ইউক্রেনকে ভূখণ্ডের আশা ছাড়তে বলা সাবেক জেনারেলই ট্রাম্পের বিশেষ দূত

অনলাইন ডেস্ক    
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২: ৩৬
Thumbnail image
লে. জেনারেল অব. কিথ কেলোগ। ছবি: এএফপি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাব তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলোগ। ইউক্রেন-রাশিয়ার জন্য ট্রাম্পের মনোনীত এই বিশেষ দূত বলেছেন, যুদ্ধ শেষ ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে তার ভূখণ্ডের একাংশ হস্তান্তর করবে। গত জুন মাসে কেলোগ এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার কেলোগকে ইউক্রেন-রাশিয়ার জন্য তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করার কথা ঘোষণা করেন। ঠিক তার পরপরই গত জুন মাসে উত্থাপিত কেলোগের ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার পরিকল্পনার বিষয়টি আবার সামনে এল। তাঁর এই পরিকল্পনা সামনে আসার বিষয়টি এই ইঙ্গিত দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেবে।

ট্রাম্প প্রশাসন যদি কেলোগের এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তাহলে এর অর্থ হবে—বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত অবস্থান থেকে হোয়াইট হাউস সরে আসতে যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্ররা এই পরিকল্পনা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।

কিথ কেলোগ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এই গবেষণায় কেলোগের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি এনএসএ—এর সাবেক চিফ অব স্টাফ ফ্রেড ফ্লেইটজ।

সেই গবেষণা প্রতিবেদনে কেলোগ ও ফ্লেইটজ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে এবং তার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী কর পারে। যাতে রাশিয়া রণক্ষেত্রে আর অগ্রগতি অর্জন করতে না করতে পারে এবং যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তির পর আবার যেন হামলা না চালাতে পারে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘তবে ভবিষ্যতে মার্কিন সামরিক সহায়তা ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে করতে বাধ্য করবে—এই শর্ত থাকতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি আলোচনায় যুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং অন্যান্য ন্যাটো নেতারা ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়টি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিতে পারেন। তবে এটি হতে হবে একটি সম্পূর্ণ এবং যাচাইযোগ্য শান্তি চুক্তি এবং নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিনিময়ে।’

ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং পুতিনের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আর যখন মাত্র দুই মাসেরও কম সময় বাকি ঠিক তখনই বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।

বিপরীতে রাশিয়া তার পারমাণবিক নীতি পুনঃ পর্যালোচনা করেছে। যার ফলে, যেসব শর্তের আলোকে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে সেগুলো অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে বা কমিয়ে আনা হয়েছে। এই বিষয়টি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত