মার্কিন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে যা মাথায় রাখা উচিত

অনলাইন ডেস্ক   
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩: ০২
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ৩৮
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে দরজায় কড়া নাড়ছে ৫ নভেম্বর। এবার এই দিনটিতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বলা হচ্ছে, এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে পরিণতিমূলক নির্বাচন হতে চলেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই প্রার্থীর ভোটের লড়াইয়ে এবারও জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্য। রাজ্যগুলো হলো—অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন।

এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থীরই ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কমলা হ্যারিস বিজয়ী হলে তিনিই হবেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউসে অধিষ্ঠিত হবেন। অন্যদিকে ট্রাম্প জয়ী হলে, তিনিই হবেন আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর চূড়ান্ত ফলাফল কখন জানা যাবে সেই সময়টি এখনো অনিশ্চিত। কারণ প্রতিটি রাজ্যের ব্যালট গণনার জন্য নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। এটি বিলম্বের কারণ হতে পারে। ২০২০ সালে অর্থাৎ গত মার্কিন নির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার কয়েক দিন পরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এই বছরও টান টান উত্তেজনা আর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কে বিজয়ী হবেন। তবে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে সবার আগে নর্থ ক্যারোলিনা এবং জর্জিয়া থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফল নির্বাচনী গতিপথের একটি সূত্র দিতে পারে।

নির্বাচনের দিনটিতে ফ্লোরিডায় নিজের ভোট প্রদানের আগে মিশিগানের গ্র্যান্ড র‍্যাপিডসে শেষ সমাবেশটি করবেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নির্বাচনের আগের রাতটিতে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে একটি ইভেন্টে যোগ দিচ্ছেন কমলা। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশোনা করেছেন তিনি।

এবার উভয় প্রার্থীই তাঁদের সমর্থকদের একত্রিত করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ৭ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ আগেভাগেই ভোট দিয়ে দিয়েছে। আগাম ভোটের এই প্রবণতাটি ইঙ্গিত করছে, অতীতের তুলনায় এবার রিপাবলিকানেরা নির্বাচনে বেশি সংখ্যায় অংশগ্রহণ করছে। কারণ রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে উৎসাহিত করেছিলেন।

নির্বাচন পরবর্তী সম্ভাব্য অস্থিরতা নিয়েও এবার উদ্বেগ প্রবল। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, প্রতারণা করেই শুধু তাঁকে হারানো সম্ভব। এই ধরনের বক্তব্য সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এমন হলে গত নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থকেরা যেভাবে ক্যাপিটাল হিলে দাঙ্গা শুরু করেছিল, এবারও তেমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে গতবারের অবস্থাটি মাথায় রেখে এবার মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত