ভারতে ১৫১ এমপি-এমএলএ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলার আসামি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ১৬
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ৩৯

ভারতে ক্ষমতাসীন ১৫১ জন সংসদ সদস্য (এমপি) এবং বিধায়কের (এমএলএ) বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ১৬ জনের বিরুদ্ধে। এই তালিকায় থাকা সবচেয়ে বেশি আইনপ্রণেতা পশ্চিমবঙ্গের। এসব এমপি এবং এমএলএ তাঁদের নির্বাচনী হলফনামাতেই এ ধরনের মামলা থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন।

সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে একটি সংস্থা ভারতে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোর সময় নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামাগুলো নিয়ে জরিপ চালায়। জরিপে মোট ৪ হাজার ৮০৯ জন এমপি-এমএলএ’র মধ্যে ৪ হাজার ৬৯৩ জনের হলফনামা পরীক্ষা করে সংস্থাটি।

জরিপে দেখা যায়, ভারতের ১৬ জন এমপি এবং ১৩৫ জন এমএলএয়ের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে।

এই তালিকায় সর্বোচ্চ ২৫ জনের নাম এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের। এর বাইরে অন্ধ্র প্রদেশের ২১ জন এবং ওডিশার ১৭ জন এমপি-এমএলএ নারী নির্যাতন মামলার আসামি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের দুজন এমপি এবং ১৪ জন এমএলএ ধর্ষণ মামলার আসামি। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এ ধরনের অপরাধের সাজা সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমপি-এমএলএদের বিরুদ্ধে এসব মামলায় কারও কারও বিরুদ্ধে একই ভুক্তভোগীকে বারবার নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে।

নারী নির্যাতন মামলার আসামি এমপি-এমএলএদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ জন নেতা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। এরপর কংগ্রেসের ২৩ জন এবং তৃতীয় তেলেগু দেশম পার্টির নেতা রয়েছে ১৭ জন।

বিজেপি-কংগ্রেস উভয় দলেরই পাঁচজন করে আইনপ্রণেতা রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

জরিপের এই ফলাফলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এডিআর। তারা জোর দিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর অপরাধমূলক অতীত থাকা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত সংসদ সদস্য এবং এমএলএদের বিরুদ্ধে দ্রুত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এডিআর।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত