেটা নামক গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যারামেডিক বলেছেন যে, নাভালনির লাশ সালেখার্ড অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে আনা হয়। লাশের মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টরবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা রায়ান বর্গওয়ার্ট। সম্প্রতি এই কায়াকার নিজের ডুবে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রায়ান বর্তমানে পূর্ব ইউরোপের কোথাও জীবিত আছেন।
৩ মিনিট আগেগাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ছয়টি মহাদেশের ১২৪টি দেশে তাঁরা আটক হতে পারেন।
৩০ মিনিট আগেকলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে