আসামে অনুপ্রবেশ: দুই মাসে ১২৮ বাংলাদেশিকে ফেরত 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ০৩
Thumbnail image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে অনুপ্রবেশের পর ১২৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, গত দুই মাসে এসব বাংলাদেশি আসামে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ‘সাম্প্রতিক অস্থিরতার’ কারণে আসামে আর্মড ফোর্স (স্পেশাল পাওয়ার) অ্যাক্ট বা এএফএসপিএ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে। যাতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সশস্ত্র বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘বিগত ২ মাসে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ১২৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রেখে আসাম পুলিশ এই ১২৮ জন অনুপ্রবেশকারীকে সীমান্তের ওপারে ফেরত দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে—বাবুল হোসেন ও সাকিব মিয়া।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ও তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। আসাম সীমান্ত ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আমলে নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকা মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আসামে অনুপ্রবেশকারী ৫৪ জনকে শনাক্ত করা হয়। আসাম পুলিশের তথ্য অনুসারে, শনাক্ত হওয়া ৫৪ জন অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৪৮ জনকে পাওয়া গেছে আসামের করিমগঞ্জ জেলায়, চারজন বনগাইগাঁও এবং একজন করে হাফলং ও ধুবরিতে। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জনকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরপর রাজ্য সরকার পুলিশকে সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের গণনা করতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা পরিবারের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার জন্যও সরকার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। যদি এ ধরনের লোকেদের কাছে আধার কার্ড, প্যান, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট থাকে তাহলে ভবিষ্যতে রেফারেন্সের জন্য তাদের নম্বরও রেকর্ড করা উচিত বলে জানিয়েছে সরকার।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আসামের আন্তর্জাতিক সীমানা দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করা আসাম পুলিশ বর্ডার অর্গানাইজেশনের দীর্ঘদিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো নির্দেশ করে যে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে জোরদার প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত