স্কুলে লিঙ্গ পরিচয় শিক্ষা নিষিদ্ধের আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাব পাস করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির নতুন খসড়া আইন অনুসারে, ব্রিটিশ স্কুলগুলোতে ১৮ বছরের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জেন্ডার আইডেনটিটি বা লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কে কোনো শিক্ষা দেওয়া হবে না। 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ব্রিটিশ সরকার বিবিসিকে জানিয়েছে, ৯ বছরের অল্প বয়সীদের জন্য সব ধরনের যৌন ও লিঙ্গ পরিচয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা চলছে। 

খসড়ায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে উদ্বেগে ভোগা তরুণ-তরুণীদের হরমোন চিকিৎসার ওপর ‘কড়া সতর্কতা’ জারির ওপর গুরুত্ব দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে তীব্র সমালোচনার মুখে বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাজ্যে লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণ নিয়ে কাজ করা প্রথম সংস্থাটি, যার পরিচালনায় ছিল টাভিস্টক ও পোর্টম্যান এনএইচএস ট্রাস্ট। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা এ সংক্রান্ত জটিল চিকিৎসার সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নির্ধারণ করে ফেলতো।

ব্রিটিশ শিক্ষা বিভাগের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন খসড়া নির্দেশিকাতে থাকা প্রস্তাব অনুযায়ী, যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীদের লিঙ্গ পরিচয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক তত্ত্ব শেখানো থেকে দূরে রাখা হবে। 

ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান বলেন, শিশুরা যাতে অল্প বয়সেই লিঙ্গ পরিচয় সংক্রান্ত জটিল আলোচনার সংস্পর্শে না আসে ও তাঁদের নিষ্পাপ শৈশব যাতে নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এ প্রস্তাব।

ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী আর বলেন, নতুন নির্দেশিকাতে সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সংক্রান্ত শিক্ষার জন্য স্পষ্ট বয়সসীমা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে যে লিঙ্গ পরিচয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয় পড়ানো উচিত নয়।

২০২০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যৌনশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের থেকে এই বিষয়ক পাঠদান শুরু হয়। কিন্তু লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতা ক্রমেই দেশটির রক্ষণশীল ও উদারপন্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক যুদ্ধের বিষয় হয়ে উঠেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘অভিভাবকেরা গভীরভাবে বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের সন্তানরা যতক্ষণ স্কুলে থাকে, ততক্ষণ নিরাপদ থাকে ও সেখানে বাচ্চাদের বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়, এমন কিছু শেখানো হয় না। এই প্রস্তাব অভিভাবকদের বিশ্বাস আরও শক্ত করতে ও আমাদের সন্তানদের নিরাপদ রাখতে আর বেশি সাহায্য করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত