আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ শনিবার। তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ ভোটাভুটি হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইমরান খান। রয়টার্স জানায়, পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে এবং বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন ইমরান খান। তেমনটা ঘটলে আগামীকাল রোববার প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমদানি করা সরকার আমি মানব না। আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’
আগের দিন দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘রায়ে আমি দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু তা মেনে নিয়েছি।’
অনাস্থা ভোট থেকে বাঁচতে গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট (জাতীয় পরিষদ) ভেঙে দিয়েছিলেন ইমরান খান। এ নিয়ে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। তিন দিনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ওই পদক্ষেপ ছিল অসাংবিধানিক। অতএব পার্লামেন্ট বহাল আছে। শনিবার (আজ) বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসাতে হবে এবং সেদিনই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে।
পার্লামেন্টে সমর্থনের যে হিসাবনিকাশ দাঁড়িয়েছে, তাতে অনাস্থার লজ্জা নিয়েই ইমরান খানের প্রস্থানের বিষয়টি আগেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে আছে।
এর আগে গত রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইমরান কী বলতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে। এই জল্পনা আরও জোর পায় তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর কথায়। তিনি জানান, ভাষণে ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই অর্থে কিছুই ছিল না ইমরানের ভাষণে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভাষণে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিজের মতো করে সবিস্তার তুলে ধরেন দেশবাসীর সামনে। তিনি বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের আলোকে পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি এবং অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেছিলেন। এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। আমি চেয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট অন্তত বিষয়টিতে নজর দেবে। অন্য একটি দেশ চক্রান্ত করে পাকিস্তান সরকারের পতন ঘটাতে চায়—এটি একটি গুরুতর অভিযোগ।’
তাই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অন্তত তদন্ত করে দেখবে, এমনটিই আশা করেছিলেন বলে জানান ইমরান। তবে সেটি না হওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তারপরও আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকবেন স্পিকার। সেখানেই নির্ধারিত হবে ইমরানের ভাগ্য।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। এর পক্ষে সমর্থন বাড়তে থাকে দ্রুত। গত ৩১ মার্চ ইমরান খান সরকারের জোটের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক ‘মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টিও বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়। ফলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরান সরকার। অনাস্থা ভোটে তাঁর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে স্পিকার তা আইনসভায় পেশ করেন ২৫ মার্চ। নিয়ম অনুসারে, স্পিকার ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোটে দিতে বাধ্য ছিলেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ৩ এপ্রিলের অধিবেশন স্থগিতের পর বিরোধীরা নিজেরাই অধিবেশন পরিচালনা করে এবং সেখানে তারা আয়াজ সাদিককে হাউসের স্পিকার নির্বাচিত এবং ১৯৭ ভোটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করে।
যেহেতু বিরোধী দল হাউসের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, সে ক্ষেত্রে তিনি শনিবারের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও দ্বিমত দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, স্পিকার আসাদ কায়সার আজ সংসদে সভাপতিত্ব করবেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ শনিবার। তাঁর বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ ভোটাভুটি হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইমরান খান। রয়টার্স জানায়, পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে এবং বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন ইমরান খান। তেমনটা ঘটলে আগামীকাল রোববার প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমদানি করা সরকার আমি মানব না। আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’
আগের দিন দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘রায়ে আমি দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু তা মেনে নিয়েছি।’
অনাস্থা ভোট থেকে বাঁচতে গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট (জাতীয় পরিষদ) ভেঙে দিয়েছিলেন ইমরান খান। এ নিয়ে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। তিন দিনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ওই পদক্ষেপ ছিল অসাংবিধানিক। অতএব পার্লামেন্ট বহাল আছে। শনিবার (আজ) বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসাতে হবে এবং সেদিনই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে।
পার্লামেন্টে সমর্থনের যে হিসাবনিকাশ দাঁড়িয়েছে, তাতে অনাস্থার লজ্জা নিয়েই ইমরান খানের প্রস্থানের বিষয়টি আগেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে আছে।
এর আগে গত রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইমরান কী বলতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে। এই জল্পনা আরও জোর পায় তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর কথায়। তিনি জানান, ভাষণে ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই অর্থে কিছুই ছিল না ইমরানের ভাষণে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভাষণে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিজের মতো করে সবিস্তার তুলে ধরেন দেশবাসীর সামনে। তিনি বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের আলোকে পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি এবং অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেছিলেন। এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। আমি চেয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট অন্তত বিষয়টিতে নজর দেবে। অন্য একটি দেশ চক্রান্ত করে পাকিস্তান সরকারের পতন ঘটাতে চায়—এটি একটি গুরুতর অভিযোগ।’
তাই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অন্তত তদন্ত করে দেখবে, এমনটিই আশা করেছিলেন বলে জানান ইমরান। তবে সেটি না হওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তারপরও আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকবেন স্পিকার। সেখানেই নির্ধারিত হবে ইমরানের ভাগ্য।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। এর পক্ষে সমর্থন বাড়তে থাকে দ্রুত। গত ৩১ মার্চ ইমরান খান সরকারের জোটের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক ‘মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টিও বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়। ফলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরান সরকার। অনাস্থা ভোটে তাঁর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে স্পিকার তা আইনসভায় পেশ করেন ২৫ মার্চ। নিয়ম অনুসারে, স্পিকার ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোটে দিতে বাধ্য ছিলেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ৩ এপ্রিলের অধিবেশন স্থগিতের পর বিরোধীরা নিজেরাই অধিবেশন পরিচালনা করে এবং সেখানে তারা আয়াজ সাদিককে হাউসের স্পিকার নির্বাচিত এবং ১৯৭ ভোটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করে।
যেহেতু বিরোধী দল হাউসের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, সে ক্ষেত্রে তিনি শনিবারের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও দ্বিমত দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, স্পিকার আসাদ কায়সার আজ সংসদে সভাপতিত্ব করবেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যের একটি সূত্র গতকাল রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে এই বিষয়টি জানিয়েছে। তবে, যুদ্ধবিরতির আশা থাকলেও লেবাননে ইসরায়েলি
১ ঘণ্টা আগেইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কেবল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিই যথেষ্ট নয়। তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা উচিত। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনগণের চুরি যাওয়া ম্যান্ডেট পুনরুদ্ধার ও দেশটির সংবিধানের ২৬ তম সংশোধনী বাতিলে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ‘চূড়ান্ত ডাক’ দিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার সমর্থক দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা হন গতকাল রোববার। তবে তারা সেদিন...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৩ থেকে ৫ হাজার যোদ্ধা সংগ্রহের ব্যাপকতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া, আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ব্যর্থ আলোচনা, জান্তার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের অর্থ এবং নাগরিকত্বের প্রস্তাব এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে কিছু বাংলাদেশি কর্মকর্তার...
৫ ঘণ্টা আগে