Ajker Patrika

ইসলামাবাদে বিক্ষোভের পর ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক    
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আহসান ইকবাল (বামে) ও তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার (ডানে)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আহসান ইকবাল (বামে) ও তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার (ডানে)।

গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইসলামাবাদে বিক্ষোভের ঘটনায় ইমরান খান, বুশরা বিবি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির শত শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পাকিস্তান সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত রোববার (২৪ নভেম্বর) ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলামাবাদে অভিমুখে যাত্রা করেন হাজার হাজার পিটিআই কর্মী। ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তবে পথিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করে পিটিআই।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আধাসামরিক বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে আট জন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে পিটিআই। তবে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিক্ষোভে কোনো গুলি চালানো হয়নি এবং কোনো লাশ হাসপাতালে আসেনি। পিটিআই নেতারা ১০ থেকে ২০০ জন নিহত হওয়ার কথা বললেও এটি সত্য নয়।’

পাকিস্তান সরকার ইমরান খানের এই বিক্ষোভকে ‘মৃতদেহের রাজনীতি’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

এদিকে মতিউল্লাহ জান নামে একজন সাংবাদিককে সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি। মতিউল্লাহ জান সাম্প্রতিক এই বিক্ষোভে সম্ভাব্য নিহতদের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। তবে পিটিআই সামরিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সরকার গঠনে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকেই ইমরান খানের মুক্তি ও নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলন করছে পিটিআই।

উল্লেখ্য, টানা তিন দিনের উত্তেজনা শেষে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইমরান সমর্থকেরা রাজধানী ইসলামাবাদের রেড জোন ডি-চক এলাকায় পৌঁছানোর পর বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে, দেশের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকেও বিপন্ন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত