গাছবিহীন এক দ্বীপে পাওয়া গেল প্রাগৈতিহাসিক বন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ১৬

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে কোনো গাছ খুঁজে পাওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ মহাসমুদ্রের এই অংশটির ওপর দিয়ে সব সময় বিপুল বেগে বাতাস বয়ে যায়। তীব্র গতির এই বাতাসে কোনো গাছ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, এই দ্বীপাঞ্চলেই প্রাগৈতিহাসিক একটি বনের অস্তিত্ব ছিল। সেই বন এখন মাটির অন্তত ২০ ফুট নিচে পড়ে আছে। 

বুধবার সিএনএন জানিয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের অধ্যাপক ড. জো থমাস ২০২০ সালে ফিল্ডওয়ার্ক পরিচালনা করতে গিয়ে মাটির নিচে গাছের মতো বস্তুর অবশিষ্টাংশ আবিষ্কার করেছিলেন। এই বিষয়টি পরে তাঁকে এবং তাঁর দলকে আরও তদন্ত করে দেখার প্ররোচনা জোগায়। 

ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী স্ট্যানলির কাছে একটি নির্মাণাধীন এলাকায় গাছের জীবাশ্মগুলোর অস্তিত্ব এটাই ইঙ্গিত করে যে, ওই অঞ্চলটিতে একসময় একটি নাতিশীতোষ্ণ রেইনফরেস্ট ছিল। গবেষক দলটি ওই জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে পরে জানতে পারে, ওই গাছগুলো দেড় থেকে ৩ কোটি বছরের পুরোনো। প্রাগৈতিহাসিক ওই বনটি সম্ভবত আধুনিক প্যাটাগোনিয়ান রেইনফরেস্টের মতো ছিল। এর ফলে এটাই প্রতীয়মান হয়, ফকল্যান্ডের জলবায়ু একসময় আজকের দিনের তুলনায় উষ্ণ এবং আর্দ্র ছিল। 

গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন, প্রবল বাতাস এবং অম্লীয় মাটি সহ বিভিন্ন কারণেই একসময় গাছগুলো দ্বীপগুলো থেকে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে ফকল্যান্ডের তাৎপর্য ওপর জোর দিয়েছেন অধ্যাপক ড. থমাস। তিনি মনে করেন, অদূর ভবিষ্যতে এই দ্বীপাঞ্চলে বনভূমির সৃষ্টি হবে এমন সম্ভাবনা এখন কম।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত