অনলাইন ডেস্ক
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম বুধাল। এই গ্রামেই অজানা এক রোগে মাত্র এক মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা এর কারণ উদ্ঘাটনে তৎপর হয়েছেন।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের এশিয়া এডিশনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গত রোববার ওই গ্রামটির ১৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন কৌশার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জম্মুর একটি হাসপাতালে মারা যান। ইয়াসমিন ছিলেন মুহাম্মদ আসলামের শেষ জীবিত সন্তান। আসলাম এর আগে তাঁর পাঁচ সন্তান ও দুই স্বজনকে একই রোগে হারিয়েছেন।
এই মৃত্যুগুলো তিনটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরিবারগুলোর মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কও আছে। এর মধ্যে দুটি পরিবারের ৯ সদস্য গত ৭ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মারা যান।
বুধাল মূলত একটি তফসিলি উপজাতি অধ্যুষিত গ্রাম। এই গ্রামটি এখন শোক ও আতঙ্কে ডুবে আছে। মৃতদের দুইটি কবরস্থানে পাশাপাশি সারিতে দাফন করা হয়েছে। গ্রামে সব ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাসিন্দারা বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তমন্ত্রণালয় দল পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্য, কৃষি, রাসায়নিক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা রাজৌরি পৌঁছে এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থা মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে, তবে এখনো সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে ত্রাণ কার্যক্রম চালাবে এবং সত্য উদ্ঘাটন করবে।’
এই ঘটনায় পুলিশ একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। এই দলটি মৃত্যুগুলোর অন্য কোনো অপরাধমূলক কারণ রয়েছে কিনা তদন্ত করছে। সন্দেহের মধ্যে রয়েছে বিষপ্রয়োগ ও বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা সম্ভাবনাও।
জানা গেছে, রহস্যময় সেই রোগটি শুরু হয়েছিল জ্বর, পেটব্যথা, বমি এবং মাঝে মাঝে অচেতন হওয়ার মতো উপসর্গ দিয়ে। এভাবে প্রথম মৃত্যুটি ঘটেছে গত ৭ ডিসেম্বর। প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তিটি ছিলেন ফজল হুসেন। মেয়ের বিয়ের একটি অনুষ্ঠানে খাবার খাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর পরিবারে আরও চারজন মারা যান। তাদের সবার বয়স ছিল পাঁচ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় দফায় গত ১২ ডিসেম্বর মোহাম্মদ রফিকের পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু হয়। তৃতীয় ঢেউ শুরু হয় গত ১২ জানুয়ারি। এবারে মুহাম্মদ আসলামের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে ওই এলাকাটির ৩ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তবে তাঁদের শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার আওতায় রয়েছে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নমুনা। এসব নমুনার মধ্যে রক্ত, খাদ্য এবং পরিবেশের নমুনা অন্তর্ভুক্ত, পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে কিছু নমুনায় নিউরোটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এর সঠিক উৎস এখনো অজানা। গ্রামের একটি ঝরনার পানিতে কীটনাশকের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ সেই এলাকা সিল করে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনাকে কোনো রোগ না ভেবে উদ্দেশ্যমূলক বিষক্রিয়া মনে করছেন। নাসির আহমদ নামে বুধাল গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যদি এটি রোগ হতো, তবে এটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে যেত। আমরা খাওয়া-দাওয়া করতে ভয় পাচ্ছি।’
বিশেষজ্ঞরা দ্রুত রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে পুলিশের তদন্ত দলটি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম বুধাল। এই গ্রামেই অজানা এক রোগে মাত্র এক মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা এর কারণ উদ্ঘাটনে তৎপর হয়েছেন।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের এশিয়া এডিশনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গত রোববার ওই গ্রামটির ১৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন কৌশার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জম্মুর একটি হাসপাতালে মারা যান। ইয়াসমিন ছিলেন মুহাম্মদ আসলামের শেষ জীবিত সন্তান। আসলাম এর আগে তাঁর পাঁচ সন্তান ও দুই স্বজনকে একই রোগে হারিয়েছেন।
এই মৃত্যুগুলো তিনটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরিবারগুলোর মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কও আছে। এর মধ্যে দুটি পরিবারের ৯ সদস্য গত ৭ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মারা যান।
বুধাল মূলত একটি তফসিলি উপজাতি অধ্যুষিত গ্রাম। এই গ্রামটি এখন শোক ও আতঙ্কে ডুবে আছে। মৃতদের দুইটি কবরস্থানে পাশাপাশি সারিতে দাফন করা হয়েছে। গ্রামে সব ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাসিন্দারা বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তমন্ত্রণালয় দল পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্য, কৃষি, রাসায়নিক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা রাজৌরি পৌঁছে এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থা মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে, তবে এখনো সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দল স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে ত্রাণ কার্যক্রম চালাবে এবং সত্য উদ্ঘাটন করবে।’
এই ঘটনায় পুলিশ একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। এই দলটি মৃত্যুগুলোর অন্য কোনো অপরাধমূলক কারণ রয়েছে কিনা তদন্ত করছে। সন্দেহের মধ্যে রয়েছে বিষপ্রয়োগ ও বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা সম্ভাবনাও।
জানা গেছে, রহস্যময় সেই রোগটি শুরু হয়েছিল জ্বর, পেটব্যথা, বমি এবং মাঝে মাঝে অচেতন হওয়ার মতো উপসর্গ দিয়ে। এভাবে প্রথম মৃত্যুটি ঘটেছে গত ৭ ডিসেম্বর। প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তিটি ছিলেন ফজল হুসেন। মেয়ের বিয়ের একটি অনুষ্ঠানে খাবার খাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর পরিবারে আরও চারজন মারা যান। তাদের সবার বয়স ছিল পাঁচ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় দফায় গত ১২ ডিসেম্বর মোহাম্মদ রফিকের পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু হয়। তৃতীয় ঢেউ শুরু হয় গত ১২ জানুয়ারি। এবারে মুহাম্মদ আসলামের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে ওই এলাকাটির ৩ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তবে তাঁদের শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার আওতায় রয়েছে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নমুনা। এসব নমুনার মধ্যে রক্ত, খাদ্য এবং পরিবেশের নমুনা অন্তর্ভুক্ত, পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে কিছু নমুনায় নিউরোটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এর সঠিক উৎস এখনো অজানা। গ্রামের একটি ঝরনার পানিতে কীটনাশকের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ সেই এলাকা সিল করে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনাকে কোনো রোগ না ভেবে উদ্দেশ্যমূলক বিষক্রিয়া মনে করছেন। নাসির আহমদ নামে বুধাল গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যদি এটি রোগ হতো, তবে এটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে যেত। আমরা খাওয়া-দাওয়া করতে ভয় পাচ্ছি।’
বিশেষজ্ঞরা দ্রুত রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে পুলিশের তদন্ত দলটি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচীনের এক তরুণী আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে অফিসের টয়লেটে বসবাস করছেন। মাসে মাত্র ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৭ মার্কিন ডলার) ভাড়ায় তিনি এই ৬ বর্গমিটারের অস্বাস্থ্যকর স্থানটিতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই মর্মস্পর্শী এক গল্প উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান। গতকাল রোববার এই তিন এশীয় রপ্তানিনির্ভর দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তাঁরা আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে
২ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই কূটনৈতিক ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে