সাবমেরিন নির্মাণে ভারতে ৫২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে জার্মানি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৬: ১৬
Thumbnail image

জার্মানির ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি থিসেনক্রুপ এজির মেরিন বিভাগ ও ভারতের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড যৌথভাবে ইন্ডিয়ান নেভির জন্য সাবমেরিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি জার্মানির সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে দিনে দিনে রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক দৃষ্টান্ত। 

থিসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমস জাহাজগুলোর ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিজাইন পরিচালনা করবে, যদি ভারত নির্মাতাদের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে সম্মত হয়। চুক্তি অনুসারে ভারত স্থানীয় নির্মাণ এবং সরবরাহের জন্য দায়ী থাকবে। গতকাল বুধবার কোম্পানি দুটির স্বাক্ষরিত একটি প্রাথমিক চুক্তি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। 

দুই বছর আগে নেওয়া এই উদ্যোগের শুরুতে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভারতে যৌথভাবে সাবমেরিন তৈরিতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এখন ভারত ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ছয়টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন নির্মাণ করতে চাইছে। 

এই প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য থিসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমকেই সম্মুখে রাখা হচ্ছে। জার্মানির কিয়েল শহরভিত্তিক সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী দুটি এয়ার ইনডিপিনডেন্ট প্রপালশন সাবমেরিন নির্মাতাদের মধ্যে একটি। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা অপারমাণবিক সাবমেরিনকে দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে থাকতে সহায়তা করে। 

এখানে জার্মানি চায় ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো নয়াদিল্লিতে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রচেষ্টা জোরদার করুক, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের অস্ত্র নির্ভরশীলতা শুধু রাশিয়ায় না থাকে। পাশাপাশি চীনের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও সামরিক অগ্রসরতার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। 

থিসেনক্রুপের তৈরি সাবমেরিন এর আগেও ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্যবহার করা হয়েছে, যা তাদের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েয়ু শিপবিল্ডিং অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং স্পেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নাভান্তিয়া গ্রুপের সাবমেরিনের চেয়ে ভালো বলে প্রতীয়মান হয়েছে। 

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিয়াস পিস্টোরিয়াস গত মঙ্গলবার দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। তিনি বলেছেন, সাবমেরিন চুক্তি সুরক্ষিত করা কেবল জার্মান শিল্পের জন্য নয়, নয়াদিল্লির সঙ্গে দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত