নিজেদের তৈরি প্রথম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বেচল ভারত, কিনল ফিলিপাইন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ৩৩
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৩৩

ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের কাছে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল বিক্রি করেছে। আজ শুক্রবার ভারতীয় এয়ার ফোর্সের সি-১৭ বিমান ব্রহ্মস মিসাইলের প্রথম চালান নিয়ে ম্যানিলায় পৌঁছেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

২০২২ সালে স্বাক্ষরিত ফিলিপাইনের সঙ্গে ভারতের ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার অস্ত্র চুক্তির অংশ হিসেবে এই মিসাইল ফিলিপাইনে পৌঁছাল। এটিকে ভারতের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অবস্থানে এক বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

ভারতীয় মিসাইল ফিলিপাইনে পৌঁছানোর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভারত থেকে ব্রহ্মস মিসাইলের লটটি নিয়ে ভারতীয় এয়ারক্রাফটটি ফিলিপাইনের মাটিতে অবতরণের পর ভারতীয় এয়ারফোর্স, নৌবাহিনী ও ব্রহ্মস দলের সদস্যরা ফিলিপাইনের মেরিন কর্পস সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে এসব ব্রহ্মস মিসাইল ভারত থেকে ফিলিপাইনে রপ্তানির জন্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করে দিল্লি। 

এই প্রথম ভারত ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বিদেশি কোনো দেশে রপ্তানি করল। ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল সিস্টেমের জন্য গ্রাউন্ড সিস্টেম রপ্তানি শুরু হয় গত মাসে।

দক্ষিণ চীন সাগরে ঘন ঘন সংঘর্ষে ফিলিপাইন-চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে থাকার সময় ভারত এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাল ফিলিপাইনে। ফিলিপাইন নিরাপত্তার জন্য ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার তিনটি ব্যাটারি উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করবে। 

ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার সমন্বয়ে একটি যৌথ উদ্যোগ। একে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। ব্রহ্মস বিশ্বব্যাপী সর্বাগ্রে এবং দ্রুততম নির্ভুল হামলায় সক্ষম অস্ত্র হিসেবে স্বীকৃত। 

ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সারা বিশ্বে হাতে গোনা যে কয়েকটি দেশের নৌবাহিনীর হাতে সমুদ্র থেকে ভূমিতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্র আছে, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৭ সাল থেকে একাধিক ব্রহ্মস রেজিমেন্ট নিজের অস্ত্রাগারে যোগ করেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভূমিতে হামলার উপযোগী সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মসের পরীক্ষা করে ভারতীয় নৌবাহিনী। 

ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের দুই স্তরের কঠিন প্রপেলান্ট বুস্টার ইঞ্জিন রয়েছে। এর মধ্য-প্রথম স্তরের ইঞ্জিন এটিকে সুপারসনিক গতি দেয়। দ্বিতীয় স্তর হলো লিকুইড রামজেট ইঞ্জিন; যা ক্রুজ পর্বে এটিকে মাক-৩ (শব্দের গতির ৩ গুণ) গতির কাছাকাছি নিয়ে যায়। 

ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি একাধিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার উপযোগী। এটি আকাশ, স্থল এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট নীতি’র ওপর কাজ করে। যার অর্থ উৎক্ষেপণের পরে এটির আর নির্দেশনার প্রয়োজন হয় না এবং এটি পুরো সময় উচ্চ সুপারসনিক গতি বজায় রাখে। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে রাডারও সহজে শনাক্ত করতে পারে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত