অনলাইন ডেস্ক
ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছে।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর দিল্লিভিত্তিক এনজিও ‘কল ফর জাস্টিস’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে জামিয়ায় অমুসলিমদের প্রতি বৈষম্য এবং ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিবেদনটিতে প্রায় ৬০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ২৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এসব ঘটনার মধ্যে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বঞ্চিত করা, বৃত্তি প্রদান বিলম্বিত করা এবং ধর্মান্তরের জন্য চাপ দেওয়ার মতো কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনটিতে মাস্টার্সে পড়ুয়া এক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে হিজাব পরার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ধর্ম নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ধর্মীয় প্রতীক সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর নম্বর ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং অ্যাসিড হামলার ভয় দেখানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে জামিয়ার পিএইচডি শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আলফাজ আজমি বলেছেন, ‘এটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপের ফল। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য মুসলিম শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, প্রশাসনে সংঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যুবার কার্যক্রম ক্যাম্পাসে বেড়েছে।
জামিয়ার ছাত্র ওয়াকার আহমেদ বলেন, ‘মুসলিম শিক্ষার্থীদের বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। এটি একটি বৃহত্তর সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের অংশ।’
এদিকে অভিযোগগুলো নাকচ করেছে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখছে। উপাচার্য অধ্যাপক মাজহার আসিফের অধীনে বৈষম্য দূর করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ২০১৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা একজন অধ্যাপক বলেছেন, ‘ধর্মান্তর একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনো আদর্শ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’ তিনি অভিযোগ করেন, এসব বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐক্য নষ্ট করছে।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ঘিরে বিতর্ক একদিকে ধর্মীয় এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রশ্ন তুলছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিযোগ এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছে।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর দিল্লিভিত্তিক এনজিও ‘কল ফর জাস্টিস’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে জামিয়ায় অমুসলিমদের প্রতি বৈষম্য এবং ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিবেদনটিতে প্রায় ৬০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ২৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এসব ঘটনার মধ্যে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বঞ্চিত করা, বৃত্তি প্রদান বিলম্বিত করা এবং ধর্মান্তরের জন্য চাপ দেওয়ার মতো কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনটিতে মাস্টার্সে পড়ুয়া এক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে হিজাব পরার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ধর্ম নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ধর্মীয় প্রতীক সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁর নম্বর ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং অ্যাসিড হামলার ভয় দেখানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে জামিয়ার পিএইচডি শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আলফাজ আজমি বলেছেন, ‘এটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপের ফল। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য মুসলিম শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, প্রশাসনে সংঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যুবার কার্যক্রম ক্যাম্পাসে বেড়েছে।
জামিয়ার ছাত্র ওয়াকার আহমেদ বলেন, ‘মুসলিম শিক্ষার্থীদের বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। এটি একটি বৃহত্তর সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের অংশ।’
এদিকে অভিযোগগুলো নাকচ করেছে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখছে। উপাচার্য অধ্যাপক মাজহার আসিফের অধীনে বৈষম্য দূর করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ২০১৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা একজন অধ্যাপক বলেছেন, ‘ধর্মান্তর একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনো আদর্শ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’ তিনি অভিযোগ করেন, এসব বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐক্য নষ্ট করছে।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ঘিরে বিতর্ক একদিকে ধর্মীয় এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রশ্ন তুলছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিযোগ এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রীতি মেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হয়। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না, চার দেয়ালের ভেতর ও ছাদের নিচেই শপথ নিতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের রোটুন্ডা হলে শপথ অনুষ্ঠান হবে।
২০ মিনিট আগেটানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে আগামীকাল রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুযায়ী তিন ধাপে কার্যকর হবে এই যুদ্ধবিরতি। আজ শনিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে তাঁরা
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বাতাসের তীব্রতা কমে দাবানল দুর্বল হয়ে আসায় স্বস্তি ফিরছে উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ২৪ হাজার একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এই আগুনে কমপক্ষে ১২ হাজার অবকাঠামো ভস্মীভূত হয়েছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৭টি মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা...
২ ঘণ্টা আগেটানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে অবশেষে কার্যকর যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আজ শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে