অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন সামরিক বাহিনী গতকাল শনিবার ইয়েমেনের ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক সামরিক হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার ফলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান দীর্ঘায়িত হতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হুতিদের প্রতি তাদের সমর্থন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি ইরান আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা এর সম্পূর্ণ দায়ভার ইরানকেই বহন করতে বাধ্য করবে এবং আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না!’
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে এবং এটি ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে চায় এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে আনতে চায়।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে হুতিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তোমাদের সময় শেষ! আজ থেকেই তোমাদের হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি না কর, তাহলে এমন নরক নেমে আসবে, যা আগে কখনো দেখোনি!’
ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানায় মার্কিন হামলায় অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশে এক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে চারটি শিশু ও এক নারী রয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪ জন।
হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের হামলার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।’
হুতিদের বিরুদ্ধে মার্কিন এই সামরিক অভিযানের কারণে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়বে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমেরিকার কোনো অধিকার নেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন বন্ধ করো। ইয়েমেনের জনগণের ওপর হত্যা বন্ধ করো।’
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৬০ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করেছে, ইরানের এই সমৃদ্ধকরণ মাত্রা কোনো বেসামরিক প্রকল্পের জন্য যৌক্তিক নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হুতিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘আমেরিকান জাহাজ, বিমান ও আমাদের সৈন্যদের ওপর হুতিদের হামলা সহ্য করা হবে না। ইরানকেও আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি।’
মার্কিন নৌবাহিনীর হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে গতকাল শনিবার ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
হুতিরা বলেছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিটি হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত। যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা প্রতিরোধ করব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী ইয়েমেনের হুতি ও লেবাননের হিজবুল্লাহ হামাসের পক্ষ নেয়। এ সময় তারা ইসরায়েল ভূখণ্ড এবং লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালায়।
যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন হামলা নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করল। ইয়েমেনে যুদ্ধ আরও তীব্রতর হতে পারে এবং মার্কিন সামরিক অভিযানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী গতকাল শনিবার ইয়েমেনের ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক সামরিক হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার ফলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান দীর্ঘায়িত হতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হুতিদের প্রতি তাদের সমর্থন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি ইরান আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা এর সম্পূর্ণ দায়ভার ইরানকেই বহন করতে বাধ্য করবে এবং আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না!’
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে এবং এটি ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে চায় এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে আনতে চায়।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে হুতিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তোমাদের সময় শেষ! আজ থেকেই তোমাদের হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি না কর, তাহলে এমন নরক নেমে আসবে, যা আগে কখনো দেখোনি!’
ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানায় মার্কিন হামলায় অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশে এক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে চারটি শিশু ও এক নারী রয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪ জন।
হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের হামলার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।’
হুতিদের বিরুদ্ধে মার্কিন এই সামরিক অভিযানের কারণে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়বে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমেরিকার কোনো অধিকার নেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন বন্ধ করো। ইয়েমেনের জনগণের ওপর হত্যা বন্ধ করো।’
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৬০ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করেছে, ইরানের এই সমৃদ্ধকরণ মাত্রা কোনো বেসামরিক প্রকল্পের জন্য যৌক্তিক নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হুতিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘আমেরিকান জাহাজ, বিমান ও আমাদের সৈন্যদের ওপর হুতিদের হামলা সহ্য করা হবে না। ইরানকেও আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি।’
মার্কিন নৌবাহিনীর হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে গতকাল শনিবার ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
হুতিরা বলেছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিটি হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত। যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা প্রতিরোধ করব।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী ইয়েমেনের হুতি ও লেবাননের হিজবুল্লাহ হামাসের পক্ষ নেয়। এ সময় তারা ইসরায়েল ভূখণ্ড এবং লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালায়।
যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন হামলা নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করল। ইয়েমেনে যুদ্ধ আরও তীব্রতর হতে পারে এবং মার্কিন সামরিক অভিযানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন একটি আদালত কয়েক ঘণ্টা আগেই জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এর পরেও ২০০-এর বেশি ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১ ঘণ্টা আগেভ্রমণ মানেই আনন্দ। তবে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ঝামেলা অনেকের জন্যই বেশ ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, ফ্লাইটের সময় যদি খুব ভোরে হয়, তাহলে যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়, দীর্ঘ চেক-ইন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার ধাপ পেরোতে হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মার্কিন কফি চেইন ‘স্টারবাকস’। তবে এই কোম্পানিকে ৫০ মিলিয়ন ডলার (৬০৬ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত। এই অর্থ দিতে হবে একজন ডেলিভারি ড্রাইভারকে। কারণ, স্টারবাকসের একটি গরম পানীয়ের ঢাকনা সুরক্ষিত না থাকায় গুরুতরভাবে
৩ ঘণ্টা আগেইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবারের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা ‘পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত’।
৪ ঘণ্টা আগে