অনলাইন ডেস্ক
স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে স্বামীর অক্ষমতার কারণে বিয়ে বাতিল করেছেন ভারতের আদালত। ২৬ বছর বয়সী এক নারীর বিয়ে বাতিলের আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে বোম্বে হাইকোর্ট সম্প্রতি এ রায় দেন।
স্বামীর ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র কারণে তরুণ দম্পতির বিয়ে বাতিল করে আদালত বলেন, বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পন্ন না হওয়ায় দম্পতির মধ্যে যে হতাশা দেখা দিয়েছে, তা এড়ানো যায় না।
বিচারপতি বিভা কানকানওয়াড়ি এবং এস জি চপাল গাঁওকড়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৫ এপ্রিলের রায়ে বলেন, মানসিক, আবেগগত বা শারীরিকভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে না পারায় বিবাহিত জীবনে অসুখী তরুণ দম্পতিদের সহায়তার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মামলা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৬ বছর বয়সী স্ত্রীর বিয়ে বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন একটি পারিবারিক আদালত। এর পরই বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ২৭ বছর বয়সী স্বামী।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’ একটি পরিচিত ঘটনা এবং এটি সাধারণ পুরুষত্বহীনতার চেয়ে ভিন্ন। পুরুষত্বহীনতা দিয়ে সাধারণভাবে সহবাসে অক্ষমতা বোঝায়। আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা এমন এক পরিস্থিতি বোঝায়, যেখানে ব্যক্তি সহবাসে সক্ষম হতে পারলেও স্ত্রীর সঙ্গে তা সম্পাদন করতে অক্ষম হতে পারেন। আদালত বলছেন, এ ধরনের আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার পেছনে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে সহজেই অনুমান করা যায় যে, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা রয়েছে। এই দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়ার কারণ স্বামীর এই আপাতত আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা।’ দাম্পত্য জীবনে হতাশার যন্ত্রণায় জর্জরিত এক তরুণ দম্পতির এ ঘটনা হাইকোর্ট উপেক্ষা করতে পারেনি।
বৈবাহিক সম্পর্ক অসম্পূর্ণ থাকার জন্য স্বামীটি প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে দোষারোপ করে থাকতে পারেন। কারণ তিনি স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রীর প্রতি আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা রয়েছে।
রায়ে আরও বলা হয়, ‘যাই হোক, পরবর্তীকালে তিনি অকপটে এ কথা স্বীকার করে নেন। তিনি এ বিষয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন যে এটি তাঁর ওপর আজীবন কলঙ্ক চাপিয়ে দেবে না। আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা, পুরুষত্বহীনতার সাধারণ ধারণার চেয়ে কিছুটা আলাদা এবং আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার স্বীকৃতি তাঁকে নপুংসক হিসেবে চিহ্নিত করবে না।’
২০২৩ সালের মার্চে এই দম্পতির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ১৭ দিন পরেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁরা কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি বলে জানান। স্ত্রীর দাবি, স্বামী তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে অস্বীকার করেছিলেন।
পারিবারিক আদালতে দাখিল করা বিয়ে বাতিলের আবেদনে ওই নারী বলেন, ওই ব্যক্তির ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’ রয়েছে। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে মানসিক, আবেগগত বা শারীরিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারছিলেন না।
নারীর স্বামী প্রথমে পারিবারিক আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে বলেন, তাঁদের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়নি। তবে এর জন্য স্ত্রীকে দোষারোপ করেন তিনি। পরে তিনি আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার কথা স্বীকার করে একটি লিখিত বিবৃতি জমা দেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারলেও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি নপুংসক হিসেবে আখ্যায়িত হতে চান না।
পারিবারিক আদালত অবশ্য দম্পতির আবেদন খারিজ করে দাবি করেন, ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী যোগসাজশ করেছেন। হাইকোর্ট বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের আদেশ বাতিল করে তাঁদের বিয়ে বাতিল ঘোষণা করেন।
স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে স্বামীর অক্ষমতার কারণে বিয়ে বাতিল করেছেন ভারতের আদালত। ২৬ বছর বয়সী এক নারীর বিয়ে বাতিলের আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে বোম্বে হাইকোর্ট সম্প্রতি এ রায় দেন।
স্বামীর ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র কারণে তরুণ দম্পতির বিয়ে বাতিল করে আদালত বলেন, বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পন্ন না হওয়ায় দম্পতির মধ্যে যে হতাশা দেখা দিয়েছে, তা এড়ানো যায় না।
বিচারপতি বিভা কানকানওয়াড়ি এবং এস জি চপাল গাঁওকড়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৫ এপ্রিলের রায়ে বলেন, মানসিক, আবেগগত বা শারীরিকভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে না পারায় বিবাহিত জীবনে অসুখী তরুণ দম্পতিদের সহায়তার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মামলা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৬ বছর বয়সী স্ত্রীর বিয়ে বাতিলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন একটি পারিবারিক আদালত। এর পরই বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ২৭ বছর বয়সী স্বামী।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’ একটি পরিচিত ঘটনা এবং এটি সাধারণ পুরুষত্বহীনতার চেয়ে ভিন্ন। পুরুষত্বহীনতা দিয়ে সাধারণভাবে সহবাসে অক্ষমতা বোঝায়। আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা এমন এক পরিস্থিতি বোঝায়, যেখানে ব্যক্তি সহবাসে সক্ষম হতে পারলেও স্ত্রীর সঙ্গে তা সম্পাদন করতে অক্ষম হতে পারেন। আদালত বলছেন, এ ধরনের আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার পেছনে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে সহজেই অনুমান করা যায় যে, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা রয়েছে। এই দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়ার কারণ স্বামীর এই আপাতত আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা।’ দাম্পত্য জীবনে হতাশার যন্ত্রণায় জর্জরিত এক তরুণ দম্পতির এ ঘটনা হাইকোর্ট উপেক্ষা করতে পারেনি।
বৈবাহিক সম্পর্ক অসম্পূর্ণ থাকার জন্য স্বামীটি প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে দোষারোপ করে থাকতে পারেন। কারণ তিনি স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রীর প্রতি আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা রয়েছে।
রায়ে আরও বলা হয়, ‘যাই হোক, পরবর্তীকালে তিনি অকপটে এ কথা স্বীকার করে নেন। তিনি এ বিষয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন যে এটি তাঁর ওপর আজীবন কলঙ্ক চাপিয়ে দেবে না। আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা, পুরুষত্বহীনতার সাধারণ ধারণার চেয়ে কিছুটা আলাদা এবং আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার স্বীকৃতি তাঁকে নপুংসক হিসেবে চিহ্নিত করবে না।’
২০২৩ সালের মার্চে এই দম্পতির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ১৭ দিন পরেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁরা কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি বলে জানান। স্ত্রীর দাবি, স্বামী তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে অস্বীকার করেছিলেন।
পারিবারিক আদালতে দাখিল করা বিয়ে বাতিলের আবেদনে ওই নারী বলেন, ওই ব্যক্তির ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’ রয়েছে। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে মানসিক, আবেগগত বা শারীরিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারছিলেন না।
নারীর স্বামী প্রথমে পারিবারিক আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে বলেন, তাঁদের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়নি। তবে এর জন্য স্ত্রীকে দোষারোপ করেন তিনি। পরে তিনি আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতার কথা স্বীকার করে একটি লিখিত বিবৃতি জমা দেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারলেও স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি নপুংসক হিসেবে আখ্যায়িত হতে চান না।
পারিবারিক আদালত অবশ্য দম্পতির আবেদন খারিজ করে দাবি করেন, ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী যোগসাজশ করেছেন। হাইকোর্ট বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের আদেশ বাতিল করে তাঁদের বিয়ে বাতিল ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ইউক্রেন এবং কমনওয়েলথ প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
১৩ মিনিট আগেলাতাকিয়ার জাবলে শহরের কাছে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সশস্ত্র একদল মানুষ। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। শহরটি ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের মদদপুষ্ট আলভি মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ‘ডেরা’ হিসেবে পরিচিত। প্রশাসনের অভিযোগের তির তাদের দিকেই। বলা হচ্ছে, এ হামলার জন্য দায়ী আলভি গোষ্ঠীই।
১ ঘণ্টা আগেভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক মাসের টানা পতনে লাখো মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফার কারণে বাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফিনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন...
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। জেলেনস্কিকে তাঁরা বলেছেন—ইউরোপ রাশিয়ার চেয়ে শক্তিশালী। ইউক্রেনকে রক্ষা করতে তাঁরা প্রস্তুত।
১০ ঘণ্টা আগে