Ajker Patrika

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জার্মানিতে তিনজন গ্রেপ্তার

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জার্মানিতে তিনজন গ্রেপ্তার

সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রযুক্তি চীনের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হস্তান্তরের অভিযোগে তিন জার্মান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার জার্মানির কৌঁসুলিদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি দিয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের চীন সফরের এক সপ্তাহ পরেই গ্রেপ্তারের এই ঘটনা ঘটল। ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার যুদ্ধকালীন অর্থনীতির প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন, মেধা সম্পত্তি চুরি এবং ন্যায্য বাজারে প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত কয়েকটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চীন সফর করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর।

চীনকে অংশীদার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী—দুটোই মনে করে জার্মানি। রাশিয়ায় চীনের দ্বৈত ব্যবহার উপযোগী পণ্য রপ্তানি করার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটি। কারণ, রপ্তানি করা সেসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়।

কৌঁসুলিদের মতে, গ্রেপ্তারকৃতদের দুজন হলেন হারউইগ এফ. এবং ইনা এফ. । এই দম্পতি ডুসেলডর্ফে একটি কোম্পানি চালান। এই দম্পতি তাদের কোম্পানির মাধ্যমে একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। অপরজনের নাম টমাস আর.—যাকে কৌঁসুলিরা চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের (এমএসএস) একজন কর্মচারীর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এক বিবৃতিতে জার্মান কৌঁসুলিরা বলেন, হারউইগ এফ. এবং ইনা এফ. দম্পতির সঙ্গে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়টির চুক্তির এক অংশে একটি গবেষণার সম্পর্কেও বলা হয়েছে। চীনা চুক্তিভিত্তিক অংশীদারের জন্য মেশিনের যন্ত্রাংশের ওপর সেই গবেষণায় যুদ্ধজাহাজের মতো শক্তিশালী সামুদ্রিক ইঞ্জিন পরিচালনার বিষয়ে বলা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের চুক্তিভিত্তিক সেই অংশীদার হচ্ছে এমএসএসের একজন কর্মচারী—যার কাছ থেকেই নির্দেশনা পেয়েছিলেন টমাস আর.।

কৌঁসুলিরা বলেন, সন্দেহভাজনরা এমএসএসের পক্ষে জার্মানি থেকে একটি বিশেষ লেজারও কিনেছিলেন এবং সেই টাকা পরিশোধ করেছে এমএসএস। এরপর অনুমোদন ছাড়াই লেজারটি চীনে রপ্তানি করেছিলেন তারা। তবে লেজারটি কীসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে তা নির্দিষ্ট করেননি কৌঁসুলিরা।

গত বছর জার্মান সরকার একটি কৌশলপত্র পেশ করেছিল—যেখানে চীনকে একই সঙ্গে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার এবং পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত সপ্তাহে জার্মানি রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই রুশ-জার্মান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির সামরিক সমর্থনকে খর্ব করার লক্ষ্যে নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত