Ajker Patrika

পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারিতে ইসরায়েলি ড্রোন আনছে ভারত, ঠিকাদার আদানি

অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারিতে ইসরায়েলি ড্রোন আনছে ভারত, ঠিকাদার আদানি

পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে ভারতীয় সেনাবাহিনী আনছে হার্মিস-৯০০ স্টারলাইনার ড্রোন। আগামী ১৮ জুন এই মডেলের দুটি ড্রোন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা। দৃষ্টি-১০ নামে পরিচিত এই ড্রোন সরবরাহ করবে আদানি ডিফেন্স সিস্টেম। 

ড্রোন দুটির একটি ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অপরটি নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, আগামী ১৮ জুন হায়দ্রাবাদে ড্রোন দুটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। সরবরাহ প্রক্রিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি ক্ষমতার অধীনে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী তার ভাটিন্ডা ঘাঁটিতে এই দুই ড্রোন মোতায়েন করবে। যেখান থেকে তারা পাকিস্তানের সমগ্র পশ্চিম সীমান্তে নজরদারি চালাতে পারবে। 

প্রথম হার্মিস-৯০০ এই বছরের জানুয়ারিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ড্রোনটি সেনাবাহিনীর কাছে যাচ্ছে। তদুপরি, তৃতীয়টি এখন নৌবাহিনীতে সরবরাহ করা হবে এবং চতুর্থটি সেনাবাহিনীতে যাবে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী জরুরি বিধানের অধীনে আদানির প্রতিষ্ঠানে এই দুটি ড্রোনের জন্য বায়না দিয়েছে। বিধান অনুযায়ী, সরবরাহ করা সিস্টেমগুলো ৬০ শতাংশের বেশি দেশিয় হবে এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র আওতায় থাকবে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী এরই মধ্যে হেরন মার্ক ১ এবং মার্ক ২ ড্রোন পরিচালনা করছে। এরপরও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জরুরি ক্রয়ের শেষ ধাপের অধীনে দৃষ্টি-১০ বা হার্মিস-৯০০ ড্রোনের অর্ডার দিয়েছে। 

আদানি ডিফেন্স সিস্টেম ড্রোনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য ইসরায়েলি ফার্ম এলবিটের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এটির ৭০ শতাংশ স্বদেশী করা হয়েছে এবং এটি আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করবে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী ইসরায়েল থেকে আরও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালনযোগ্য ড্রোন যুক্ত করেছে। কারণ ইসরায়েলের বিমান শিল্পের সঙ্গে ভারত সরাসরি চুক্তিতে কয়েকটি হেরন মার্ক ২ ড্রোন এনেছে। 

ভারতীয় নৌবাহিনী পোরবন্দরে পাকিস্তানের সঙ্গে সমুদ্রসীমার পাশাপাশি উচ্চ সমুদ্রের দিকে নজর রাখতে চলেছে। কারণ দেশটির বিরা ৩০ ড্রোনের ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ওড়ার এবং একযোগে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে। 

এর আগে ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্কে জড়ায় মোদী সরকার। অভিযোগ ওঠে, ভারত সরকারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ বা কাটমানি দেওয়া হয়েছিল রাফাল কেনাবেচার জন্য। শেল অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দিয়েছিল ভারত সরকার। ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যম এই কেলেঙ্কারি সামনে আনে। বিরোধী দল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে বেশ সরব হয়। 

ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্ট ওই রিপোর্টে জানায়, ফ্রান্সের সংস্থার কাছ থেকে রাফাল কেনার সময় এক ভারতীয় দালালের মাধ্যমে ভারত সরকার চুক্তি করেছিল। মধ্যস্থতাকারী ওই ব্যক্তির নাম সুষেণ গুপ্ত। মধ্যস্থতা করার জন্য ভারত সরকার তাকে ৭৫ লাখ ইউরো বা ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা দিয়েছিল। যা ঘুষ বা কাটমানি হিসেবেই ধরতে হবে। যে পদ্ধতিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে, তাও বেআইনি বলে অভিযোগ। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, সুষেণ এর আগেও অগুস্তার কাছ থেকে হেলিকপ্টার কেনার সময় একইভাবে কাটমানি নিয়েছিল। সে সময় মরিশাসে একটি শেল কোম্পানি তৈরি করে তার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত