Ajker Patrika

শনিবার দুপুরের মধ্যে সব জিম্মির মুক্তি না দিলে গাজা জাহান্নাম হয়ে যাবে: ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক    
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ২৮
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা রাখতে চান ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা রাখতে চান ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ এনে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ জিম্মি মুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল হামাস। এই ঘোষণার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে গাজায় আটকে রাখা জিম্মিদের শনিবার দুপুরের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে, নতুবা তিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব দেবেন। তারপর গাজায় নরক ভেঙে পড়লেও কিছু করার নেই।

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক দীর্ঘ আলোচনায় ট্রাম্প হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের অবস্থা এবং জিম্মি মুক্তি বন্ধের বিষয়ে হামাসের ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের ফেরত না পেলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব বন্দিকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি বাতিল যথার্থ হবে। আমি বলব, বাতিল করুন এবং সব হিসাব শেষ, নরক ভেঙে পড়ুক। তাদের অবশ্যই শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি চাই বন্দিরা একসঙ্গে মুক্তি পাক, ধাপে ধাপে নয়। আমরা সবাইকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এক ঘোষণায় ট্রাম্প গাজার ২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে পুনর্বাসিত করার প্রস্তাব দেন। গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা জানান তিনি।

গতকাল সোমবার ফক্স নিউজের ব্রেট বাইয়েরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চান, যাতে তারা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর এই দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণে সহায়তা দিয়ে থাকে তাই এই চুক্তিতে তাদের রাজি হওয়া উচিত।

তবে ইসরায়েলের আরব প্রতিবেশী মিশর ও জর্ডান মনে করছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে স্থানান্তরের যেকোনো পরিকল্পনা অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

ফিলিস্তিনিদের গাজায় ফিরে আসার অধিকার থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘না, তাদের তা থাকবে না কারণ তারা আরও ভালো আবাসন পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা তৈরি করার কথা বলছি। গাজা পুনরায় বসবাসযোগ্য হতে কয়েক বছর লাগবে।’

ট্রাম্প বলেন, তাঁর পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের গাজায় ফিরে আসার অধিকার থাকবে না। যদিও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, গাজার বাসিন্দাদের সাময়িক সময়ের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।

ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি থেকে ছয়টি সম্প্রদায় নির্মাণ করা হতে পারে যেগুলো তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে কিছুটা দূরে, যেখানে কোনো বিপদ নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটার সত্ত্বাধিকারী হব। ভবিষ্যতে এখানে জন্য একটি রিয়েল এস্টেট করার কথা ভাবছি। এটি একটি সুন্দর ভূমি হয়ে উঠবে এবং এতে বড় কোনো অর্থ ব্যয় হবে না।’

তিনি আরও বলেন, যদি জর্ডান ও মিশর গাজা থেকে পুনর্বাসিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণ না করে, তাহলে তিনি এই দেশগুলোর জন্য মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত