অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে ভারত–বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার (আইএমবিএল) কাছে মাছ শিকার এড়িয়ে চলছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। ফলে রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, যেমন—ইল, সিলভার পমফ্রেট এবং চিংড়ির জোগান অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তাঁরা এখন এই এলাকায় মাছ ধরতে যাচ্ছেন না।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আমাদের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমার কাছে যেতেন মাছ ধরতে। কারণ, এটি উপসাগরের সবচেয়ে গভীরতম স্থান সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের কাছাকাছি। এই অঞ্চলটি মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য মাছ, যেমন—ইল ও সাদা চিংড়ি পাওয়া যায়।’
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো বঙ্গোপসাগরে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গভীর খাদ। এই খাদের গড় গভীরতা এক কিলোমিটারের বেশি।
এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুবলার চর দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্যের এক অনন্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। যদিও মৎস্যজীবীরা গভীর এই উপসাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। তবে এর আশপাশের এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা পূর্বে ভারত–বাংলাদেশ সামুদ্রিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অনেক ভালো মানের রপ্তানিযোগ্য মাছ ধরতে পারতেন। এসব মাছ বেশ লাভজনক, কারণ এসব মাছের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনেক।
সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড গত অক্টোবরে ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করার পর—যারা এখনো প্রতিবেশী দেশের কারাগারে আছেন—মৎস্যজীবীরা আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এ বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১৩ অক্টোবর ৩১ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার এবং দুটি নৌকা—মা বাসন্তী ও জয় জগন্নাথ—বাজেয়াপ্ত করে। তাঁরা এখন পটুয়াখালী কারাগারে আছেন। এই ঘটনার তিন–চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আরও তিনটি নৌকা—অভিজিৎ, অভিজিৎ ৩ এবং নারায়ণ—আটক করে এবং ৪৮ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মোংলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই জেলেদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ—তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক মৎস্যজীবীদের—যারা মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা—আগামী ৩০ ডিসেম্বর এবং ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালতে হাজির করা হবে।
ভারতের রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রপ্তানিযোগ্য মাছের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমেছে, বিশেষত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর।
মাছ ব্যবসায়ী জয়সদেব হাঁটি দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমাদের এখন আঙুল চোষা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ, ইল ও চিংড়ির মতো রপ্তানিযোগ্য মাছের সরবরাহ নেই। জাপান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে এসব মাছের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ না থাকায় ভালো ব্যবসা করতে পারছি না।’
সিলভার পমফ্রেট, চায়নিজ পমফ্রেট, ইল, হলুদ ইল, কালো ইল, সাদা চিংড়ি এবং টাইগার চিংড়ির দাম পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৮০০ রুপি থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হয়, মাছের আকার ও মানের ওপর দাম নির্ভর করে। হাঁটি বলেন, ‘এখন মৎস্যজীবীরা শুধু সাধারণ স্থানীয় মাছ ধরছেন, যা রপ্তানির যোগ্য নয়। আমি বলতে পারি, গত তিন মাসে ব্যবসা ৭৫ শতাংশ কমে গেছে।’
একটি সূত্র জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা প্রায় ২ হাজার ৫০০টি মাছ ধরা নৌকা ব্যবহার করেন। মৎস্যজীবীরা জানান, যখন তাঁরা বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমার আশপাশের এলাকায় মাছ ধরতেন, তখন প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ লাখ রুপির সমমূল্যের রপ্তানিযোগ্য মাছ ধরতে পারতেন। কাকদ্বীপের এক জেলে বলেন, ‘বর্তমানে আমরা শুধু স্থানীয় মাছ ধরছি এবং মোট যে পরিমাণ সামুদ্রিক মৎস্য সংগ্রহ করছি তার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার রুপির বেশি নয়।’
বঙ্গোপসাগরে ভারত–বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার (আইএমবিএল) কাছে মাছ শিকার এড়িয়ে চলছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। ফলে রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, যেমন—ইল, সিলভার পমফ্রেট এবং চিংড়ির জোগান অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তাঁরা এখন এই এলাকায় মাছ ধরতে যাচ্ছেন না।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আমাদের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমার কাছে যেতেন মাছ ধরতে। কারণ, এটি উপসাগরের সবচেয়ে গভীরতম স্থান সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের কাছাকাছি। এই অঞ্চলটি মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য মাছ, যেমন—ইল ও সাদা চিংড়ি পাওয়া যায়।’
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো বঙ্গোপসাগরে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গভীর খাদ। এই খাদের গড় গভীরতা এক কিলোমিটারের বেশি।
এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুবলার চর দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্যের এক অনন্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। যদিও মৎস্যজীবীরা গভীর এই উপসাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। তবে এর আশপাশের এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা পূর্বে ভারত–বাংলাদেশ সামুদ্রিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অনেক ভালো মানের রপ্তানিযোগ্য মাছ ধরতে পারতেন। এসব মাছ বেশ লাভজনক, কারণ এসব মাছের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনেক।
সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড গত অক্টোবরে ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করার পর—যারা এখনো প্রতিবেশী দেশের কারাগারে আছেন—মৎস্যজীবীরা আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এ বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১৩ অক্টোবর ৩১ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার এবং দুটি নৌকা—মা বাসন্তী ও জয় জগন্নাথ—বাজেয়াপ্ত করে। তাঁরা এখন পটুয়াখালী কারাগারে আছেন। এই ঘটনার তিন–চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আরও তিনটি নৌকা—অভিজিৎ, অভিজিৎ ৩ এবং নারায়ণ—আটক করে এবং ৪৮ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মোংলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই জেলেদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ—তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক মৎস্যজীবীদের—যারা মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা—আগামী ৩০ ডিসেম্বর এবং ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালতে হাজির করা হবে।
ভারতের রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রপ্তানিযোগ্য মাছের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমেছে, বিশেষত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর।
মাছ ব্যবসায়ী জয়সদেব হাঁটি দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমাদের এখন আঙুল চোষা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ, ইল ও চিংড়ির মতো রপ্তানিযোগ্য মাছের সরবরাহ নেই। জাপান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে এসব মাছের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ না থাকায় ভালো ব্যবসা করতে পারছি না।’
সিলভার পমফ্রেট, চায়নিজ পমফ্রেট, ইল, হলুদ ইল, কালো ইল, সাদা চিংড়ি এবং টাইগার চিংড়ির দাম পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৮০০ রুপি থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হয়, মাছের আকার ও মানের ওপর দাম নির্ভর করে। হাঁটি বলেন, ‘এখন মৎস্যজীবীরা শুধু সাধারণ স্থানীয় মাছ ধরছেন, যা রপ্তানির যোগ্য নয়। আমি বলতে পারি, গত তিন মাসে ব্যবসা ৭৫ শতাংশ কমে গেছে।’
একটি সূত্র জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা প্রায় ২ হাজার ৫০০টি মাছ ধরা নৌকা ব্যবহার করেন। মৎস্যজীবীরা জানান, যখন তাঁরা বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমার আশপাশের এলাকায় মাছ ধরতেন, তখন প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ লাখ রুপির সমমূল্যের রপ্তানিযোগ্য মাছ ধরতে পারতেন। কাকদ্বীপের এক জেলে বলেন, ‘বর্তমানে আমরা শুধু স্থানীয় মাছ ধরছি এবং মোট যে পরিমাণ সামুদ্রিক মৎস্য সংগ্রহ করছি তার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার রুপির বেশি নয়।’
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এক নারী সহ একটি হেরোইন পাচারকারী চক্রের ৯ সদস্য ধরা পড়েছিলেন। পরে তারা ‘বালি-নাইন গ্যাং’ নামে কুখ্যাতি পান। রোববার সিএনএন জানিয়েছে, দুই দশক ধরে বন্দী ওই গ্যাংয়ের অবশিষ্ট পাঁচ অস্ট্রেলিয়ানকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
১ ঘণ্টা আগেগাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর হার উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না দিলে তারা ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। রাজধানী দামেস্ক দখলে নিতে শুরু করেছে বিদ্রোহী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল শামস) সদস্যরা। এদিকে খবর এল, পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এত দ্রুত ঘটনাগুলো ঘটেছে যে সিরিয়াবাসী এবং গোটা বিশ্বকে ধাতস্থ হতে বেগ পেতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, ইসরায়েল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অজুহাত ব্যবহার করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে তাদের সামরিক হামলার বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বর্তমানে পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং কোনো...
৩ ঘণ্টা আগে