সিকিমে বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে অন্তত ৮২ জন, মৃত ১০ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭: ৫৯
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ৪৭

ভারতের সিকিম রাজ্যে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে অন্তত ৮২ জন। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার তোড়ে অন্তত ১৪টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার পর্যটককে অন্যান্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল বুধবার সকালের দিকে তিস্তার উৎসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে চুংথাং হ্রদে পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। পরে হ্রদের পানি আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়ে বাঁধ খুলে দেওয়া হলে ভাটিতে নদীর পানির স্তরের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়। এ ঘটনার পর সিকিম সরকার রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপর্যয় ঘোষণা করেছে। 

সিকিম সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া আরও অন্তত ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ৮২ জনের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৩ জন সদস্যও ছিলেন। তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

সিকিম সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ১৪টি ব্রিজ বন্যার তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। চুংথাং স্টেজ-৩ বাঁধে কাজ করা ১৪ জন নির্মাণশ্রমিক এখনো একটি টানেলে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বন্যার কারণে অন্তত ৩ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে চুংথাং বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত পাওয়ার হাউসটি ভেসে গেছে। 

সিকিম উরজা লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান সুনীল সারাওগি বলেন, ‘চুংথাংয়ে অবস্থিত ওই বাঁধ মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যেই ভেসে গেছে। আমরা আরও দেখেছি, ২০০ মিটার দীর্ঘ ওই বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত পাওয়ার হাউসটিও ভেসে গেছে। পুরো পাওয়ার হাউসই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে উত্তর সিকিম জেলার চুংথাং ও মাঙ্গানের মধ্যে ওই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। আর নির্মাণের পর থেকে গত বছরই প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখেছিল ওই প্রকল্প। ২৫ হাজার কোটি রুপি দিয়ে নির্মিত উরজা প্রকল্পে সিকিম সরকারের ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল। প্রকল্পের সবগুলো উৎপাদন ইউনিট ২০১৭ সালে চালু হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত