মাতৃত্ব ও সৌন্দর্যের জন্য রুশ নারীদের প্রশংসায় পুতিন

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

মাতৃত্ব, মোহনীয়তা এবং সৌন্দর্যের জন্য রুশ নারীদের প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দেশটির জন্মহার বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রচারণার অংশ হিসেবে আলাদা করে রুশ নারীদের প্রশংসা করেছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সোভিয়েত আমল থেকেই ছুটির দিনটি রাশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। ফুল, মিষ্টি ও অন্যান্য নানা উপহারের মাধ্যমে দিনটিকে উদ্‌যাপন করে রুশরা। এ বছর দিনটিতে নারীদের নারীত্বের গুণাবলি এবং গৃহস্থালি কাজ পরিচালনায় তাদের দক্ষতার প্রশংসা করে বক্তৃতা দিয়েছেন পুতিন।

এ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় পরিবারের স্বার্থ ও চাহিদা আজ আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, আমাদের পরম অগ্রাধিকার। পরিবার, সন্তান এবং অল্পবয়সী বাবা-মায়েরা যাতে রাষ্ট্রের সাহায্য এবং উদ্বেগ অনুভব করে সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করব।’

নারীদের সরাসরি সম্বোধন করে পুতিন বলেন যে, ‘যত্নের সঙ্গে অনেক জটিল কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই করে ফেলার ক্ষমতা আছে নারীদের। নিজস্ব ঢঙে ও যত্নের সঙ্গে সবকিছু করার ক্ষমতা দিয়ে তাঁরা পুরুষদের প্রভাবিত করতে পারেন। অনেক অসুবিধা ও দুশ্চিন্তার মধ্যেও আপনারা যেভাবে সবকিছু মোকাবিলা করেন তাতে সবই কমনীয় এবং সুন্দর থাকে। এর প্রশংসা না করে কি পারা যায়?’

১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ায় জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। সে সঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির তিন লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়ানোকে আসছে দশকে রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য বলে অভিহিত করেছেন পুতিন।

গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে রুশ সমাজের জীবন দর্শন এবং সরকারি কৌশলের মানদণ্ড হিসেবে বৃহৎ পরিবারগুলোকে ‘আদর্শ’ হওয়ার কথা বলেছেন পুতিন। তিন বা তার বেশি সন্তানের পরিবারকে ‘রাশিয়ার গর্ব’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।

এ বছর প্রেসিডেন্টের অভিবাদন পর্বে ইউক্রেনের সঙ্গে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে জড়িত নারীদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে তিনি। যারা সামরিক কাজ করছেন এবং যে নারীরা যুদ্ধে যাওয়া তাদের স্বামী-সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাদের আলাদা করে প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

পারিবারিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার ধারণাকে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন পুতিন। বিশেষ করে, যৌনতা ও সমকামী বিবাহের ব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে পশ্চিমা বিশ্বের আইনি বৈধতা দেওয়াকে তিনি নৈতিক অবক্ষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট গত নভেম্বরে সমলিঙ্গের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত