অনলাইন ডেস্ক
ভারতের কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া পেশায় নার্স। চাকরিসূত্রে থাকতেন ইয়েমেনে। ২০১৭ সালে সেখানকার এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। নিমিশার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, ইয়েমেনে নিমিশা প্রিয়ার দণ্ডের বিষয়ে অবগত ভারত। সরকার তাঁর পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী এক মাসের মধ্যে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে।
তবে নিমিশার পরিবার তাঁকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তাঁর মা প্রেমা কুমারী ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড মওকুফের জন্য আবেদন করেছেন। ‘ব্লাড মানি’ বা রক্তমূল্য দেওয়া নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছেন।
২০১৪ সালে নিমিশার স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে আসেন। ২০১৬ সালে ইয়েমেনে যাওয়া–আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। সে সময় ইয়েমেনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করছিলেন নিমিশা। সেখানে পরিচয় হয় তালাল আবদো মাহদি (৫৬) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর সহায়তায় ইয়েমেনে ক্লিনিক খোলেন নিমিশা।
পরবর্তীতে মতপার্থক্যের জেরে নিমিশার পাসপোর্ট নিয়ে নেন মাহদী। পাসপোর্ট উদ্ধার করতে মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেন নিমিশা। চেয়েছিলেন পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে আসতে। তবে ইনজেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হয় মাহদির। তখন মৃতদেহটি টুকরো করে ক্লিনিকের ট্যাংকে ফেলে পালান নিমিশা। পরে ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত ১৩ নভেম্বর তাঁর আপিল খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালত। এবার প্রেসিডেন্টও মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন দিয়েছেন। এখন নিমিশা ও তাঁর পরিবার রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দণ্ড মওকুফ পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে নিমিশার আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, মাহদির পরিবার যদি রক্তমূল্য বা দিয়া অর্থ গ্রহণ করতে রাজি হয় এবং অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা সম্ভব।
ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী বা নিহতের পরিবারকে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণকে ব্লাড মানি বা দিয়া অর্থ বলা হয়।
আইনজীবী সুভাষ বলেন, ‘আমরা ইয়েমেনের কিছু আইনি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদেশের পর প্রেসিডেন্টের সম্মতি একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, তবে পরিবার যদি ক্ষমা করে এবং অর্থ গ্রহণ করে, তাহলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব।’
তবে ইয়েমেনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মাহদির পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানান সুভাষ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, পরিবার মাহদির পরিবারকে দিয়া অর্থ দেওয়ার জন্য আলোচনা করার চেষ্টা করছিলেন। তবে গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় দূতাবাসের নিয়োগকৃত আইনজীবী আব্দুল্লাহ আমির ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ লাখ টাকা প্রায়) দাবি করলে এ উদ্যোগ আর এগোয়নি।
ভারতের কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া পেশায় নার্স। চাকরিসূত্রে থাকতেন ইয়েমেনে। ২০১৭ সালে সেখানকার এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। নিমিশার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, ইয়েমেনে নিমিশা প্রিয়ার দণ্ডের বিষয়ে অবগত ভারত। সরকার তাঁর পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী এক মাসের মধ্যে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে।
তবে নিমিশার পরিবার তাঁকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তাঁর মা প্রেমা কুমারী ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড মওকুফের জন্য আবেদন করেছেন। ‘ব্লাড মানি’ বা রক্তমূল্য দেওয়া নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছেন।
২০১৪ সালে নিমিশার স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে আসেন। ২০১৬ সালে ইয়েমেনে যাওয়া–আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। সে সময় ইয়েমেনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করছিলেন নিমিশা। সেখানে পরিচয় হয় তালাল আবদো মাহদি (৫৬) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর সহায়তায় ইয়েমেনে ক্লিনিক খোলেন নিমিশা।
পরবর্তীতে মতপার্থক্যের জেরে নিমিশার পাসপোর্ট নিয়ে নেন মাহদী। পাসপোর্ট উদ্ধার করতে মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেন নিমিশা। চেয়েছিলেন পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে আসতে। তবে ইনজেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হয় মাহদির। তখন মৃতদেহটি টুকরো করে ক্লিনিকের ট্যাংকে ফেলে পালান নিমিশা। পরে ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত ১৩ নভেম্বর তাঁর আপিল খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালত। এবার প্রেসিডেন্টও মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন দিয়েছেন। এখন নিমিশা ও তাঁর পরিবার রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দণ্ড মওকুফ পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে নিমিশার আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, মাহদির পরিবার যদি রক্তমূল্য বা দিয়া অর্থ গ্রহণ করতে রাজি হয় এবং অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা সম্ভব।
ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী বা নিহতের পরিবারকে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণকে ব্লাড মানি বা দিয়া অর্থ বলা হয়।
আইনজীবী সুভাষ বলেন, ‘আমরা ইয়েমেনের কিছু আইনি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদেশের পর প্রেসিডেন্টের সম্মতি একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, তবে পরিবার যদি ক্ষমা করে এবং অর্থ গ্রহণ করে, তাহলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব।’
তবে ইয়েমেনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মাহদির পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানান সুভাষ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, পরিবার মাহদির পরিবারকে দিয়া অর্থ দেওয়ার জন্য আলোচনা করার চেষ্টা করছিলেন। তবে গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় দূতাবাসের নিয়োগকৃত আইনজীবী আব্দুল্লাহ আমির ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ লাখ টাকা প্রায়) দাবি করলে এ উদ্যোগ আর এগোয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। পেসকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গঠন
১২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সফলতা প্রদর্শনে বড় ধরনের বাজি ধরতে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বর্ণযুগ’ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনেপালে রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী কমান্ডার দুর্গা প্রসাদ। মাওবাদী নেতার হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠা পরিস্থিতিকে আরও জটিল
১৩ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে