অনলাইন ডেস্ক
ভারতের ওডিশায় কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে (কেআইআইটি) রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে নেপালের ছাত্রী প্রকৃতি লামসালের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা, বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ছাড়াও ভারতের সঙ্গে নেপালের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার এনডিটিভি জানিয়েছে, কেআইআইটিতে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ২০ বছর বয়সী কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী প্রকৃতি। গত রোববার দুপুরে হোস্টেলের কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ শুরুতে এটিকে আত্মহত্যা বলে চিহ্নিত করলেও, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে। নেপালের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কৈফিয়ত দাবি করে।
অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রকৃতি তাঁর সহপাঠী আদ্ভিক শ্রীবাস্তবের কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। দাবি করা হচ্ছে, ওই কথোপকথনটি শ্রীবাস্তব এবং প্রকৃতির।
২১ বছর বয়সী এবং কেআইআইটি-এর মেকানিক্যাল শিক্ষার্থী আদ্ভিক শ্রীবাস্তব ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের বাসিন্দা। গত সোমবার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের পর আজ বুধবার প্রকৃতির মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে প্রকৃতির বাবা সুনীল লামসাল বলেছেন, ‘আমি আমার মেয়েকে পাঠিয়েছিলাম উচ্চশিক্ষার জন্য। বিশ্বাস করেছিলাম, সে নিরাপদে থাকবে। কিন্তু যা ঘটল তা নেওয়ার মতো নয়।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে নেপালের ছাত্রদের বিক্ষোভকে শক্ত হাতে দমন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে। এ ছাড়া একটি ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই সিনিয়র কর্মকর্তাকে নেপাল সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। এক কর্মকর্তা দাবি করেন—নেপালের জিডিপি কেআইআইটি-এর বাজেটের চেয়েও কম।
এদিকে সারা রাত ধরেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সোমবার হঠাৎ করেই নেপালের শিক্ষার্থীদের ওই দিনই ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থীদের কটকের রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকেই তাঁদের নিজ দায়িত্বে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ওডিশা সরকার ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে ভারতের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটি যথাযথভাবে সরকারকে জানায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ওডিশা পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আদ্ভিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ ছাড়াও দুজন নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য।
কেআইআইটি-এর যে দুই কর্মকর্তা নেপালকে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং পরে তাঁরা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন। তবে নেপালের সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে আখ্যা দিয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেছেন, ‘আমাদের দূতাবাস বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছে।’ নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং সঠিকভাবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কাজ করছি।’
এই ঘটনা ওডিশার রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রকৃতির মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস। কেআইআইটি-এর প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্তের গ্রেপ্তার চেয়েছে প্রথমবারের মতো রাজ্যটির ক্ষমতায় আসা বিজেপি শিবির। আর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েকের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদল বিজেডি-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—বিজেপি সরকারের অধীনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হয়েছে।
ওডিশার বিধানসভায় বিরোধী দলগুলো এই ঘটনাকে ‘অসহনীয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে। একজন কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, ‘কেআইআইটি-তে যা ঘটেছে তা আমাদের রাজ্যের জন্য লজ্জার বিষয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না।’
ভারতের ওডিশায় কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে (কেআইআইটি) রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে নেপালের ছাত্রী প্রকৃতি লামসালের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা, বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ছাড়াও ভারতের সঙ্গে নেপালের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার এনডিটিভি জানিয়েছে, কেআইআইটিতে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ২০ বছর বয়সী কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী প্রকৃতি। গত রোববার দুপুরে হোস্টেলের কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ শুরুতে এটিকে আত্মহত্যা বলে চিহ্নিত করলেও, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে। নেপালের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কৈফিয়ত দাবি করে।
অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রকৃতি তাঁর সহপাঠী আদ্ভিক শ্রীবাস্তবের কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। দাবি করা হচ্ছে, ওই কথোপকথনটি শ্রীবাস্তব এবং প্রকৃতির।
২১ বছর বয়সী এবং কেআইআইটি-এর মেকানিক্যাল শিক্ষার্থী আদ্ভিক শ্রীবাস্তব ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের বাসিন্দা। গত সোমবার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের পর আজ বুধবার প্রকৃতির মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে প্রকৃতির বাবা সুনীল লামসাল বলেছেন, ‘আমি আমার মেয়েকে পাঠিয়েছিলাম উচ্চশিক্ষার জন্য। বিশ্বাস করেছিলাম, সে নিরাপদে থাকবে। কিন্তু যা ঘটল তা নেওয়ার মতো নয়।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে নেপালের ছাত্রদের বিক্ষোভকে শক্ত হাতে দমন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে। এ ছাড়া একটি ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই সিনিয়র কর্মকর্তাকে নেপাল সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। এক কর্মকর্তা দাবি করেন—নেপালের জিডিপি কেআইআইটি-এর বাজেটের চেয়েও কম।
এদিকে সারা রাত ধরেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সোমবার হঠাৎ করেই নেপালের শিক্ষার্থীদের ওই দিনই ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থীদের কটকের রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকেই তাঁদের নিজ দায়িত্বে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ওডিশা সরকার ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে ভারতের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটি যথাযথভাবে সরকারকে জানায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ওডিশা পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আদ্ভিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ ছাড়াও দুজন নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য।
কেআইআইটি-এর যে দুই কর্মকর্তা নেপালকে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং পরে তাঁরা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন। তবে নেপালের সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে আখ্যা দিয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেছেন, ‘আমাদের দূতাবাস বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছে।’ নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং সঠিকভাবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কাজ করছি।’
এই ঘটনা ওডিশার রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রকৃতির মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস। কেআইআইটি-এর প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্তের গ্রেপ্তার চেয়েছে প্রথমবারের মতো রাজ্যটির ক্ষমতায় আসা বিজেপি শিবির। আর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েকের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদল বিজেডি-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—বিজেপি সরকারের অধীনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হয়েছে।
ওডিশার বিধানসভায় বিরোধী দলগুলো এই ঘটনাকে ‘অসহনীয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে। একজন কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, ‘কেআইআইটি-তে যা ঘটেছে তা আমাদের রাজ্যের জন্য লজ্জার বিষয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না।’
প্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচীনের এক তরুণী আকাশছোঁয়া বাসা ভাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে অফিসের টয়লেটে বসবাস করছেন। মাসে মাত্র ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৭ মার্কিন ডলার) ভাড়ায় তিনি এই ৬ বর্গমিটারের অস্বাস্থ্যকর স্থানটিতে দিন কাটাচ্ছেন। এমনই মর্মস্পর্শী এক গল্প উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক আলোচনায় বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান। গতকাল রোববার এই তিন এশীয় রপ্তানিনির্ভর দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তাঁরা আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে
২ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই কূটনৈতিক ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে