লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০: ১৮
Thumbnail image

অবশেষে লেবাননেও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। এমনকি হিজবুল্লাহর টানেলে ঢুকে পড়ার দাবিও করেছে তারা। আইডিএফ দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অংশে ‘সীমিত পরিসরে’ ও ‘স্থানীয় অভিযান’ শুরু করেছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে তারা এই অভিযান শুরু করে। 

লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর যেসব অবকাঠামো উত্তর ইসরায়েলের বসতির জন্য হুমকিস্বরূপ, তারা সেগুলোকে কেন্দ্র করে অভিযান শুরু করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করলেও হিজবুল্লাহর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে তা খুব একটা সফল হয়নি।
 
ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর সহায়তায় গোলন্দাজ বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালায়। দেশটি এই হামলার নাম দিয়েছে, অপারেশন নর্দার্ন অ্যারোজ। মূলত হিজবুল্লাহর হামলার কারণে, উত্তর ইসরায়েল থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের নিজ এলাকায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসরায়েল সরকার এই স্থল অভিযানের অনুমতি দেয়। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে আইডিএফ স্থল আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার আগেই ইসরায়েলি সৈন্যরা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তসংলগ্ন হিজবুল্লাহর টানেলগুলোতে প্রবেশ করে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। 

এদিকে আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু হিজবুল্লাহর ব্যাপক বোমা হামলার মুখে তারা খুব একটা অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি। 

এর আগে, গতকাল হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাইম কাশেম জানান, ইসরায়েল যদি লেবাননে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা মোকাবিলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হিজবুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। তারা যদি স্থলপথে আক্রমণ করে, তবে আমাদের প্রতিরোধ বাহিনীও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকবে। ইসরায়েল তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না।’ 

শেখ নাইম কাশেম বলেন, ‘লেবাননজুড়ে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের বদলে তারা গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। বেসামরিক নাগরিক, অ্যাম্বুলেন্স, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপরও হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলকে সীমাহীন সামরিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও এই অপকর্মের অংশীদার। তবে ২০০৬ সালের মতো এবারও আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ী হব।’ 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা আক্রান্ত হয়নি বলেও জানান শেখ নাইম কাশেম। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পরও তাঁর দলের অভিযান একই গতিতে চলছে, বরং কিছু ক্ষেত্রে গতি বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত