অনলাইন ডেস্ক
ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি তাঁর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এবার টিউলিপকে এমপি পদ ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এমপি ছাড়ার দাবির মুখে পড়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক চলতি মাসেই ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তাঁর পরিবারেরা সদস্যরা বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লরি ম্যাগনাস জানান, টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর কাছে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে জনগণকে ‘ভুল তথ্য’ দিয়েছিলেন। টিউলিপ দাবি করেছিলেন, তাঁকে লন্ডনের কিংস ক্রসে কোনো ফ্ল্যাট তাঁকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়নি।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে। আগামীকাল সোমবার এক পিটিশনের মাধ্যমে তাঁকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে।
এই বিষয়ে টিউলিপের আসনে বিরোধী দলের নেতার লিফলেট বিতরণ করেছেন। কিছু লিফলেটে টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেছেন, ‘সে সবার ধারণার মতো ভদ্র মেয়ে নয়।’
এর আগে, টিউলিপ সিদ্দিক গত ১৪ জানুয়ারি ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর ঠিক ২৬ দিন আগে ডেইলি মেইলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তের খবর প্রকাশিত হয়। সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী লেবার পার্টির প্রধান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস জানান, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক আরও সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত বাড়িগুলোর কর এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়াটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।
টিউলিপ সিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের মুখে পড়েন। পরে তাঁকে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে হয়। বিষয়টিকে স্যার লরি ম্যাগনাস ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেন। স্যার লরি তাঁর তদন্ত প্রতিবেদনের উপসংহারে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও স্যার কিয়ের স্টারমারকে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।
এরপর টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর জন্য ‘ভবিষ্যতে দরজা খোলা থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি তাঁর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এবার টিউলিপকে এমপি পদ ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এমপি ছাড়ার দাবির মুখে পড়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক চলতি মাসেই ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তাঁর পরিবারেরা সদস্যরা বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল তছরুপ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লরি ম্যাগনাস জানান, টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর কাছে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে জনগণকে ‘ভুল তথ্য’ দিয়েছিলেন। টিউলিপ দাবি করেছিলেন, তাঁকে লন্ডনের কিংস ক্রসে কোনো ফ্ল্যাট তাঁকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়নি।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে। আগামীকাল সোমবার এক পিটিশনের মাধ্যমে তাঁকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে।
এই বিষয়ে টিউলিপের আসনে বিরোধী দলের নেতার লিফলেট বিতরণ করেছেন। কিছু লিফলেটে টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেছেন, ‘সে সবার ধারণার মতো ভদ্র মেয়ে নয়।’
এর আগে, টিউলিপ সিদ্দিক গত ১৪ জানুয়ারি ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর ঠিক ২৬ দিন আগে ডেইলি মেইলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তের খবর প্রকাশিত হয়। সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী লেবার পার্টির প্রধান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস জানান, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক আরও সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত বাড়িগুলোর কর এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়াটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।
টিউলিপ সিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের মুখে পড়েন। পরে তাঁকে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে হয়। বিষয়টিকে স্যার লরি ম্যাগনাস ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেন। স্যার লরি তাঁর তদন্ত প্রতিবেদনের উপসংহারে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও স্যার কিয়ের স্টারমারকে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।
এরপর টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর জন্য ‘ভবিষ্যতে দরজা খোলা থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। পেসকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গঠন
১৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সফলতা প্রদর্শনে বড় ধরনের বাজি ধরতে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বর্ণযুগ’ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেনেপালে রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী কমান্ডার দুর্গা প্রসাদ। মাওবাদী নেতার হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠা পরিস্থিতিকে আরও জটিল
১৪ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে