আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘এই শিশুদের দিকে তাকান। কারা তাদের হত্যা করেছে?’ স্ট্রেচারের ওপর পাশাপাশি রাখা ছোট্ট ছয়টি লাশের সামনে দাঁড়িয়ে গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক ছুড়ে দেন এই প্রশ্ন।
এই ব্যক্তি গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের শহরের ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালের পরিচালক ইউসেফ আল-আক্কাদ। তাঁর ভিডিওটি উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গত বুধবার প্রকাশ করেছে।
ভিডিওতে ইউসেফ আল-আক্কাদকে বলতে শোনা যায়, ‘এই শোকাহত ও নির্যাতিত মানুষদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলার সময়ে মুক্ত বিশ্ব তুমি কোথায়?’ সরাসরি তিনি প্রশ্ন না ছুড়লেও, এই শিশুদের কী দোষ ছিল, তাই যে তিনি বলতে চেয়েছেন এই আকুতিতে স্পষ্ট। এ সময় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধে আবেগঘন আকুতি জানাতে দেখা যায় তাঁকে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফিলিস্তিনি। এর এক-তৃতীয়াংশই শিশু। জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় অনেক নবজাতকও নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের নিউজ এজেন্সি ওয়াফার খবরে বলা হয়, গত বুধবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় খান ইউনিস শহরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আল-বাকরির পরিবারে ভয়াবহ শোক নেমে আসে। ওই হামলায় সাত শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে এই পরিবারে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুধবার ইসরায়েলের হামলায় হতাহত পরিবারগুলোর একটি হলো আল-বাকরির পরিবার। এমন আরও অনেক পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে কেড়ে নিয়েছে সেদিনের হামলা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, চিকিৎসক ও বাসিন্দারা এই হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ হামলার খবর খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ইসরায়েলি বাহিনী এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
আবেগতাড়িত কণ্ঠে ইউসেফ আল-আক্কাদ আরও বলেন, এটি গণহত্যা। বিশ্ব এই শিশুদের লাশ দেখুক।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মোট বাসিন্দা ২৩ লাখ। এর প্রায় অর্ধেকই শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বিগত ১৫ বছরে এই শিশুরা দেখেছে পাঁচটি যুদ্ধ। ২০০৮-০৯ সালে ২৩ দিনব্যাপী চলা যুদ্ধে নিহত হয় ৩৪১ জন, ২০১২ সালের যুদ্ধে নিহত হয় ৩৫ জন, ২০১৪ সালের যুদ্ধে ৫৩২ জন এবং ২০২১ সালের যুদ্ধে ৬৬ জন শিশু নিহত হয়। গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনি শিশু নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে।
বলা হচ্ছে, ২০০৮-০৯ সালের যুদ্ধে যে শিশুর বয়স ছিল দুই বছর, সে-ও এ পর্যন্ত পাঁচটি যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে। যুদ্ধের সাক্ষী হওয়া শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা যেমন কঠিন, তেমনি যুদ্ধ শিশুদের মনে বড় ধরনের দাগ তৈরি করে বলেও ধারণা করা হয়।
‘এই শিশুদের দিকে তাকান। কারা তাদের হত্যা করেছে?’ স্ট্রেচারের ওপর পাশাপাশি রাখা ছোট্ট ছয়টি লাশের সামনে দাঁড়িয়ে গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক ছুড়ে দেন এই প্রশ্ন।
এই ব্যক্তি গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের শহরের ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালের পরিচালক ইউসেফ আল-আক্কাদ। তাঁর ভিডিওটি উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গত বুধবার প্রকাশ করেছে।
ভিডিওতে ইউসেফ আল-আক্কাদকে বলতে শোনা যায়, ‘এই শোকাহত ও নির্যাতিত মানুষদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলার সময়ে মুক্ত বিশ্ব তুমি কোথায়?’ সরাসরি তিনি প্রশ্ন না ছুড়লেও, এই শিশুদের কী দোষ ছিল, তাই যে তিনি বলতে চেয়েছেন এই আকুতিতে স্পষ্ট। এ সময় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ বন্ধে আবেগঘন আকুতি জানাতে দেখা যায় তাঁকে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফিলিস্তিনি। এর এক-তৃতীয়াংশই শিশু। জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় অনেক নবজাতকও নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের নিউজ এজেন্সি ওয়াফার খবরে বলা হয়, গত বুধবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় খান ইউনিস শহরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আল-বাকরির পরিবারে ভয়াবহ শোক নেমে আসে। ওই হামলায় সাত শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে এই পরিবারে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুধবার ইসরায়েলের হামলায় হতাহত পরিবারগুলোর একটি হলো আল-বাকরির পরিবার। এমন আরও অনেক পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে কেড়ে নিয়েছে সেদিনের হামলা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, চিকিৎসক ও বাসিন্দারা এই হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ হামলার খবর খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ইসরায়েলি বাহিনী এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
আবেগতাড়িত কণ্ঠে ইউসেফ আল-আক্কাদ আরও বলেন, এটি গণহত্যা। বিশ্ব এই শিশুদের লাশ দেখুক।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মোট বাসিন্দা ২৩ লাখ। এর প্রায় অর্ধেকই শিশু, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বিগত ১৫ বছরে এই শিশুরা দেখেছে পাঁচটি যুদ্ধ। ২০০৮-০৯ সালে ২৩ দিনব্যাপী চলা যুদ্ধে নিহত হয় ৩৪১ জন, ২০১২ সালের যুদ্ধে নিহত হয় ৩৫ জন, ২০১৪ সালের যুদ্ধে ৫৩২ জন এবং ২০২১ সালের যুদ্ধে ৬৬ জন শিশু নিহত হয়। গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনি শিশু নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে।
বলা হচ্ছে, ২০০৮-০৯ সালের যুদ্ধে যে শিশুর বয়স ছিল দুই বছর, সে-ও এ পর্যন্ত পাঁচটি যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে। যুদ্ধের সাক্ষী হওয়া শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা যেমন কঠিন, তেমনি যুদ্ধ শিশুদের মনে বড় ধরনের দাগ তৈরি করে বলেও ধারণা করা হয়।
ইসলাম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় ইরান থেকে পালিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী নারী আর্টেমিস ঘাসেমজাদেহ। পরে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে পৌঁছান। কিন্তু আশ্রয় পাওয়ার পরিবর্তে আর্টেমিসকে হাতকড়া পরিয়ে পানামায় পাঠিয়ে দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সে
৬ মিনিট আগে২০২০ সালের শুরুর দিকে করোনা মহামারির সময় সীমান্ত বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। ২০২৪ সালে দেশটি শুধুমাত্র রুশ পর্যটকদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করেছিল। আর গত মাসে পশ্চিমা পর্যটকেরাও দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর রাসোনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেএকটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই সৈন্য মোতায়েনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এবার বৃহত্তর শান্তিরক্ষী মিশনের অংশ হিসেবে প্রয়োজন হলে ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্কও।
২ ঘণ্টা আগেইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পাঁচ ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত মঙ্গলবার ৮৬০ কোটি তথা ৮৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের এই প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
৩ ঘণ্টা আগে