Ajker Patrika

কর্ণাটকে কন্নড় ভাষা ব্যবহারে বাধ্য করছে উগ্রপন্থীরা, ভেঙে ফেলছে ইংরেজি সাইনবোর্ড 

অনলাইন ডেস্ক
কর্ণাটকে কন্নড় ভাষা ব্যবহারে বাধ্য করছে উগ্রপন্থীরা, ভেঙে ফেলছে ইংরেজি সাইনবোর্ড 

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে সর্বত্র কন্নড় ভাষা ব্যবহারের দাবিতে নানা সহিংস কর্মকাণ্ড করছে উগ্র ডানপন্থী সংগঠন কর্ণাটক রক্ষণা ভেদিক (কেআরভি)। আজ বুধবার কন্নড় ভাষা ব্যবহার নিয়ে একটি আদেশ বাস্তবায়নে নিজেরাই রাজধানী বেঙ্গালুরুর রাস্তায় নেমে পড়ে তারা। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া কেম্পেগোওড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শহরের সুপরিচিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলগুলোতেও হামলা করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি ভাষার সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলছে কেআরভি কর্মীরা। তারা বলছে, এ ধরনের সাইনবোর্ড কর্ণাটকের সরকারি ভাষা কন্নড়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে। 

এ ঘটনায় কেআরভির আহ্বায়ক টিএ নারায়ণ গৌড়াসহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

টিএ নারায়ণ গৌড়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ৬০ শতাংশ সাইনবোর্ড ও নামফলক কন্নড় ভাষায় লেখা হতে হবে। আমরা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই। তবে কর্ণাটকে ব্যবসা করতে হলে এখানের ভাষাকেও সম্মান করতে হবে। আপনি যদি কন্নড় ব্যবহার না করেন বা কন্নড় ভাষা ছোট করে লেখেন, তাহলে আমরা আপনাকে এখানে কাজ করতে দেব না।’ 

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাল–হলুদ স্কার্ফ পরা কয়েকজন নারী ও পুরুষ ইংরেজি ভাষায় লেখা সব সাইনবোর্ড মুছে দিচ্ছেন। লাল ও হলুদ হলো কর্ণাটক রাজ্যের পতাকার রং। 

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাকভর্তি লাল–হলুদ স্কার্ফ পরা মানুষ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার একজন ব্যক্তি সেলুন ও স্পার ইংরেজি সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলছে। অনেকে এয়ারটেলের ইংরেজিতে লেখা লাল সাইনবোর্ডের ওপর কালো রং স্প্রে করে দিচ্ছে। 

কেআরভি শহরের পৌর কর্তৃপক্ষের একটি আদেশ অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার দাবি জানাচ্ছে তারা। এ আদেশ অনুসারে, সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের ৬০ শতাংশ সাইনবোর্ড কন্নড় ভাষায় রাখতে হবে। কেআরভির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ নিয়ম জারি করা হয়। 

বিবিএমপি প্রধান তুষার গিরি নাথ বলেন, এ আদেশ পালনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারে থাকা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। ব্যর্থ হলে ব্যবসার লাইসেন্স বাতিলসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

ভাষা নিয়ে এ আন্দোলন নতুন করে আলোচনায় আসে যখন গত অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াহ বলেন, ‘এ রাজ্যে থাকা সব মানুষের কন্নড় ভাষা শেখা উচিত। বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ এখানে বসবাস করা শুরু করেছে, তাদের সবারই কন্নড় ভাষা শেখা উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

খেজুরে অতি মুনাফা, হতাশ ক্রেতা

চাপে পড়ে ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: প্রেস সচিব

কলাবাগানে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মরদেহ উদ্ধার

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত