ভারতে হিজাব নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ

কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০: ৩০

ভারতের কর্ণাটকের চলমান হিজাব বিতর্ক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ওই বিষয়ে আদালতের শুনানি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি রাখতে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে বাদী পক্ষ থেকে। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ তাহির এই আবেদন করেন।

মোহাম্মদ তাহির তাঁর আবেদনে মামলার বাদী আয়েশা আলমাস ও উদুপির সরকারি জুনিয়র মহিলা কলেজের ৪ শিক্ষার্থীর পক্ষে হিজাব ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর প্রদেশসহ মোট ৫টি রাজ্যে চলমান বিধানসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো এই ইস্যুকে ব্যবহার করছে। 

ওই আবেদন আরও বলা হয়, এই ইস্যু ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের অপকর্ম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিতে পারে। 

তবে নির্বাচনে হিজাব বিতর্ক ইস্যু হতে পারে কি পারে না তা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন কর্ণাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

উল্লেখ্য, বুধবার ফের মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এ দিকে হিজাব পরা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে শান্তি বজায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। 

ভারতের উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে ভোট প্রচারের রাজনীতিতে প্রকট হচ্ছে হিজাব বিতর্ক। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘শরিয়া আইন দিয়ে নয়, দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী।’ 

অপরদিকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘নারীরাই পছন্দ মতো বেছে নেবে ঘোমটা, বোরকা বা জিনস। রাষ্ট্র কখনোই নাগরিকদের পছন্দে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ 

লোকসভার সদস্য ও সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘হিজাব পরা নারীই একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ 

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের উদুপির একটি কয়েকজন শিক্ষার্থী হিজাব পরায় তাঁদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় হিজাব বিতর্ক। যা পরে ছড়িয়ে পরে কর্ণাটকের বিভিন্ন অংশে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত