হুতিদের আস্তানায় এই প্রথম হানা দিল যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ‘বি-টু স্টিলথ বম্বার’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ০৩
Thumbnail image

ইয়েমেনে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হুতিদের অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে একটি সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সংঘটিত এই হামলায় ইরান সমর্থিত হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক বি-টু স্টিলথ বম্বার বিমান ব্যবহার করল মার্কিন বাহিনী। 

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে, সর্বশেষ মিশনে তারা মাটির অনেক গভীরে থাকা হুতিদের অন্তত ৫টি অস্ত্রাগারে আঘাত করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের মতে, লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচল করা বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজগুলোকে হুমকি দেওয়ার জন্য উন্নতমানের অস্ত্র ওই অস্ত্রাগারগুলোতেই লুকিয়ে রাখত হুতিরা। 

স্টিলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্কিন বাহিনীর বি-টু স্পিরিটের বোমারু বিমানগুলো অনেক ভারী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। স্টিলথ প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন প্রযুক্তি হিসেবেও পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের অগ্রসর প্রযুক্তি যা রাডার, ইনফ্রারেড, সোনার এবং অন্যান্য শনাক্তকরণ পদ্ধতিকে ফাঁকি দিতে পারে। এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর নজর এড়িয়ে চলা এবং সামরিক কার্যক্রমকে সাফল্যমণ্ডিত করা। আরেকটি সুবিধা হলো—এই প্রযুক্তির বোমারু বিমানগুলো অন্য যে কোনো যুদ্ধবিমানের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তির বি-টু স্পিরিটের বম্বারগুলো মার্কিন সেনাবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ গোপন আস্তানাগুলোতে নির্ভুলভাবে আঘাত করার একটি অতুলনীয় ক্ষমতা প্রদান করেছে। 

হুতিদের ওপর বি-টু স্টিলথ বম্বার ব্যবহারের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বি-টু স্পিরিটের বম্বার সম্পর্কে অস্টিনের ব্যাখ্যাটি হলো—এটি তাদের ক্ষমতার এমন এক প্রদর্শনী, যার মাধ্যমে শত্রুদের সবচেয়ে সুরক্ষিত সুবিধা গুলোতেও আঘাত হানা সম্ভব। 

ইয়েমেনে হুতিদের গোপন অস্ত্রাগারগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে হামলা চালিয়েছে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে তাদের মিত্র ইসরায়েল ইরান ও তার মিত্র বাহিনীগুলোর দ্বারা হুমকির মুখে আছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেন থেকে পরিচালিত হুতিরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যপথকে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এই গোষ্ঠী ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি লোহিত ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানোরও দায় স্বীকার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম বড় হুমকি হয়ে ওঠা এই গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করে দিতে তাই সেরা অস্ত্রটিই ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত