কৃষকদের বন্‌ধে ভারতের পাঞ্জাবে অচলাবস্থা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ২৭
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০: ৩৬
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

ফসলের ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন ভারতের পাঞ্জাবের কৃষকেরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্‌ধ্‌ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২২১টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।

সংযুক্ত কিষান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিষান-মজদুর মোর্চার ডাকে এদিন রাজপথে নামেন কৃষকেরা। গতকাল সকাল থেকে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায়ে জলন্ধর-দিল্লি জাতীয় সড়ক, অমৃতসর-দিল্লি হাইওয়ের ওপর বসে পড়েন একদল আন্দোলনকারী। মোহালিতে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথ আটকে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, কৃষকদের কর্মসূচির কারণে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বাড়তি নজর ছিল পুলিশের। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোহালিতে ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর ছিল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষিঋণ মওকুফ, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না বাড়ানোর মতো কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লিসংলগ্ন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু ও খানাউড়ি সীমানায় অবস্থান নেন কৃষকেরা। ২৬ নভেম্বর কৃষকনেতা জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশন শুরুর পর আন্দোলন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এর আগে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচিও নিয়েছিলেন কৃষকেরা।

কৃষকনেতা সরওয়ান সিং পন্ধের জানান, ডাল্লেওয়ালের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। কিন্তু কেন্দ্র সহযোগিতা করছে না। তাই এ ইস্যুতে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করাও বন্‌ধ্‌ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য। আরেক কৃষকনেতা অভিমন্যু কোহার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, কৃষকেরা জেদি। কিন্তু কেন্দ্রই নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কৃষকদের কোনো দাবিতে আমল দিচ্ছে না।’

অভিমন্যু আরও বলেন, ‘আমরা গান্ধীবাদী নীতিতে চলব। এবার সরকারের ওপর নির্ভর করছে, তারা অনশনরত জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়ালের ওপর জুলুম করবে, নাকি তাঁর দাবি অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে কৃষকদের দাবি আদায়ের জন্য অনশন করছেন। সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। এবার কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কী করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত