অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সঙ্গে একমত, তবে সমঝোতার প্রকৃতি নিয়ে ‘প্রশ্ন’ আছে বলে উল্লেখ করেছেন এবং বেশ কিছু কঠিন শর্তও সামনে এনেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয়দের জন্য দুটি পথ খোলা আছে, আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাবের বিপরীতে পুতিনের প্রতিক্রিয়াকে ‘কৌশলী চাল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, ‘ধারণাটি ঠিক আছে এবং আমরা এটি সমর্থন করি। কিন্তু, কিছু প্রশ্ন আছে যা নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির ফলে একটি স্থায়ী শান্তি আসা উচিত এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা উচিত।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আমেরিকান সহকর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। হতে পারে, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ফোনালাপ করব।’ তিনি যোগ করেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি লাভজনক হবে। আমরা এর পক্ষে, তবে কিছু সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে।’
পুতিন বলেন, বিতর্কের একটি বড় বিষয় হলো—রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল, যেখানে গত বছর ইউক্রেন সামরিক অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকা দখল করেছিল। তিনি দাবি করেন, রাশিয়া এখন পুরোপুরি কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ‘বিচ্ছিন্ন অবস্থায়’ আছে।
পুতিন বলেন, ‘তারা (ইউক্রেনীয় বাহিনী) বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে আছি। তাদের সরঞ্জাম ফেলে রেখে যেতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুরস্কে ইউক্রেনীয়দের জন্য দুটি পথ খোলা—আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু।’
যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরে পুতিন প্রশ্ন করেন, ‘এই ৩০ দিন কীভাবে ব্যবহার করা হবে? ইউক্রেন কি এই সময়ে সেনা সমাবেশ করবে? পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করবে? সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে? নাকি এসব কিছুই করবে না? তাহলে প্রশ্ন ওঠে—এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে?’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘কে লড়াই বন্ধের আদেশ দেবে? এর মূল্য কত হবে? ২ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা কে নির্ধারণ করবে? এসব প্রশ্ন উভয় পক্ষের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কে পর্যবেক্ষণ করবে?’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ‘পুতিন সরাসরি না বলেন না, কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন, অবশ্যই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি বলতে ভয় পাচ্ছেন যে—তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, ইউক্রেনীয়দের হত্যা করতে চান।’ জেলেনস্কি দাবি করেন, ‘পুতিন এত বেশি পূর্বশর্ত দিয়েছেন যে, এর ফলে কিছুই সম্ভব হবে না।’
পুতিনের মন্তব্য ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়ার পর, দুই পক্ষের অবস্থানের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেন চায় একটি দুই-পর্যায়ের প্রক্রিয়া—প্রথমে দ্রুত যুদ্ধবিরতি, তারপর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিয়ে আলোচনা। রাশিয়া মনে করে, এই দুটি প্রক্রিয়াকে আলাদা করা যাবে না এবং সব বিষয় এক চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। ফলে উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
ইউক্রেন বিশ্বাস করে, রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের ‘বিলম্বকারী শান্তিরক্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব। অন্যদিকে, রাশিয়া মনে করে, এটি তাদের জন্য মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার সুযোগ—ন্যাটো সম্প্রসারণ ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিয়ে।
তবে এই পরিস্থিতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত সমাধান চান এবং কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান। কিন্তু এই মুহূর্তে, পুতিন আপসের জন্য খুব একটা আগ্রহী মনে হচ্ছেন না।
হোয়াইট হাউসে পুতিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি রুশ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ‘অত্যন্ত আগ্রহী’ এবং রাশিয়া ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হোক।’
এর আগে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে ওভাল অফিসে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইতিমধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এ ব্যাপারে সবাই জানে কী হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে ভূখণ্ড এবং কিছু অংশ সংরক্ষণ ও হারানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, পাশাপাশি চূড়ান্ত চুক্তির অন্যান্য উপাদানগুলোও।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি চূড়ান্ত চুক্তির অনেক বিশদ আসলে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে।’
রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল কেনার জন্য অন্যান্য দেশের পেমেন্ট ব্যবস্থা কঠোরভাবে সীমিত করেছে। এ দিকে, পুতিন মস্কোতে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। এর আগের দিন, ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে, গত বুধবার ক্রেমলিন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে পুতিনকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সফর করতে দেখা যায়। তিনি প্রতীকীভাবে সামরিক পোশাক পরেছিলেন। পরে রাশিয়া ঘোষণা করে, তারা গুরুত্বপূর্ণ সুদজা শহর পুনর্দখল করেছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০% ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ৯৫ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। ইউক্রেন সর্বশেষ তাদের হতাহতের সংখ্যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করেছিল, যখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধের ফলে ৪৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বিশ্বাস করেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সঙ্গে একমত, তবে সমঝোতার প্রকৃতি নিয়ে ‘প্রশ্ন’ আছে বলে উল্লেখ করেছেন এবং বেশ কিছু কঠিন শর্তও সামনে এনেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয়দের জন্য দুটি পথ খোলা আছে, আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাবের বিপরীতে পুতিনের প্রতিক্রিয়াকে ‘কৌশলী চাল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, ‘ধারণাটি ঠিক আছে এবং আমরা এটি সমর্থন করি। কিন্তু, কিছু প্রশ্ন আছে যা নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির ফলে একটি স্থায়ী শান্তি আসা উচিত এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা উচিত।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আমেরিকান সহকর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। হতে পারে, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ফোনালাপ করব।’ তিনি যোগ করেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি লাভজনক হবে। আমরা এর পক্ষে, তবে কিছু সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে।’
পুতিন বলেন, বিতর্কের একটি বড় বিষয় হলো—রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল, যেখানে গত বছর ইউক্রেন সামরিক অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকা দখল করেছিল। তিনি দাবি করেন, রাশিয়া এখন পুরোপুরি কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ‘বিচ্ছিন্ন অবস্থায়’ আছে।
পুতিন বলেন, ‘তারা (ইউক্রেনীয় বাহিনী) বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে আছি। তাদের সরঞ্জাম ফেলে রেখে যেতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুরস্কে ইউক্রেনীয়দের জন্য দুটি পথ খোলা—আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যু।’
যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁর উদ্বেগ তুলে ধরে পুতিন প্রশ্ন করেন, ‘এই ৩০ দিন কীভাবে ব্যবহার করা হবে? ইউক্রেন কি এই সময়ে সেনা সমাবেশ করবে? পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করবে? সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে? নাকি এসব কিছুই করবে না? তাহলে প্রশ্ন ওঠে—এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে?’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘কে লড়াই বন্ধের আদেশ দেবে? এর মূল্য কত হবে? ২ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা কে নির্ধারণ করবে? এসব প্রশ্ন উভয় পক্ষের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কে পর্যবেক্ষণ করবে?’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ‘পুতিন সরাসরি না বলেন না, কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন, অবশ্যই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি বলতে ভয় পাচ্ছেন যে—তিনি এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, ইউক্রেনীয়দের হত্যা করতে চান।’ জেলেনস্কি দাবি করেন, ‘পুতিন এত বেশি পূর্বশর্ত দিয়েছেন যে, এর ফলে কিছুই সম্ভব হবে না।’
পুতিনের মন্তব্য ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়ার পর, দুই পক্ষের অবস্থানের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেন চায় একটি দুই-পর্যায়ের প্রক্রিয়া—প্রথমে দ্রুত যুদ্ধবিরতি, তারপর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিয়ে আলোচনা। রাশিয়া মনে করে, এই দুটি প্রক্রিয়াকে আলাদা করা যাবে না এবং সব বিষয় এক চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। ফলে উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
ইউক্রেন বিশ্বাস করে, রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের ‘বিলম্বকারী শান্তিরক্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব। অন্যদিকে, রাশিয়া মনে করে, এটি তাদের জন্য মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার সুযোগ—ন্যাটো সম্প্রসারণ ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিয়ে।
তবে এই পরিস্থিতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত সমাধান চান এবং কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান। কিন্তু এই মুহূর্তে, পুতিন আপসের জন্য খুব একটা আগ্রহী মনে হচ্ছেন না।
হোয়াইট হাউসে পুতিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি রুশ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ‘অত্যন্ত আগ্রহী’ এবং রাশিয়া ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হোক।’
এর আগে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে ওভাল অফিসে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইতিমধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এ ব্যাপারে সবাই জানে কী হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে ভূখণ্ড এবং কিছু অংশ সংরক্ষণ ও হারানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, পাশাপাশি চূড়ান্ত চুক্তির অন্যান্য উপাদানগুলোও।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি চূড়ান্ত চুক্তির অনেক বিশদ আসলে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে।’
রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল কেনার জন্য অন্যান্য দেশের পেমেন্ট ব্যবস্থা কঠোরভাবে সীমিত করেছে। এ দিকে, পুতিন মস্কোতে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। এর আগের দিন, ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে, গত বুধবার ক্রেমলিন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে পুতিনকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সফর করতে দেখা যায়। তিনি প্রতীকীভাবে সামরিক পোশাক পরেছিলেন। পরে রাশিয়া ঘোষণা করে, তারা গুরুত্বপূর্ণ সুদজা শহর পুনর্দখল করেছে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০% ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ৯৫ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। ইউক্রেন সর্বশেষ তাদের হতাহতের সংখ্যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করেছিল, যখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধের ফলে ৪৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বিশ্বাস করেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের খাদ্য সহায়তা কমানোর ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ইউএসএআইডির ৮৩ তহবিল বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষেরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে...
১৭ মিনিট আগেওমব্যাট হলো—ছোট পা-ওয়ালা, পেশিবহুল চতুর্মুখী থলেধারী একটি প্রাণী, যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বিচরণ করে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে ওমব্যাটের একটি ছানাকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে ফেলায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েন সাম জোনস নামে এক মার্কিন নারী ইনফ্লুয়েন্সার।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধ শেষ হওয়ার ‘জোর সম্ভাবনা’ রয়েছে বলেও জানান তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি (এসএফএ) জানিয়েছে, ‘কপি পেনুমবুক’ নামের ওই কফি মিশ্রণটি স্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল। পরে এটির মধ্যে ‘তাডালাফিল’ নামে একটি শক্তিশালী ওষুধের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এই ওষুধটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে