অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: পাঠকদের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে একটি পত্রিকাকে চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আদালতে গেছে পত্রিকাটি। এটিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সংস্থার দুইজন এজেন্টকে হত্যা মামলার তদন্তের জন্য ইউএসএ টুডের পাঠকদের তথ্য চেয়েছে এফবিআই। গত এপ্রিলে সংস্থাটি পত্রিকাটিকে নোটিশ দেয়। তবে সেটি গণমাধ্যমে এসেছে গত সপ্তাহে।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিশু পর্নোগ্রাফি মামলায় তল্লাশি অভিযানের সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি এফবিআই এজেন্টদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুজন এজেন্ট নিহত হন, আহত হন আরও তিনজন। ইউএসএ টুডের কাছে এ বিষয়ক প্রতিবেদনের পাঠকদের তথ্য চেয়েছে এফবিআই।
এফবিআইয়ের চিঠিতে এফবিআই এজেন্টদের গুলির করার ঘটনার পর একই দিন ওই বিষয়ক প্রতিবেদনে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত যেসব পাঠক ক্লিক করেছেন শুধু তাঁদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য হিসেবে চাওয়া হয়েছে পাঠকের ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেস। আইডি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যবহৃত কম্পিউটারের অবস্থান, ডিভাইসটি কোন সংস্থা বা কোম্পানির সেটির বিস্তারিত এবং ডিভাইসটি কোথায় নিবন্ধিত হয়েছে সেটিও জানা সম্ভব। চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে ওই প্রতিবেদনের পাঠকদের নাম চাওয়া হয়নি। তবে আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে খুব সহজেই এফবিআই ওইসব পাঠকের নাড়িনক্ষত্র বের করে ফেলতে পারবে।
এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রথমে এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউএসএ টুডে। পরে তদন্ত সংস্থার আবদারটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের শরণাপন্ন হয় পত্রিকাটি। ইউএসএ টুডের প্রকাশক এবং ইউএসএ টুডে নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট মেরিবেল পেরেজ ওয়াডসওয়ার্থ আদালতে সরকারি সংস্থার এমন আর্জি খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার পাঠকদের ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ হস্তান্তর করতে বলেছে। পাঠক ও সাংবাদিকদের মধ্যকার সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কার কমপক্ষে তিনটি পৃথক ঘটনায় সাংবাদিকদের ই–মেইল এবং ফোন রেকর্ড জব্দ করার কথা বিচার বিভাগ থেকে প্রকাশ করার পর এফবিআইয়ের এমন পদক্ষেপের খবর জনসম্মুখে এল।
ওয়াডসওয়ার্থ বলেন, আমাদের ওয়েবসাইটের পাঠকদের তথ্য সরকারকে দিতে বাধ্য করাটা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটি দেখেছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য না দিতে আমরা বিবাদীর দাবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঠক এবং সাংবাদিকদের মধ্যকার সম্পর্ক রক্ষার জন্য আমি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছি।
তবে আদালত বা এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এফবিআইয়ের যে এজেন্ট ওই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি শিশু নির্যাতন মামলা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। কয়েকটি মামলায় তিনি সাক্ষ্যও দিয়েছেন। তথ্য চাওয়ার এ নির্দেশনায় শুধু ‘ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে তথ্য প্রয়োজন’ উল্লেখ করা হয়েছে। ফেডারেল কর্মকর্তারাও এ তদন্ত সম্পর্কে এর বেশি তথ্য দিতে রাজি হননি।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার ওই ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনায় শুধু ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনের পাঠকদের তথ্য কেন চাচ্ছে এফবিআই সেটি পরিষ্কার নয়। এফবিআইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন ছিল সেটি। সেই ঘটনা নিয়ে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছিল।
এফবিআইয়ের এভাবে পাঠকদের তথ্য চাওয়ার সমালোচনা করছেন সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীরা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জামিল জাফার দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এই দাবিটি প্রথম সংশোধনীর বিরুদ্ধে যায়। সংগত কারণেই, আদালত সাধারণত সরকারকে এ ধরনের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সাংবাদিকদের আরও সুরক্ষা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা: পাঠকদের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে একটি পত্রিকাকে চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আদালতে গেছে পত্রিকাটি। এটিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সংস্থার দুইজন এজেন্টকে হত্যা মামলার তদন্তের জন্য ইউএসএ টুডের পাঠকদের তথ্য চেয়েছে এফবিআই। গত এপ্রিলে সংস্থাটি পত্রিকাটিকে নোটিশ দেয়। তবে সেটি গণমাধ্যমে এসেছে গত সপ্তাহে।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিশু পর্নোগ্রাফি মামলায় তল্লাশি অভিযানের সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি এফবিআই এজেন্টদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুজন এজেন্ট নিহত হন, আহত হন আরও তিনজন। ইউএসএ টুডের কাছে এ বিষয়ক প্রতিবেদনের পাঠকদের তথ্য চেয়েছে এফবিআই।
