ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার দেবে এবিসি নিউজ, চাইবে ক্ষমাও

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৩১
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৩৭
এবিসির নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

গত ১০ মার্চ মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজের ‘দিজ উইক’ অনুষ্ঠানে সাউথ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান ন্যান্সি ম্যাসের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপোলাস। অনুষ্ঠানে তিনি ট্রাম্পের প্রতি ন্যান্সির সমর্থন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে ‘ধর্ষণের জন্য দায়ী’ বলে উল্লেখ করেন। তাও একবার নয়, প্রায় ১০ বারের মতো এ কথা বলেন জর্জ। এ নিয়ে এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ট্রাম্প। মানহানির এ মামলার মীমাংসায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা) দিতে রাজি হয়েছে এবিসি নিউজ।

আজ রোববার ফক্স নিউজ ডিজিটালের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় বিবিসি নিউজ।

এ ছাড়া মীমাংসার শর্ত হিসেবে বিবৃতির মাধ্যমে এবিসি নিউজকে বিষয়টির জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করতে হবে। পাশাপাশি এবিসি নিউজের অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকার প্রতিবেদনের নিচে সম্পাদকের একটি বিবৃতি যুক্ত করা হবে।

মীমাংসার শর্তে আরও বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মতো ট্রাম্পের বা তাঁর পক্ষে একটি প্রেসিডেনশিয়াল ফাউন্ডেশন মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠায় এই দেড় কোটি ডলার দেবে এবিসি নিউজ। এ ছাড়া ট্রাম্পের আইনি খরচের জন্য ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা) দেবে।

এবিসি নিউজের একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, আদালতে প্রস্তাবিত শর্তানুযায়ী দুই পক্ষ মীমাংসায় রাজি হয়েছে, এটা সন্তোষজনক।

প্রসঙ্গত, গত বছর এক দেওয়ানি মামলায় জুরি বলেছিলেন, ট্রাম্প ‘যৌন হয়রানির’ জন্য দায়ী কিন্তু ধর্ষণের জন্য দায়ী নন। কারণ নিউইয়র্কের আইনে যৌন নির্যাতনকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা আছে।

ট্রাম্প ১৯৯৬ সালে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন—এমন অভিযোগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মানহানির মামলা করেন মার্কিন কলাম লেখক ই জিন ক্যারল। সে মামলায় ২০২৩ সালে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেন নিউইয়র্কের একটি দেওয়ানি আদালত। পরে ট্রাম্প এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং ক্যারলের অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন।

পৃথক আরেকটি মামলায়, ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যারলের মানহানি করায় ট্রাম্পকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

পরবর্তীতে ক্যারলের এ অভিযোগ নিয়ে বিচারক লুইস কেপলান বলেন, ক্যারল প্রমাণ করতে পারেননি যে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। মূলত নিউইয়র্ক দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। অন্য আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা অনুযায়ী নিউইয়র্কের আইনে এর সংজ্ঞা ‘অনেক বেশি সংকীর্ণ’।

ন্যান্সি ম্যাসের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এ মামলার প্রসঙ্গ টেনে জর্জ বলেন, ‘বিচারক এবং দুটি পৃথক জুরি ট্রাম্পকে ধর্ষণের জন্য দায়ী বলেছে।’ এরপর তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারেন।

এর আগে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে বিবিসির মার্কিন সম্প্রচার অংশীদার সিবিএসের বিরুদ্ধে ‘প্রতারণামূলক আচরণের’ অভিযোগে মামলা করেন ট্রাম্প।

গত বছর সিএনএন তাঁকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছে— এমন অভিযোগ এনে করা মানহানি মামলা খারিজ করে দেন আদালত। তিনি এর আগে নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেগুলো পরবর্তীতে খারিজ হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলের ‘হৃৎপিণ্ড’ তেল আবিবে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সাগরে নিম্নচাপ, কত দিন বৃষ্টি হতে পারে জানাল আবহাওয়া দপ্তর

শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান যার যার স্থানে শ্রেষ্ঠ: গয়েশ্বর

র‌্যাব বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি: নূর খান লিটন

হাসিনার আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি, জড়াল টিউলিপের নামও

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত