অনলাইন ডেস্ক
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) লেবাননে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা আঠারো শ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন শিশু রয়েছে বলে মঙ্গলবার এক লাইভ প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা। এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ।
মঙ্গলবার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ এখন যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে ইসরায়েলের তেল-আবিব এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে রকেট ছুড়ে সাড়া দিয়েছে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হাইফা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ন্ত্রণকারী আইনের প্রতি বিবেচনা না করেই লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। এই হামলা ‘সহিংসতাকে উসকে দেওয়া এবং বেপরোয়া পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই রাজ্য এই অঞ্চলে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে আবারও সতর্ক করছে।’
সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর পাশাপাশি পুরো অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের বিপদ থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। লেবাননের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দেশটির সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে সৌদি আরব।
ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লেবানন এবং এর জনগণের সঙ্গে ‘নিবিড় সংহতি’ প্রকাশ করেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে—লেবানন এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এই অঞ্চলকে একটি বৃহত্তর সংঘাতে নিমজ্জিত করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব-১৭০১ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। এই প্রস্তাব ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছিল।
দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি ইসরায়েলের হামলাকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন এবং এই পদক্ষেপ লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকা আবদেলাত্তি বলেছেন, ‘আমরা এই সহিংসতা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এটি লেবাননের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থিতিশীল করতে পারে।’
তুরস্ক মনে করে, ইসরায়েলের হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির গভীরে ঠেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে—লেবাননে ইসরায়েলের হামলা সমগ্র অঞ্চলকে বিশৃঙ্খলার দিকে টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টার একটি নতুন ধাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার স্পষ্ট সমালোচক তুরস্ক এবার লেবাননে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি মধ্যপ্রাচ্যকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সাদাফি বলেছেন, ‘লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন গাজার বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক অক্ষমতার কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শিয়া আল সুদানি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আরব নেতাদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। আল সুদানি ঘোষণা করেছেন, লেবাননে মানবিক সহায়তা এবং জ্বালানি পাঠানো শুরু করবে তাঁর দেশ। লেবাননে আহতদের ইরাকের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) লেবাননে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা আঠারো শ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন শিশু রয়েছে বলে মঙ্গলবার এক লাইভ প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা। এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ।
মঙ্গলবার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ এখন যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে ইসরায়েলের তেল-আবিব এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে রকেট ছুড়ে সাড়া দিয়েছে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হাইফা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ন্ত্রণকারী আইনের প্রতি বিবেচনা না করেই লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। এই হামলা ‘সহিংসতাকে উসকে দেওয়া এবং বেপরোয়া পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই রাজ্য এই অঞ্চলে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে আবারও সতর্ক করছে।’
সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর পাশাপাশি পুরো অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের বিপদ থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। লেবাননের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দেশটির সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে সৌদি আরব।
ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লেবানন এবং এর জনগণের সঙ্গে ‘নিবিড় সংহতি’ প্রকাশ করেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে—লেবানন এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এই অঞ্চলকে একটি বৃহত্তর সংঘাতে নিমজ্জিত করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব-১৭০১ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। এই প্রস্তাব ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছিল।
দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি ইসরায়েলের হামলাকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন এবং এই পদক্ষেপ লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকা আবদেলাত্তি বলেছেন, ‘আমরা এই সহিংসতা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এটি লেবাননের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থিতিশীল করতে পারে।’
তুরস্ক মনে করে, ইসরায়েলের হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির গভীরে ঠেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে—লেবাননে ইসরায়েলের হামলা সমগ্র অঞ্চলকে বিশৃঙ্খলার দিকে টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টার একটি নতুন ধাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার স্পষ্ট সমালোচক তুরস্ক এবার লেবাননে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি মধ্যপ্রাচ্যকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সাদাফি বলেছেন, ‘লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন গাজার বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক অক্ষমতার কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শিয়া আল সুদানি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আরব নেতাদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। আল সুদানি ঘোষণা করেছেন, লেবাননে মানবিক সহায়তা এবং জ্বালানি পাঠানো শুরু করবে তাঁর দেশ। লেবাননে আহতদের ইরাকের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৫ ঘণ্টা আগে