Ajker Patrika

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে নিহত ১ শিশু

অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ফিলিস্তিনি শিশুরা। ছবি: এএফপি

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন শিশুকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, গাজার প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ২ জন নিহত, ২ জন নিখোঁজ, ৩ জন গুরুতরভাবে আহত, ৫ জন এতিম হয়েছে কিংবা বাবা-মার থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে এবং ৫ জন গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া, উপত্যকায় যত শিশু আছে তাদের প্রত্যেকেরই শরীরে ক্ষতের দাগ আছে এবং সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলেও উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে গাজায় বর্তমানে শিশুর সংখ্যা ১২ লাখ, যাদের সবারই মানসিক সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা টম ফ্লেচার বলেছেন, পুরো একটা প্রজন্ম মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা–গুলি চালানো হয়েছে তাদের ওপর, অভুক্ত রাখা হয়েছে, ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয়েছে, এমনকি পৃথিবীর আলো দেখার আগেই জীবন দিয়েছে কত শিশু!

শিশু অধিকার বিষয়ক সংস্থা ওয়ার চাইল্ড অ্যালায়েন্স এবং কমিউনিটি ট্রেনিং সেন্টার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গাজার সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, গাজার ৯৬ শতাংশ শিশুই ধরে নিয়েছে, মৃত্যুই তাদের সম্মুখ নিয়তি। উপত্যকার ৪৯ শতাংশ শিশু আর বাঁচতেই চায় না। তাদের মতে—ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে জীবন যতটা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়!

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৭ হাজার ৪০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো মেড হিউম্যান রাইটস গ্রুপের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ গাজয় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে ৮৩০ ফিলিস্তিনির। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ১০৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত