ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির এমপি-মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তির পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০০ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তিও করেন হাসিনা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা অর্থমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে তাঁর নাম এসেছে। অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সম্পাদনে জড়িত ছিলেন। এই প্রকল্প থেকে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনা সব মিলিয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও এই তদন্ত চলছে। পাশাপাশি টিউলিপের মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধেও চলছে তদন্ত।
এদিকে, ২০১৩ সালের বিভিন্ন ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ক্রেমলিনে হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে চুক্তি সই করতে দেখছেন। এ সময় তাঁর মা শেখ রেহানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চুক্তি সই করার পাশাপাশি টিউলিপের খালা বাংলাদেশকে রাশিয়ান অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি সই করেন।
হাসিনা-পুতিনের মধ্যে এই চুক্তির পর দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দেশ দুটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। রাশিয়া (এবং আপনি এই চুক্তি সই হতে দেখেছেন) বাংলাদেশকে রাশিয়ার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করবে।’
যে সময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, সে সময় টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন লেবার কাউন্সিলর। এরপর তিনি ২০১৫ সালে এমপি হন। অর্থাৎ তিনি এমপি হওয়ার দুই বছর আগে এই চুক্তি হয়। লেবার সূত্র বলছে, টিউলিপ সিদ্দিক কেবল তাঁর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য রাশিয়া গিয়েছিলেন এবং তিনি সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোনো ভূমিকা পালন করেননি।
লেবার পার্টির এক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘টিউলিপ এমপি হওয়ার দুই বছর আগের দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে এবং এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।’ লেবার পার্টি আরও বলেছে, টিউলিপ দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত সম্পর্কিত অভিযোগগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
তবে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপ সিদ্দিককে—যিনি এখন পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি—সত্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। ব্রিটেনের ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য ম্যাট ভিকার্স বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক এবং কেয়ার স্টারমারকে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে—তা ক্রমশ বাড়ছে। স্টারমার কেন সংকটে থাকা আরও এক মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করতে হবে।’
এদিকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ট্রেজারি বিভাগ নিশ্চিত করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। এক মুখপাত্র বলেন, ‘অর্থনৈতিক সেক্রেটারি এমন কোনো নীতি প্রণয়নে জড়িত নন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র বলেন, ‘মন্ত্রী সরকারে প্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত নন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না। কারণ, তিনি সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব এড়াতে নিজেকে বিরত রাখেন। তাঁর স্বার্থ মন্ত্রীদের স্বার্থের তালিকার অংশ হিসেবে সবার সামনে প্রকাশ করা হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির এমপি-মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তির পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০০ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তিও করেন হাসিনা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা অর্থমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে তাঁর নাম এসেছে। অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সম্পাদনে জড়িত ছিলেন। এই প্রকল্প থেকে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনা সব মিলিয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও এই তদন্ত চলছে। পাশাপাশি টিউলিপের মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধেও চলছে তদন্ত।
এদিকে, ২০১৩ সালের বিভিন্ন ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ক্রেমলিনে হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে চুক্তি সই করতে দেখছেন। এ সময় তাঁর মা শেখ রেহানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চুক্তি সই করার পাশাপাশি টিউলিপের খালা বাংলাদেশকে রাশিয়ান অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি সই করেন।
হাসিনা-পুতিনের মধ্যে এই চুক্তির পর দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দেশ দুটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। রাশিয়া (এবং আপনি এই চুক্তি সই হতে দেখেছেন) বাংলাদেশকে রাশিয়ার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করবে।’
যে সময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, সে সময় টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন লেবার কাউন্সিলর। এরপর তিনি ২০১৫ সালে এমপি হন। অর্থাৎ তিনি এমপি হওয়ার দুই বছর আগে এই চুক্তি হয়। লেবার সূত্র বলছে, টিউলিপ সিদ্দিক কেবল তাঁর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য রাশিয়া গিয়েছিলেন এবং তিনি সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোনো ভূমিকা পালন করেননি।
লেবার পার্টির এক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘টিউলিপ এমপি হওয়ার দুই বছর আগের দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে এবং এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।’ লেবার পার্টি আরও বলেছে, টিউলিপ দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত সম্পর্কিত অভিযোগগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
তবে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপ সিদ্দিককে—যিনি এখন পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি—সত্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। ব্রিটেনের ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য ম্যাট ভিকার্স বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক এবং কেয়ার স্টারমারকে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে—তা ক্রমশ বাড়ছে। স্টারমার কেন সংকটে থাকা আরও এক মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করতে হবে।’
এদিকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ট্রেজারি বিভাগ নিশ্চিত করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। এক মুখপাত্র বলেন, ‘অর্থনৈতিক সেক্রেটারি এমন কোনো নীতি প্রণয়নে জড়িত নন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র বলেন, ‘মন্ত্রী সরকারে প্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত নন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না। কারণ, তিনি সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব এড়াতে নিজেকে বিরত রাখেন। তাঁর স্বার্থ মন্ত্রীদের স্বার্থের তালিকার অংশ হিসেবে সবার সামনে প্রকাশ করা হয়েছে।’
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা নতুন ই-ভিসা সিস্টেমে যাচ্ছে। ৯৪টি রয়্যাল থাই দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল অফিস একসঙ্গে এই সেবা দেবে।
৩৪ মিনিট আগেমার্কিন কংগ্রেস শুক্রবার মধ্যরাতে শাটডাউন ঠেকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর পাস হওয়া এই বিলটি ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। মধ্যরাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিনেটররা প্রথাগত নিয়ম এড়িয়ে দ্রুত ভোট দেন।
৩ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশালা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মুম্বাইয়ে ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় পুলিশের হাতে আটক আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশের আট সন্দেহভাজন সদস্য ‘চিকেন নেক’ বা সিলিগুরি করিডরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের সংযোগকারী একমাত্র অংশ এই সিলিগুড়ি করিডর।
৩ ঘণ্টা আগে