অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের অংশ হিসেবে প্রায় একশ ইস্যুতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো দেশটির জনজীবন বদলে দিতে পারে। এর মধ্যে গর্ভপাত, মজুরি ও মাদককে প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্বাস্থ্যসেবা
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনের বড় সমস্যা ‘গর্ভপাতের অধিকার’। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনে এটি যে ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এই ইস্যুতে অনুষ্ঠিত গণভোটগুলোতে গর্ভপাত অধিকার কর্মীরাই টানান জয়ী হয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া, ভারমন্ট ও মিশিগানের ভোটারেরা রাজ্য সংবিধান সংশোধন করে গর্ভপাতের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল, ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল কেনটাকির ভোটাররা হয়তো গর্ভপাতবিরোধী ব্যবস্থার পক্ষে থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। সেখানকার রক্ষণশীল ভোটারেরাও গর্ভপাতবিরোধী ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্য দিকে রিপাবলিকান অধ্যুষিত রাজ্য হিসেবে পরিচিত সাউথ ডাকোটার ভোটারেরা ‘কম আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিমা আরও সহজলভ্য করার’ বিষয়টি বিবেচনা করেছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, অ্যারিজোনায় ভোটে চিকিৎসা ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
দাসত্ব
দাসপ্রথা দেড়শ বছর আগে বিলুপ্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু মানুষ যে এখনও মজুরি দাসত্ব টিকিয়ে চায় তার মিলল এই গণভোটে। বেশ কয়েটি রাজ্যের ভোটাররা বিস্ময়করভাবে ‘বন্দীদের জোরপূর্বক শ্রমের অনুমতি’ দিতে আনা সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে অ্যালাবামা, ওরেগন, টেনেসি ও ভারমন্টের ভোটারেরা অপরাধের শাস্তি এবং ঋণ বা জরিমানা পরিশোধের শাস্তি হিসেবে অনিচ্ছাকৃত শ্রম বা বন্দীত্ব নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ২০টি রাজ্য এখনো জোরপূর্বক শ্রম অনুমোদন করে। এদিকে ‘ব্যালটের লেখা খুব জটিল’ অভিযোগ তুলে গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে লুসিয়ানা রাজ্য।
বিনোদনমূলক ওষুধ
মাদকের বিনোদনমূলক ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের গণভোটে বেশ জনপ্রিয়। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আরকানসাস, উত্তর এবং দক্ষিণ ডাকোটার ভোটারেরা মারিজুয়ানার বিনোদনমূলক ব্যবহারকে বৈধ করার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তবে মেরিল্যান্ড এবং মিজৌরির বাসিন্দারা পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৯টি রাজ্য বৈধতার পক্ষে ভোট দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলোরাডো রাজ্যে এখনো গণভোট গণনা করা হচ্ছে। এই রাজ্যের ভোটারেরা ‘ম্যাজিক মাশরুম’ ও অন্যান্য সাইকেডেলিক প্রাকৃতিক পদার্থের ব্যবহারকে অপরাধমুক্ত করতে চায়।
ন্যূনতম মজুরি
ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজধানী ওয়াশিংটন। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারেরা ২০২৭ সালের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ১ হাজার ৬১০ ডলার করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ওয়াশিংটনে খাদ্য শিল্পে কাজ করা কর্মচারীরা এখনো প্রতি ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৫৩৫ ডলার উপার্জন করতে পারেন। নেব্রাস্কা রাজ্যের ভোটারেরাও অনুরূপ ন্যূনতম মজুরির উদ্যোগকে অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে ২০২৬ সালের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ক্রমশ ৯ ডলার থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনী আইন
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটদানের প্রক্রিয়া নিয়েও এখন বেশ উত্তেজনা চলছে। রিপাবলিকান ভোটারদের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের আয়োজন বেড়েছে। এ কারণে নির্বাচন পরিচালনার নিয়মে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের অংশ হিসেবে প্রায় একশ ইস্যুতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো দেশটির জনজীবন বদলে দিতে পারে। এর মধ্যে গর্ভপাত, মজুরি ও মাদককে প্রধান বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্বাস্থ্যসেবা
