জন্মহার বাড়াতে পিতৃত্ব-মাতৃত্বকালীন ভাতা বাড়াচ্ছে ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৫৯
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১২

জন্মহার বাড়াতে সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনের সময় কর্মজীবী মা-বাবাদের ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। এ জন্য পিতৃত্ব-মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধানে সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বছর ফ্রান্সে ৬ লাখ ৭৮ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৭ শতাংশ কম এবং ২০২০ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বনিম্ন জন্মহার ছিল। জন্মহারের এই পতনকে সংকট হিসেবে দেখছে ফ্রান্স।

কয়েক দশক ধরে জন্মহারে ইউরোপের অন্য দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। স্বাস্থ্য ও শিশুসেবা ব্যবস্থাসহ কর মওকুফের কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। তিন বা ততোধিক সন্তান জন্মদানে নানা সুবিধাও দেওয়া হতো।

গত বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বনিম্ন জন্মহার দেখেছে ফ্রান্স।গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ বলেন, জন্মহার আবার আগের মতো হলেই কেবল ফ্রান্স শক্তিশালী হবে। এ জন্য ভাতা বাড়ানোসহ পিতৃত্ব-মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান সংস্কার করা হবে, যাতে মা-বাবা দুজনই অন্তত ছয় মাস তাঁদের সন্তানের সঙ্গে থাকতে পারেন।

ফরাসি কর্মজীবী মা-বাবারা এখন সন্তানের জন্ম ও লালন-পালনের জন্য ছয় মাসের মৌলিক ছুটির পর এক বছরের বাড়তি ছুটি নিতে পারেন। এই ছুটিও দুবার নবায়ন করা যাবে।

এই ছুটির সময়ে প্রতি মাসে ৪৩৫ ডলার ভাতা দেওয়া হয়, যা অপ্রতুল। মাখোঁ বলছেন, কিছু কিছু অভিভাবকের কাছে এই স্বল্প ভাতা উদ্বেগের কারণ।

সরকারি হিসাবে, ২০২২ সালে মাপ্রতি গড় সন্তান জন্মদানের সংখ্যা ১ দশমিক ৭৯ জন থেকে গত বছর ১ দশমিক ৬৮ জনে নেমে এসেছে; যা তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রান্সের জন্মহার ছিল সর্বোচ্চ এবং চেক প্রজাতন্ত্রের ছিল ১ দশমিক ৮৩ জন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত