অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ছয় জিম্মির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার জিম্মিদের লাশ উদ্ধারের পর সোমবার তেল আবিবের মতো বড় শহরগুলোর রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। এসব বিক্ষোভ থেকে জিম্মিদের ফেরাতে ব্যর্থতার দায়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান তোলে আন্দোলনকারীরা। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জিম্মি সংকটকে ঘিরে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও ইসরায়েল সরকারের ওপর ক্রমে চাপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মিদের একই পরিণতি বরণ করতে হবে। কফিনে করে পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরতে হবে তাদের।
এদিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি উল্লেখ করে ইসরায়েলের কাছে বেশ কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নেতানিয়াহু যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দীর্ঘদিন থেকেই নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরেও গিয়েছিলেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর মধ্যেই গত শনিবার গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ খুঁজে পায় ইসরায়েলি সেনারা।
নিহত ছয় জিম্মির মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানা গেছে। বাকি পাঁচজন ইসরায়েলের নাগরিক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের ২৫০-এর বেশি নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। গত সোমবার দলটির সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, চুক্তি না করে জোর খাটিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করতে চান নেতানিয়াহু। তবে এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হবে জিম্মিরা পরিবারের কাছে ফিরবেন ঠিকই, তবে সেটা কফিনে করে।
শনিবার ছয় জিম্মির মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর তেল আবিবে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, সেটি এখন ইসরায়েলের অন্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পতাকা হাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা বলছে, তাদের স্বজনদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা ও চুক্তি করা দরকার। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার সেটি না করায় জিম্মিদের এখন অকারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন অজুহাতে হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে বিলম্ব করার কারণেই নতুন করে আরও ছয় জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। নেতানিয়াহু সদিচ্ছা দেখালে আমাদের স্বজনেরা এখনো বেঁচে থাকত।’ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত এ কারণেই তেল আবিবের রাস্তায় নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে মানুষ। জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবি জানাচ্ছে তারা। তবে হামাসের শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে নারাজ নেতানিয়াহু।
হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মিদের ফেরাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ফিলাডেলফি সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। মিসর সীমান্তঘেঁষা ‘ফিলাডেলফি করিডর’ একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা প্রায় ১০০ মিটার প্রশস্ত। সেনা অপসারণ করলে হামাস আবারও গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত ব্যবহার করে অস্ত্র আমদানি শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কা জানিয়ে হামাসের শর্ত মানতে রাজি হচ্ছেন না নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ছয় জিম্মির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার জিম্মিদের লাশ উদ্ধারের পর সোমবার তেল আবিবের মতো বড় শহরগুলোর রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। এসব বিক্ষোভ থেকে জিম্মিদের ফেরাতে ব্যর্থতার দায়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান তোলে আন্দোলনকারীরা। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জিম্মি সংকটকে ঘিরে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও ইসরায়েল সরকারের ওপর ক্রমে চাপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মিদের একই পরিণতি বরণ করতে হবে। কফিনে করে পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরতে হবে তাদের।
এদিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি উল্লেখ করে ইসরায়েলের কাছে বেশ কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নেতানিয়াহু যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দীর্ঘদিন থেকেই নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরেও গিয়েছিলেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর মধ্যেই গত শনিবার গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ খুঁজে পায় ইসরায়েলি সেনারা।
নিহত ছয় জিম্মির মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানা গেছে। বাকি পাঁচজন ইসরায়েলের নাগরিক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের ২৫০-এর বেশি নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। গত সোমবার দলটির সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, চুক্তি না করে জোর খাটিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করতে চান নেতানিয়াহু। তবে এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হবে জিম্মিরা পরিবারের কাছে ফিরবেন ঠিকই, তবে সেটা কফিনে করে।
শনিবার ছয় জিম্মির মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর তেল আবিবে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, সেটি এখন ইসরায়েলের অন্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পতাকা হাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা বলছে, তাদের স্বজনদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা ও চুক্তি করা দরকার। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার সেটি না করায় জিম্মিদের এখন অকারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন অজুহাতে হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে বিলম্ব করার কারণেই নতুন করে আরও ছয় জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। নেতানিয়াহু সদিচ্ছা দেখালে আমাদের স্বজনেরা এখনো বেঁচে থাকত।’ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত এ কারণেই তেল আবিবের রাস্তায় নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে মানুষ। জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তির দাবি জানাচ্ছে তারা। তবে হামাসের শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে নারাজ নেতানিয়াহু।
হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মিদের ফেরাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ফিলাডেলফি সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। মিসর সীমান্তঘেঁষা ‘ফিলাডেলফি করিডর’ একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা প্রায় ১০০ মিটার প্রশস্ত। সেনা অপসারণ করলে হামাস আবারও গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত ব্যবহার করে অস্ত্র আমদানি শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কা জানিয়ে হামাসের শর্ত মানতে রাজি হচ্ছেন না নেতানিয়াহু।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
১ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেলাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় আরও একজন অস্ট্রেলীয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনে সেখানে ছয় বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেদখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।
৩ ঘণ্টা আগে