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনের বড় সমস্যা ‘গর্ভপাতের অধিকার’। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনে এটি যে ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এই ইস্যুতে অনুষ্ঠিত গণভোটগুলোতে গর্ভপাত অধিকার কর্মীরাই টানান জয়ী হয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া, ভারমন্ট ও মিশিগানের ভোটারেরা রাজ্য সংবিধান সংশোধন করে গর্ভপাতের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল, ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল কেনটাকির ভোটাররা হয়তো গর্ভপাতবিরোধী ব্যবস্থার পক্ষে থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। সেখানকার রক্ষণশীল ভোটারেরাও গর্ভপাতবিরোধী ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্য দিকে রিপাবলিকান অধ্যুষিত রাজ্য হিসেবে পরিচিত সাউথ ডাকোটার ভোটারেরা ‘কম আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিমা আরও সহজলভ্য করার’ বিষয়টি বিবেচনা করেছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, অ্যারিজোনায় ভোটে চিকিৎসা ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
দাসত্ব
দাসপ্রথা দেড়শ বছর আগে বিলুপ্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু মানুষ যে এখনও মজুরি দাসত্ব টিকিয়ে চায় তার মিলল এই গণভোটে। বেশ কয়েটি রাজ্যের ভোটাররা বিস্ময়করভাবে ‘বন্দীদের জোরপূর্বক শ্রমের অনুমতি’ দিতে আনা সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে অ্যালাবামা, ওরেগন, টেনেসি ও ভারমন্টের ভোটারেরা অপরাধের শাস্তি এবং ঋণ বা জরিমানা পরিশোধের শাস্তি হিসেবে অনিচ্ছাকৃত শ্রম বা বন্দীত্ব নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ২০টি রাজ্য এখনো জোরপূর্বক শ্রম অনুমোদন করে। এদিকে ‘ব্যালটের লেখা খুব জটিল’ অভিযোগ তুলে গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে লুসিয়ানা রাজ্য।
বিনোদনমূলক ওষুধ
মাদকের বিনোদনমূলক ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের গণভোটে বেশ জনপ্রিয়। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আরকানসাস, উত্তর এবং দক্ষিণ ডাকোটার ভোটারেরা মারিজুয়ানার বিনোদনমূলক ব্যবহারকে বৈধ করার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তবে মেরিল্যান্ড এবং মিজৌরির বাসিন্দারা পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৯টি রাজ্য বৈধতার পক্ষে ভোট দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলোরাডো রাজ্যে এখনো গণভোট গণনা করা হচ্ছে। এই রাজ্যের ভোটারেরা ‘ম্যাজিক মাশরুম’ ও অন্যান্য সাইকেডেলিক প্রাকৃতিক পদার্থের ব্যবহারকে অপরাধমুক্ত করতে চায়।
ন্যূনতম মজুরি
ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজধানী ওয়াশিংটন। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারেরা ২০২৭ সালের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ১ হাজার ৬১০ ডলার করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ওয়াশিংটনে খাদ্য শিল্পে কাজ করা কর্মচারীরা এখনো প্রতি ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৫৩৫ ডলার উপার্জন করতে পারেন। নেব্রাস্কা রাজ্যের ভোটারেরাও অনুরূপ ন্যূনতম মজুরির উদ্যোগকে অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে ২০২৬ সালের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ক্রমশ ৯ ডলার থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনী আইন
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটদানের প্রক্রিয়া নিয়েও এখন বেশ উত্তেজনা চলছে। রিপাবলিকান ভোটারদের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের আয়োজন বেড়েছে। এ কারণে নির্বাচন পরিচালনার নিয়মে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকেরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
২ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলটদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্লাইট অপারেশনস গ্রুপ। সংস্থাটি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ। তবে আন্তর্জাতিক...
৪ ঘণ্টা আগেলেবাননের উদীয়মান নারী ফুটবলার সেলিন হায়দার। কয়েকদিন আগেই জাতীয় নারী ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে লেবাননের জার্সি গায়ে মাঠে নামার। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন অনেক দূরে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়ে এখন কোমায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সেলিন।
৪ ঘণ্টা আগে