এবার পাকিস্তানে শনাক্ত হলো এমপক্স 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১০: ২৮
Thumbnail image

পাকিস্তানে মারাত্মক মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের নতুন প্রাদুর্ভাবে দেশটিতে এটিই প্রথম সংক্রমণের ঘটনা। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এমপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা অবস্থা ঘোষণা করার পর দেশটিতে এই সংক্রমণ শনাক্ত হলো। 

পাকিস্তানে এমপক্সের প্রথম রোগী শনাক্ত নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, ভাইরাসটির স্ট্রেইন বা প্রজাতি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আক্রান্ত ব্যক্তি উপসাগরীয় দেশ থেকে এসেছেন। আক্রান্ত রোগীর সিকোয়েন্সিং চলছে। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রোগী এমপক্সের কোনো ধরনে আক্রান্ত হয়েছে তা স্পষ্ট হবে না। 

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্সের বিস্তার ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দিয়েছে। 

উত্তর খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ আগের বিবৃতি প্রত্যাহার করে শুক্রবার বলেছে, এই এলাকায় একজন এমপক্স রোগী নিশ্চিত করা হয়েছে। আগের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসার পরে সেখানে তিনজন এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছিল। 

খাইবার পাখতুনখাওয়ার মারদান জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাভেদ ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, একজন রোগীর এমপক্স নিশ্চিত। সম্প্রতি তিনি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। তিনি প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের একটি হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা এবং পরামর্শ নেন। পরে মারদানের বাড়িতে যান এবং তারপরে অন্য জেলায় যান। 

মারদান স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মারদানে তাঁর বাড়িতে গিয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, পরিবারটি দির এলাকায় চলে গেছে। এরপর দির জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, কিন্তু তারা তাঁর সন্ধান এখনো পায়নি।’ 

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা সুইডেনে এমপক্স ভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যেটি আফ্রিকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে। এটি আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম কেস। 

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর ডব্লিউএইচও গত বুধবার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই ভাইরাসে কঙ্গোতে ২৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত এবং ১১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই অধিক। 

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এমপক্স ছড়ায়। এটি সঙ্গম, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পুঁজ ও ক্ষত সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে যথা ক্লেড-১ ও ক্লেড-২। এর আগে ২০২২ সালে এমপক্স পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, সেবারের সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে হালকা ক্লেড-২ ছিল। যা হোক, এবার অনেক বেশি মারাত্মক ক্লেড-১ ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অসুস্থ হওয়া ১০ শতাংশ মানুষ মারা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত