অনলাইন ডেস্ক
এক ঠান্ডা বিকেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীর কাছে জড়ো হয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। গত মাসের ওই বিক্ষোভ থেকে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। পারং গ্রামের এই আন্দোলনকারীরা আওয়াজ তোলেন, ‘আমাদের মা সিয়াংয়ের ওপর কোনো বাঁধ নয়। শান্ত পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সিয়াং নদী শতকের পর শতক ধরে এই অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষের জীবিকা মূলত এই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।
সিয়াং নদীর উপকূলে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের একজন স্থানীয় আদি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য গেগং জিজং। সেদিন ঐতিহ্যগতভাবে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে পূজনীয় নদীটি রক্ষার জন্য দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। কেননা, এই নদী এবং তার ওপর নির্ভরশীল তাঁদের জীবিকা এখন হুমকির মুখে। ভারত সরকার সেখানে দেশটির সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বহুল আলোচিত এই প্রকল্পের নাম সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রজেক্ট। এর আওতায় এমন একটি জলাধার তৈরি হবে, যা ৯ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। অর্থাৎ এটি ভারতের সর্বোচ্চ সক্ষমতার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ২০১৭ সালে প্রথম এটির প্রস্তাব করা হয় এবং বর্তমানে এর সম্ভাব্যতার সমীক্ষা চলছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে অন্তত ২০টি গ্রাম সম্পূর্ণ ডুবে যাবে এবং আরও প্রায় দুই ডজন গ্রাম আংশিকভাবে প্লাবিত হবে। এতে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা বসতভিটা হারাবেন।
স্থানীয় আদিবাসীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে অঞ্চলটিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় বিজেপি-সমর্থিত রাজ্য সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শত শত বছর ধরে তাঁদের জনগোষ্ঠীর মানুষ যে জায়গায় বেড়ে উঠেছে, পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত সেই জায়গা কোনো অবস্থাতেই ছাড়বেন না তাঁরা।
সেদিন উপকূলে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গেগং জিজং দায়িত্ব পালন করছেন সিয়াং ইনডিজেনাস ফারমার্স ফোরামের (এসআইএফএফ) সভাপতি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘সরকার আমার ঘরবাড়ি, আমাদের মা সিয়াংকে কেড়ে নিয়ে সেখানে শিল্পায়ন করছে। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারি না।’ তাঁর ভাষায়, ‘যতক্ষণ আমি বেঁচে আছি, আমরা এই বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে যাব।’ তবে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দাবি, আন্দোলনকারীরা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এটি শুধু একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ নয়, বরং এর মূল উদ্দেশ্য সিয়াং নদীকে রক্ষা করা।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারত সরকারের এই বাঁধ প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে মূলত চীনের সঙ্গে দেশটির ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা।
সিয়াং নদীর উৎস তিব্বতের কৈলাস পর্বতের কাছে, যেখানে এটি ইয়ারলুং জাংবো নামে পরিচিত। সেখান থেকে এটি অরুণাচলে প্রবেশ করে প্রশস্ত হয়। ভারতের বেশির ভাগ অংশে এটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত এবং বাংলাদেশে প্রবেশের পর এটি বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।
গত মাসেই চীন তাদের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়, যা তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে বেইজিং যখন প্রথম এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়, তখন এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আরেকটি বাঁধ নির্মাণ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এক ঠান্ডা বিকেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীর কাছে জড়ো হয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। গত মাসের ওই বিক্ষোভ থেকে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। পারং গ্রামের এই আন্দোলনকারীরা আওয়াজ তোলেন, ‘আমাদের মা সিয়াংয়ের ওপর কোনো বাঁধ নয়। শান্ত পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সিয়াং নদী শতকের পর শতক ধরে এই অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষের জীবিকা মূলত এই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।
সিয়াং নদীর উপকূলে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের একজন স্থানীয় আদি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য গেগং জিজং। সেদিন ঐতিহ্যগতভাবে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে পূজনীয় নদীটি রক্ষার জন্য দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। কেননা, এই নদী এবং তার ওপর নির্ভরশীল তাঁদের জীবিকা এখন হুমকির মুখে। ভারত সরকার সেখানে দেশটির সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বহুল আলোচিত এই প্রকল্পের নাম সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রজেক্ট। এর আওতায় এমন একটি জলাধার তৈরি হবে, যা ৯ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। অর্থাৎ এটি ভারতের সর্বোচ্চ সক্ষমতার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ২০১৭ সালে প্রথম এটির প্রস্তাব করা হয় এবং বর্তমানে এর সম্ভাব্যতার সমীক্ষা চলছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে অন্তত ২০টি গ্রাম সম্পূর্ণ ডুবে যাবে এবং আরও প্রায় দুই ডজন গ্রাম আংশিকভাবে প্লাবিত হবে। এতে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা বসতভিটা হারাবেন।
স্থানীয় আদিবাসীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে অঞ্চলটিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় বিজেপি-সমর্থিত রাজ্য সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শত শত বছর ধরে তাঁদের জনগোষ্ঠীর মানুষ যে জায়গায় বেড়ে উঠেছে, পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত সেই জায়গা কোনো অবস্থাতেই ছাড়বেন না তাঁরা।
সেদিন উপকূলে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গেগং জিজং দায়িত্ব পালন করছেন সিয়াং ইনডিজেনাস ফারমার্স ফোরামের (এসআইএফএফ) সভাপতি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘সরকার আমার ঘরবাড়ি, আমাদের মা সিয়াংকে কেড়ে নিয়ে সেখানে শিল্পায়ন করছে। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারি না।’ তাঁর ভাষায়, ‘যতক্ষণ আমি বেঁচে আছি, আমরা এই বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে যাব।’ তবে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দাবি, আন্দোলনকারীরা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এটি শুধু একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ নয়, বরং এর মূল উদ্দেশ্য সিয়াং নদীকে রক্ষা করা।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারত সরকারের এই বাঁধ প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে মূলত চীনের সঙ্গে দেশটির ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা।
সিয়াং নদীর উৎস তিব্বতের কৈলাস পর্বতের কাছে, যেখানে এটি ইয়ারলুং জাংবো নামে পরিচিত। সেখান থেকে এটি অরুণাচলে প্রবেশ করে প্রশস্ত হয়। ভারতের বেশির ভাগ অংশে এটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত এবং বাংলাদেশে প্রবেশের পর এটি বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।
গত মাসেই চীন তাদের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়, যা তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে বেইজিং যখন প্রথম এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়, তখন এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আরেকটি বাঁধ নির্মাণ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানলে বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়েছিলেন হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। ভয়ংকর সেই সময়টিতে তিনি বাড়ির ভেতরে আটকে পড়েছিলেন। যদিও পরে নিজের বুদ্ধিতেই সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হন। দাবানল, যুক্তরাষ্ট্র, হলিউড, অভিনেত্রী, বাড়ি, আগুন, বিপদ
১ মিনিট আগেদুরদোনা আতামেতোভা সব সময়ই একজন শেফ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু শুরুটা কীভাবে শুরু করবেন, তা জানতেন না। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বসবাসরত এই তরুণী হঠাৎ একদিন ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন।
৩৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জন এ ডনেলি এই তথ্য জানিয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের কোয়েটা শহরে নিজের কিশোরী কন্যাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বাবা। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার হিরা নামের ১৩-১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার...
২ ঘণ্টা আগে