এফবিআইয়ের চিঠিতে এফবিআই এজেন্টদের গুলির করার ঘটনার পর একই দিন ওই বিষয়ক প্রতিবেদনে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত যেসব পাঠক ক্লিক করেছেন শুধু তাঁদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য হিসেবে চাওয়া হয়েছে পাঠকের ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেস। আইডি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যবহৃত কম্পিউটারের অবস্থান, ডিভাইসটি কোন সংস্থা বা কোম্পানির সেটির বিস্তারিত এবং ডিভাইসটি কোথায় নিবন্ধিত হয়েছে সেটিও জানা সম্ভব। চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে ওই প্রতিবেদনের পাঠকদের নাম চাওয়া হয়নি। তবে আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে খুব সহজেই এফবিআই ওইসব পাঠকের নাড়িনক্ষত্র বের করে ফেলতে পারবে।
এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রথমে এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউএসএ টুডে। পরে তদন্ত সংস্থার আবদারটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের শরণাপন্ন হয় পত্রিকাটি। ইউএসএ টুডের প্রকাশক এবং ইউএসএ টুডে নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট মেরিবেল পেরেজ ওয়াডসওয়ার্থ আদালতে সরকারি সংস্থার এমন আর্জি খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার পাঠকদের ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ হস্তান্তর করতে বলেছে। পাঠক ও সাংবাদিকদের মধ্যকার সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কার কমপক্ষে তিনটি পৃথক ঘটনায় সাংবাদিকদের ই–মেইল এবং ফোন রেকর্ড জব্দ করার কথা বিচার বিভাগ থেকে প্রকাশ করার পর এফবিআইয়ের এমন পদক্ষেপের খবর জনসম্মুখে এল।
ওয়াডসওয়ার্থ বলেন, আমাদের ওয়েবসাইটের পাঠকদের তথ্য সরকারকে দিতে বাধ্য করাটা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটি দেখেছেন এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য না দিতে আমরা বিবাদীর দাবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঠক এবং সাংবাদিকদের মধ্যকার সম্পর্ক রক্ষার জন্য আমি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছি।
তবে আদালত বা এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এফবিআইয়ের যে এজেন্ট ওই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি শিশু নির্যাতন মামলা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। কয়েকটি মামলায় তিনি সাক্ষ্যও দিয়েছেন। তথ্য চাওয়ার এ নির্দেশনায় শুধু ‘ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে তথ্য প্রয়োজন’ উল্লেখ করা হয়েছে। ফেডারেল কর্মকর্তারাও এ তদন্ত সম্পর্কে এর বেশি তথ্য দিতে রাজি হননি।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার ওই ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনায় শুধু ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনের পাঠকদের তথ্য কেন চাচ্ছে এফবিআই সেটি পরিষ্কার নয়। এফবিআইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন ছিল সেটি। সেই ঘটনা নিয়ে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছিল।
এফবিআইয়ের এভাবে পাঠকদের তথ্য চাওয়ার সমালোচনা করছেন সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীরা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জামিল জাফার দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এই দাবিটি প্রথম সংশোধনীর বিরুদ্ধে যায়। সংগত কারণেই, আদালত সাধারণত সরকারকে এ ধরনের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সাংবাদিকদের আরও সুরক্ষা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
১ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেলাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় আরও একজন অস্ট্রেলীয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনে সেখানে ছয় বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেদখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।
৩ ঘণ্টা আগে