ভারতের তামিলনাডুতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১২ কোচ লাইনচ্যুত, আহত ১৯ 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৪৬
Thumbnail image

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে ৭৫ কিলোমিটার বেগে চলতে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে। এতে অন্তত ১২টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৯ জন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পরপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মাইসোর থেকে বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী মাইসোর-দ্বারভাঙ্গা বাগমতি এক্সপ্রেস তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভাল্লুর জেলার কাবারাপেতাই রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১২টি কোচ লাইনচ্যুত হয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির পাওয়ার কারেও আগুন ধরে যায়। 

তিরুভাল্লুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ড. টি প্রভুশঙ্কর জানান, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ১৩৬০ জন যাত্রী ছিল দুর্ঘটনার সময়। তাদের মধ্যে ১৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

মধ্যরাতের পর ট্রেনটির যাত্রীদের বাসযোগে চেন্নাইয়ের ড. এমজিআর সেন্ট্রাল রেলস্টেশনে নেওয়া হয়। পরে আজ শনিবার ভোরের দিকে একটি বিশেষ ট্রেন যাত্রীদের নিয়ে দ্বারভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রেনটির যাত্রীদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয়েছে। 

দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় রেলওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আরএন সিং বলেন, ‘ট্রেনটি গুডুরের দিকে যাচ্ছিল। আরও এগিয়ে এটি অন্ধ্রপ্রদেশে প্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনা ঘটা স্টেশনে গুডুরের দিকে যাওয়া একটি মালবাহী ট্রেন লুপ লাইনে দাঁড়ানো ছিল এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এই ট্রেনের মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেইন লাইনের সিগন্যাল থাকার পরও ট্রেনটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। এটি পেছন থেকে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।’ 

এই লাইন হয়ে চলাচলকারী নির্ধারিত ট্রেনগুলোর মধ্যে ১৮টির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এ এম চৌধুরী দুর্ঘটনার সঠিক কারণ শনাক্ত করতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘উদ্ধার অভিযান চলছে। সরকার উদ্ধার ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিতে দ্রুত কাজ করছে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য যাত্রীদের বাড়ি ফেরার জন্য খাবার ও ভ্রমণসুবিধার ব্যবস্থা করার জন্য একটি পৃথক দল কাজ করছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগি সরানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।’ 

রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মতে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনগুলোর বগি পুনরুদ্ধার করে লাইন সচল করতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ফলে আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে এই রুটে রেল পরিষেবা আবারও চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত